শার্ল বোদলেয়ার
শার্ল বোদলেয়ার (পুরো নাম - Charles-Pierre Baudelaire; উচ্চারণ শার্ল-পিয়ের বোদলেয়ার; জন্ম - ৯ই এপ্রিল, ১৮২১ পারিতে - ৩১শে অগাস্ট, ১৮৬৭ র্যু দু দোম) ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম কবি ও অনুবাদক। প্রাবন্ধিক ও শিল্প-সমালোচক হিসেবে তার কাজও উল্লেখের দাবি রাখে। ফরাসিতে এডগার অ্যালান পোর অন্যতম প্রথম অনুবাদক ছিলেন তিনি।[১]
জন্ম | শার্ল বোদলেয়ার ৯ই এপ্রিল, ১৮২১ প্যারিস, ফ্রান্স |
---|---|
মৃত্যু | ৩১ আগস্ট ১৮৬৭ প্যারিস, ফ্রান্স | (বয়স ৪৬)
পেশা | কবি, শিল্প সমালোচক |
জাতীয়তা | ফরাসি |
সময়কাল | ১৮৬৩–১৮২১ |
সাহিত্য আন্দোলন | প্রতীকীবাদ, আধুনিকতা |
স্বাক্ষর |
তার অন্যতম বিখ্যাত কবিতা ক্লেদাক্ত কুসুম (Les Fleurs du mal; অনুবাদক বুদ্ধদেব বসু)।[২]
কবি হিসেবে বোদলেয়ার
সম্পাদনাফরাসী সাহিত্য অঙ্গনে বোদলেয়ার একটি উজ্জ্বল নাম। ফ্রান্সের সমাজে উনিশ শতকের শুরুর দিকে যেরকম কবিতা লেখা হত শার্ল বোদলেয়ার ওগুলো থেকেই কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। একজন মানুষের মধ্যে আসা রোমান্টিকতাকে কীভাবে আরো ব্যাপ্তিময় এবং সৌন্দর্যমন্ডিত করা যায় সেটা শার্ল ভাবতেন। তার কবিতায় শৈল্পিকতা পাওয়া যায়, তিনি প্যারিস নগরীকে তার কবিতায় অনেকবার স্থান দিয়েছেন, ফরাসী কবিতা পাঠকেরা তার কবিতা পড়ে এক অন্য জগতে চলে যেত।[৩]
পূর্ব জীবন
সম্পাদনা১৮২১ সালের এপ্রিল মাসের ৯ তারিখে প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন বোদলেয়ার।[১] তার পিতা ফ্রাঁসোয়া বোদলেয়ার একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী ছিলেন এবং আনাড়ি চিত্রশিল্পী ছিলেন, এই ব্যক্তির পত্নী ক্যারোলিন তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো, শার্ল বোদলেয়ার এই ক্যারোলিনের পেটেই জন্ম নেন। শার্লের বয়স যখন ৬ (১৮২৭ সাল) তখন ফ্রাঁসোয়া মারা যান। ঐ বছর ক্যারোলিন জ্যাক অপিক নামের ফরাসী সেনাবাহিনীর এক কর্নেলকে বিয়ে করেন। এই ঘটনার পর ক্যারোলিন শার্লকে ভুলে যান, তাকে ভালোবাসা-আদর-যত্ন দেওয়া বাদ দিয়ে দেন, শার্লের জীবনে এটা ছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং করুণ অধ্যায়। কিন্তু তারপরেও শার্ল তার মা'কে অনেক পছন্দ করতেন।[৪]
বোদলেয়ারকে কর্নেল জ্যাক অপিক একটি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করে দেন, সেখানেই টিন-এজ বয়সে বোদলেয়ার কবিতা লেখা শুরু করেন।[৫] বোদলেয়ার পরে আইন নিয়ে পড়া শুরু করেন, এবং ১৮৩৯ সালে তিনি পাশ করে বের হন। তিনি তার সৎ-ভাইকে বলেন, "আমি আমার সৎ বাবার উপদেশ অনুযায়ী আইন পড়েছি এবং পাশ করেছি, কিন্তু আমি আইনি পেশায় জড়াবোনা"। ক্যারোলিন তার এই কথার সমালোচনা করেছিলেন কারণ তিনি জ্যাক অপিককে খুবই পছন্দ করতেন।[৬]
বোদলেয়ার পতিতা সঙ্গমে লিপ্ত হতেন, এটি জ্যাক জেনে যান, এরপর তাকে বিদেশ পাঠাবেন বলে মনস্থির করেন, ১৮৪১ সালে শার্লকে জ্যাক ভারতের উদ্দেশ্যে সমুদ্র যাত্রায় পাঠিয়ে দেন। ভারতে যেয়ে শার্ল কবিতা লেখায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন এবং ভারতে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা হয় তার যেমন হাতীর পিঠে চড়া।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Charles Baudelaire, Richard Howard. Les Fleurs Du Mal. David R. Godine Publisher, 1983, p.xxv. আইএসবিএন ০-৮৭৯২৩-৪৬২-৮, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭৯২৩-৪৬২-১.
- ↑ "মেঘের মানচিত্র অথবা বনান্তরের দিন" যায় যায় দিন সংগৃহীত ১ জুন, ২০১৬।
- ↑ Haine, Scott (2000)। The History of France (1st সংস্করণ)। Greenwood Press। পৃষ্ঠা 112। আইএসবিএন 0-313-30328-2। সংগ্রহের তারিখ 9/6/2016। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Richardson 1994, p. 16
- ↑ Richardson 1994, p. 35
- ↑ Richardson 1994, p. 70
- ↑ Richardson 1994, pp. 67–68