লুসি থুমাইয়ান

আর্মেনীয় নারী অধিকার এবং শান্তি কর্মী

লুসি থুমাইয়ান বা রসিয়ার দে ভিস্মে (১৮৯০–১৯৪০) একজন আর্মেনীয় নারী অধিকার এবং শান্তি কর্মী ছিলেন। আর্মেনিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি এতিম আর্মেনিয়ানদের জন্য চিগওয়েলে একটি স্কুল তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি ১৯১৫ সালে হেগ সম্মেলনে মহিলাদের অংশগ্রহণের আগে শান্তির জন্য একটি ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন। পরে, তিনি লীগ অফ নেশনস-এর জন্য কাজ শুরু করেন।

লুসি থুমাইয়ান
জন্ম১৮৯০
মৃত্যু১৯৪০
জাতীয়তাআর্মেনীয়
পরিচিতির কারণশান্তিবাদ, নারীর অধিকার
দাম্পত্য সঙ্গীরেভ. প্রফেসর থুমাইয়ান

জীবন সম্পাদনা

লুসি থুমাইয়ান সুইজারল্যান্ডে রসিয়ার দে ভিস্মে নামে জন্মগ্রহণ করেন।[১]

 
১৯১৫ সালের মহিলাদের আন্তর্জাতিক কংগ্রেস। বাম থেকে ডানে:১. লুসি থুমাইয়ান - আর্মেনিয়া, ২. লিওপোল্ডাইন কুলকা - অস্ট্রিয়া, ৩. লরা হিউজেস - কানাডা, ৪. রোজিকা সুঁইমার - হাঙ্গেরি, ৫. অনিতা অগসপার্গ - জার্মানি, ৬. জেন অ্যাডামস - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৭. ইউজেনি হ্যানার, ৮. আলেটা জ্যাকবস - নেদারল্যান্ডস, ৯. ক্রিস্টাল ম্যাকমিলান - যুক্তরাজ্য, ১০. রোজা জেনোনি - ইতালি, ১১. অ্যানা ক্লেম্যান - সুইডেন, ১২. থোরা দাউগার্ড - ডেনমার্ক, ১৩. লুউইস কেইলহাউ - নরওয়ে

১৮৯২ সালের আগস্টে, তিনি বের্নে শান্তির জন্য একটি কংগ্রেসে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বক্তাদের মধ্য একজন ছিলেন।[২][৩]

তিনি এবং তার স্বামী রেভারেন্ড অধ্যাপক গ্যারাবেদ থুমাইয়ান আর্মেনিয়া থেকে বিতাড়িত হন এবং তারা ব্রিটেনে নির্বাসিত হন। সেখানে, তারা ১৯০৬ সালে আর্মেনীয়দের জন্য চিগওয়েলের ওখুরস্টে[৪] একটি এতিমখানা এবং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১৯১১ সালে, তিনি লন্ডনে ফার্স্ট ইউনিভার্সাল রেস কংগ্রেসে যোগ দেন যা বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী একটি প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যে থেকে নির্বাসিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি তুর্কি প্রতিনিধিদের একসাথে কাজ করার প্রয়োজনের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।[৫]

১৯১৪ সালে, তিনি শান্তির জন্য একটি ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "যুদ্ধ মানবসৃষ্ট, এটা নারীকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে"। তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নারীদের সাপ্তাহিক সভা করা উচিত। একই বছরের ডিসেম্বরে, তিনি ইউরোপের একটি পত্রিকার সম্পাদকীয় কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠান, যাতে ফ্রান্সের নারীদের সামনে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।[৬]

১৯১৫ সালে, থুমাইয়ান হেগ ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি মহিলাদের হেগ সম্মেলনে আর্মেনিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ১৯১৫ সালের ২৫শে এপ্রিল সম্মেলনে উপস্থিত হন। আর্মেনিয় গণহত্যা শুরু হওয়ার আগের দিন তখন আর্মেনিয়ায় শত শত বুদ্ধিজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

থুমাইয়ান সম্মেলনে প্রধান প্যানেলে ছিলেন। সম্মেলনের পর, তিনি নভেম্বর পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসে অবস্থান করেন। তিনি সামগ্রিক বিষয় প্রচার করতে ব্যস্ত ছিলেন এবং তিনি আর্মেনিয়ার মারসোয়ানে শেষ দেখা ৩০ আত্মীয়দের সম্পর্কে তথ্য পেতে মরিয়া ছিলেন।

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ডাব্লিউআইএলপিএফ তাকে লীগ অফ নেশনস কমিশনে কাজ করার জন্য এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আর্মেনিয়ায় গণহত্যার শিকারদের জন্য বিচারের জন্য কাজ চালিয়ে যান।[৭]

থুমাইয়ান ১৯৪০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "1. Lucy Thoumaian 1890 – 1940" (পিডিএফ)wilpf.org। ৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  2. "Le Monde illustré"Gallica (ফরাসি ভাষায়)। ১৮৯২-০৯-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  3. contemporaine, La। "1.1.3. IVe Congrès universel de la Paix, Berne (1892)"Guide des sources de la paix à La contemporaine (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  4. "Chigwell: Schools | British History Online"www.british-history.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  5. Moynagh, Maureen; Forestell, Nancy (২০১২-০১-১৪)। Documenting First Wave Feminisms: Volume 1: Transnational Collaborations and Crosscurrents (ইংরেজি ভাষায়)। University of Toronto Press। আইএসবিএন 978-1-4426-6410-4 
  6. Liddington, Jill (১৯৯১)। The Road to Greenham Common: Feminism and Anti-militarism in Britain Since 1820 (ইংরেজি ভাষায়)। Syracuse University Press। আইএসবিএন 978-0-8156-2539-1 
  7. Archives, The National। "The Discovery Service"discovery.nationalarchives.gov.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬