শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ

বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। এটি ঢাকার অন্যতম পুরনো একটি মেডিকেল কলেজ । এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের নিয়ন্ত্রণাধীন।

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ
Shaheed Monsur Ali Medical College
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের লোগো
অন্যান্য নাম
শমআমেক(SMAMC)
প্রাক্তন নাম
উম্মাহ মেডিকেল কলেজ, মিরপুর, ঢাকা (১৯৯৪-১৯৯৫)
মাওলানা ভাসানী মেডিকেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা (২০০২-২০০৭)
নীতিবাক্যশিক্ষার জন্য এসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও
ধরনবেসরকারি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মূল প্রতিষ্ঠান
শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্ট
অধিভুক্তিবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস
চেয়ারম্যানতমাল মনসুর
অধ্যক্ষঅধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম খান (ভারপ্রাপ্ত)
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১৪০
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
১২৫
শিক্ষার্থী৬০০+
ঠিকানা
২৬ ও ২৬/এ, রোড নং ১০, সেক্টর নং ১১(তুরাগ নদী সংলগ্ন), উত্তরা মডেল টাউন
, , ,
১২৩০
,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে (৫  একর)
ভাষাইংরেজি
ওয়েবসাইটsmamedicalcollege-bd.com
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৯৪-১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি উম্মাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে ঢাকার মিরপুরে যাত্রা শুরু করে। উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিবর্তিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান নামে উত্তরায় স্থানান্তিত হয়। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে এর নাম পরিবর্তন করে মওলানা ভাসানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করা হয় এবং মওলানা ভাসানী ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ট্রাস্টের ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনোনিত হন জনাব মোসাদ্দেক হোসেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ডাঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনোনিত হন এবং পরবর্তিতে লায়লা আরজুমান্দ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনিত হন। ২০১০ সালের ৩রা এপ্রিল, কলেজের নাম শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ পুনঃপ্রর্বতন করা হয় এবং পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে মওলানা ভাসানী ট্রাস্ট থেকে মনসুর আলী ট্রাস্টের অধীনে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে লায়লা আরজুমান্দ ট্রাস্ট ও পরিচালনা পর্ষদ উভয়টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অবস্থান

সম্পাদনা

কলেজ ও হাসপাতালের স্থায়ী ভবনটি রাজধানী ঢাকার উত্তরা ১১ নং সেক্টরের ১০/বি নং রোডে অবস্থিত। এর উত্তর দিকে তুরাগ নদী ও বিশ্ব ইজতেমা ময়দান অবস্থিত। ঠিকানাঃ প্লট-২৬ ও ২৬/এ, রোড নং-১০/বি, সেক্টর-১১, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

অবকাঠামো

সম্পাদনা
 
কলেজ ক্যাম্পাস

৫ একর জমির উপর নির্মিত হয় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসপাতাল ভবনটি একাডেমিক ভবন থেকে আলাদা। এছাড়াও দক্ষ সেবিকা তৈরির জন্য কলেজটির আওতাধীন রয়েছে শহীদ মনসুর আলী নার্সিং ইনস্টিটিউট। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছে বহু মানুষ। অন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যাও অত্যধিক। বর্তমানে হাসপাতালটি ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট।

মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রয়েছে ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি সেবা। এছাড়াও কলেজটিতে নির্মিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানার জন্য "বঙ্গবন্ধু কর্ণার" ও একটি সুবিশাল শহীদ মিনার।

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১টি ছাত্রনিবাস ও ২টি ছাত্রীনিবাস। এছাড়াও ক্যাম্পাসের ভিতরে রয়েছে "শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ"।

শিক্ষার্থী, অনুষদ ও বিভাগ

সম্পাদনা

বর্তমানে শমআমেক এ প্রতিবছর MBBS কোর্সে ১৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। মেডিকেল কলেজটিতে আছে প্রায় ৬০০+ শিক্ষার্থী। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনী, প্যাথলজি ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, এনাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফিজিওলজি, কমিউনিটি মেডিসিন মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন ও অন্য সব বিষয় মিলিয়ে ৩২+ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত এই কলেজটি। বর্তমানে সর্বশেষ ব্যাচ এস.এম.-২৯।

রজত জয়ন্তী

সম্পাদনা

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উদযাপিত হয় অত্র মেডিকেলের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম এবং তার স্ত্রী শহীদ মনসুর আলী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান লায়লা আরজুমান্দ।

অনুমোদন ও অধিভুক্তি

সম্পাদনা

শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অনুমোদিত হয়েছে:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত

• বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক স্বীকৃত।

• আন্তর্জাতিক মেডিকেল এডুকেশন ডিরেক্টরী -এর তালিকাভুক্ত

•আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত, যা এই কলেজের স্নাতকদের বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিতে সক্ষম করবে।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা