শরৎচন্দ্র বসু
শরৎচন্দ্র বসু (জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর,১৮৮৯ — মৃত্যু: ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০) ছিলেন একজন বাঙালি জাতীয়তাবাদী, পেশায় ব্যারিস্টার এবং ভারতের স্বাধীনতা কর্মী। তিনি জানকীনাথ বসুর ছেলে এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মেজ দাদা। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেন ও পরবর্তীকালে একটি অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের একজন নৈতিক সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হয়ে আদালতে বিনা পারিশ্রমিকে সওয়াল করতেন। তার স্ত্রী বিভাবতী বসুও গান্ধীবাদী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগী ভূমিকা নেন।
শরৎচন্দ্র বসু | |
---|---|
জন্ম | ৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮৯ |
মৃত্যু | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ | (বয়স ৬০)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
কর্মজীবন | (১৯৩৬-১৯৫০) |
পরিচিতির কারণ | রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা কর্মী |
দাম্পত্য সঙ্গী | বিভাবতী বসু |
রাজনৈতিক কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৩৬ থেকে ১৯৪৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৬ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি ১৯৪৭ সালে তার সদস্য পদ ত্যাগ করেন। একজন দেশপ্রেমিক বাঙালি হিসেবে শরৎচন্দ্র বসু বাংলা বিভাগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি সমাজ ও ভাষার ভিত্তিতে গঠিত স্বশাসিত সমাজতান্ত্রিক রাজ্যের সমন্বয়ে একটি অখণ্ড ভারত গঠনের পক্ষে ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তার চিন্তাধারার যথেষ্ট মিল ছিল। সোহরাওয়ার্দীও এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত স্বাধীন বাংলা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। উভয় নেতা পরবর্তী সময়ে একটি অখণ্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করেন।
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ১৯৫০ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যু হয়।