শবনম রামস্বামী
শবনম রামস্বামী ভারতের একজন সমাজকর্মী এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের কাটনায় অবস্থিত তার এনজিও স্ট্রিট সারভাইভারস ইণ্ডিয়ার (এসএসআই) জন্য সর্বাধিক পরিচিত, এই সংস্থা স্থানীয় গ্রামের জন্য শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালনা করে।[৪][৫][৬]
শবনম রামস্বামী | |
|---|---|
| জন্ম | ১ জুলাই |
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
| পেশা | এনজিও স্ট্রিট সারভাইভারস ইণ্ডিয়ার ডিরেক্টর, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার |
| পরিচিতির কারণ | স্ট্রিট সারভাইভারস ইণ্ডিয়া |
| দাম্পত্য সঙ্গী | জুগনু রামাস্বামী |
জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা
শবনম মুর্শিদাবাদের কাটনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার লা মার্টিনিয়ারে পড়াশোনা করেছেন।[১]
তিনি মীরা নায়ারের সালাম বালক-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি দিল্লি স্টেশনে পলাতকদের উদ্ধার করেছিলেন। একজন প্রবীণ সাংবাদিক, জুগনু রামস্বামী, তার কাজের উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের অভিপ্রায়ে তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ছবিটি করার পর তারা বিয়েও করেন।[৭] [৮]
কর্মজীবন সম্পাদনা
স্ট্রিট সারভাইভারস ইণ্ডিয়া সম্পাদনা
১৯৯০ সালে দিল্লিতে স্ট্রিট সারভাইভারস ইণ্ডিয়া গঠিত হয়েছিল, এর উদ্দেশ্য ছিল কাজ করা পথশিশুদের পড়াশুনো শেখার সুযোগ দেওয়া। এটি জাগৃতি স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় পরিচালনা করত, এতে একটি রান্নাঘর এবং রাতের আশ্রয় কেন্দ্রও ছিল। বাণিজ্যিক স্থান পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি সরকারি "পরিষ্কার অভিযানে" এটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।[১]
এসএসআই রাজীব গান্ধী ফাউণ্ডেশনের সহায়তায় জাগৃতি গ্রামীণ লাইব্রেরি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রোগ্রামটি কাটনার কাছের গ্রামে এগারোটি পাঠাগার চালায়। প্রতিটি পাঠাগার একটি নোডাল পয়েন্ট এবং আশেপাশের অতিরিক্ত দশটি গ্রামের শিশুদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র হিসেবে কল্পনা করা হয়েছিল। ন্যূনতম খরচে, শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্কিত বই এখানে পড়তে বা এখান থেকে ধার নিতে পারে, সেইসাথে রেফারেন্স এবং কথাসাহিত্যের কাজগুলো পড়তে পারে।[৯]
স্বীকৃতি সম্পাদনা
- ২০১৩: উইমেন হ্যাভ উইংস থেকে সাহসিকতা পুরস্কার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][ তথ্যসূত্র প্রয়োজন ]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "645 Shabnam Ramaswamy, Survivors all"। Seminar Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "INDIAN VILLAGE DIRECTORY"। Indian Village Directory। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "GET INSPIRED"। Instagram। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ Anahita Mukherji (ডিসে ১৩, ২০১০)। "Bengal's lady Tom Sawyer teaches criminals a lesson | India News - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।
- ↑ "Changing lives of the people"। Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৪-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।
- ↑ "What Happens When Eight Pairs Of Rural Artisans And Urban Designers Come Together?"। Verve Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।
- ↑ "How Shabnam Ramaswamy Is Rebuilding Women And Children's Lives In Kolkata"। femina.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।
- ↑ Datta, Sravasti (২০১৯-০৮-১২)। "How one woman single-handedly runs a school and a women's collective in West Bengal"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।
- ↑ "A battered fairy who returned with a magic wand for women of her village"। www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৬।