লু অয়ার্স

মার্কিন অভিনেতা

লু অয়ার্স (ইংরেজি: Lew Ayres) নামে পরিচিত তৃতীয় লুইস ফ্রেডরিক অয়ার্স[১] (ইংরেজি: Lewis Frederick Ayres III; ২৮ ডিসেম্বর ১৯০৮ - ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৬) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি ৬৫ বছরের অধিক সময় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন। তিনি অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (১৯৩০) চলচ্চিত্রে জার্মান সৈনিক পল বাউমার চরিত্রে এবং নয়টি চলচ্চিত্রে ডক্টর কিলডের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত।[২] তিনি জনি বেলিন্ডা (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি ১৯৭৫ সালে কুং ফু টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে নাট্যধর্মী বা হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে সেরা একক পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

লু অয়ার্স
Lew Ayres
১৯৪০-এর দশকে অয়ার্স
জন্ম
তৃতীয় লুইস ফ্রেডরিক অয়ার্স

(১৯০৮-১২-২৮)২৮ ডিসেম্বর ১৯০৮
মৃত্যু৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৬(1996-12-30) (বয়স ৮৮)
লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিওয়েস্টউড ভিলেজ মেমোরিয়াল পার্ক সমাধি, ক্যালিফোর্নিয়া
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯২৭-১৯৯৪
দাম্পত্য সঙ্গীলোলা লেন
(বি. ১৯৩১; বিচ্ছেদ. ১৯৩৩)

জিঞ্জার রজার্স
(বি. ১৯৩৪; বিচ্ছেদ. ১৯৪০)

ডায়ানা হল
(বি. ১৯৬৪; মৃ. ১৯৯৬)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

অয়ার্স ১৯০৮ সালের ২৮শে ডিসেম্বর মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা লুই অয়ার্স ও মাতা ইর্মা বেভেরনিক। অয়ার্সের যখন চার বছর বয়স তখন তার পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। লুই সঙ্গীতজ্ঞ ও রাজদরবারের প্রতিবেদক ছিলেন এবং বিবাহবিচ্ছদের পরপরই পুনঃবিবাহ করেন। কৈশোরে অয়ার্স তার মায়ের সাথে তার সৎ বাবা উইলিয়াম গিলমোর ও তার বৈমাত্রেয় ভাইবোনদের সাথে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ডিয়েগো শহরে বসবাস করতেন।[৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

অয়ার্সকে এক নৈশ ক্লাবে আবিষ্কার করেন প্রতিভা অন্বেষণকারী প্রতিনিধি ইভান কান। তিনি তাকে গ্রেটা গার্বোর বিপরীতে দ্য কিস (১৯২৯) ছবিতে কাজের জন্য নির্বাচন করেন। অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (১৯৩০) চলচ্চিত্রে জার্মান সৈনিক পল বাউমার চরিত্রে তার কাজ তাকে তারকা খ্যাতি পাইয়ে দেয় এবং ইউনিভার্সাল পিকচার্সের সাথে তার চুক্তি মজবুত করে।

তিনি পরিচালক হিসেবে তার দ্বিতীয় কর্মজীবন শুরু করতে রিপাবলিক পিকচার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং হার্টস ইন বন্ডেজ (১৯৩৬) চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৯৩৮ সালে এমজিএমের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পূর্বে তিনি পুনরায় প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। এই সময়ে তিনি প্যারামাউন্ট থেকে ধারে কলাম্বিয়া পিকচার্সের হলিডে (১৯৩৮) চলচ্চিত্রে ক্যাথরিন হেপবার্নের চরিত্রের মদ্যপ ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন।[৫]

তিনি দ্য ডার্ক মিরর (১৯৪৬) ছবিতে অলিভিয়া ডা হ্যাভিলন্ডের বিপরীতে এবং দি আনফেইথফুল (১৯৪৭) ছবিতে অ্যান শেরিডানের বিপরীতে অভিনয় করেন। জনি বেলিন্ডা (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে তিনি জেন ওয়াইম্যানের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, এবং তার সহশিল্পী ওয়াইম্যান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]

তিনি ১৯৭৫ সালে কুং ফু টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে নাট্যধর্মী বা হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে সেরা একক পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার প্রামাণ্যচিত্র অল্টারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৭৬) দিয়ে পর্দায় তার প্রাচ্য দার্শনিক চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটান। এই কাজের জন্য তিনি ইতিবাচক সমালোচনা অর্জন করেন এবং এটি ১৯৭৭ সালে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করে।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Lew Ayres | American actor"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. ম্যালনিক, এরিক (৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৬)। "Lew Ayres, Star of Dr. Kildare Movie Series, Dies"লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ 
  3. লায়ন, ক্রিস্টোফার; ডল, সুজান; ভিনসন, জেমস (১৯৮৪)। The International Dictionary of Films and Filmmakers: Actors and actresses (ইংরেজি ভাষায়)। সেন্ট জেমস প্রেস। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯ 
  4. 1920 United states Federal Census.
  5. "Holiday, directed by George Cukor | Film review"টাইম আউট লন্ডন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯ 
  6. "The 21st Academy Awards | 1949"অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  7. ব্রোয়েস্ক, প্যাট এইচ. (৬ এপ্রিল ১৯৯১)। "Ayres Backs His Project Religiously : Film: Actor best known for 'Dr. Kildare' says his documentary, 'Altars of the World,' represents the bigger part of his life today"লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা