শরীফ শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৯
জাতীয় শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৯, বা, ১৯৫৯-এর শিক্ষা কমিশন হলো তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি সম্পর্কিত একটি নীতিমালা তৈরির জন্য গঠিত সরকারি কমিশন, যা এর সভাপতি প্রফেসর এস এম শরীফ-এর নামানুসারে শরীফ কমিশন এবং শরীফ শিক্ষা কমিশন নামেও পরিচিত।[১][২]
কার্যকাল সম্পাদনা
এই কমিশনটি ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর গঠিত হয় এবং ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।[২]
সদস্যবৃন্দ সম্পাদনা
১০ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষাসচিব ড. এস এম শরীফ।[১][২] ৪ জন বাঙালি শিক্ষাবিদ সদস্য হিসাবে যুক্ত ছিলেন; তারা হলেনঃ[১]
- ড. মোমতাজউদ্দিন আহমেদ (উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়),
- আবদুল হক (সদস্য, ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড),
- অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং
- ড. এম এ রশীদ (অধ্যক্ষ, ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ)।
সুপারিশসমূহ সম্পাদনা
এই কমিশনের সুপারিশগুলোর মমধ্যে [১]
- ডিগ্রি কোর্স দুই বছর থেকে তিন বছর করা,
- কলেজ পর্যায়ে বছর শেষে পরীক্ষা ও তার ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী বর্ষে উন্নীত করা,
- অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফলাফলকে ভিত্তি ধরা।
প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ "বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন ও বর্তমান হালচাল"। দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "৬২র মহান দিবস : আত্মদানের সার্থক অবদান"। দৈনিক পূর্বকোণ অনলাইন। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]