লুইস স্টোন
লুইস শেপার্ড স্টোন (ইংরেজি: Lewis Shepard Stone; ১৫ নভেম্বর ১৮৭৯ – ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের অ্যান্ডি হার্ডি চলচ্চিত্র ধারাবাহিক জজ জেমস হার্ডি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ১৯২৯ সালে দ্য প্যাট্রিয়ট চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি গ্রেটা গার্বোর বিপরীতে সাতটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৫৩ সালে হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়।[১]
লুইস স্টোন | |
---|---|
Lewis Stone | |
![]() দ্য মুভিং পিকচার ওয়ার্ল্ড (১৯১৬) ছবিতে স্টোন | |
জন্ম | লুইস শেপার্ড স্টোন ১৫ নভেম্বর ১৮৭৯ ওরচেস্টার, ম্যাসাচুসেটস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৩)
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯১১-১৯৫৩ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফ্লোরেন্স বেল ম্যাকিম (মঞ্চনাম: ফ্লোরেন্স ওকলি) মার্গারেট ল্যাংহাম (বি. ১৯০৭; মৃ. ১৯১৭) হ্যাজেল এলিজাবেথ উফ (বি. ১৯৩০; মৃ. ১৯৫৩) |
সন্তান | ৩ |
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
স্টোন ১৮৭৯ সালের ১৫ই নভেম্বর ম্যাসাচুসেট্সের ওরচেস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বার্নার্ড স্টোন ও মাতা ফিলেনা হিল্ড বল। মাত্র ২০ বছর বয়সে লুইসের মাথার চুল পাক ধরে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর হয়ে স্পেনীয়-মার্কিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, এবং পরে সৈন্যদলকে প্রশিক্ষণ দিতে চীনে যান।[২] যুদ্ধ থেকে ফিরে তিনি লেখক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে অভিনয় জীবন শুরু করেন।
কর্মজীবনসম্পাদনা
চীন থেকে ফিরে তিনি ১৯১৬ সালে অনার্স অল্টার দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ফার্স্ট ন্যাশনালের ১৯২০ সালের নোম্যাডস অব দ্য নর্থ-এ রাজকীয় কানাডীয় মাউন্টেড পুলিশ কর্মকর্তা চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯২২ সালে দ্য প্রিজনার অব জেন্ডা-এর নির্বাক সংস্করণে তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯২৪ সালে তিনি সদ্য-প্রতিষ্ঠিত মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারে যোগদান করেন এবং আমৃত্যু এই প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।[২]
স্টোন ১৯২৯ সালে দ্য প্যাট্রিয়ট চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন, তবে তিনি শীর্ষ পারিশ্রমিক গ্রহীতা ছিলেন না।[৩] এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৪] পরবর্তীকালে তিনি নির্বাক ও সবাক চলচ্চিত্র যুগে গ্রেটা গার্বোর বিপরীতে সাতটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি গ্র্যান্ড হোটেল চলচ্চিত্রে ডক্টর ওটার্ন্সশ্লাগ চরিত্রে অভিনয় করেন, যাতে তার মুখনিঃসৃত বিখ্যাত সমাপনী সংলাপ ছিল "গ্র্যান্ড হোটেল। পিপল কামিং। গোয়িং। নাথিং এভার হ্যাপেন্স।" (বিশাল হোটেল। লোকজন আসছে। যাচ্ছে। কখনোই কিছু হচ্ছে না।)
তিনি ১৯৩৩ সালে কুইন ক্রিস্টিনা চলচ্চিত্রে আরও বড় চরিত্রে অভিনয় করেন। কারাগার সম্পর্কিত চলচ্চিত্র দ্য বিগ হাউজ সফল হলে তার কর্মজীবনের বিস্তৃত হয়। তিনি ওয়ালেস বিরির সাথে ডায়নোসর সম্পর্কিত মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড (১৯২৫)-এ ও বরিস কার্লফের সাথে দ্য মাস্ক অব ফু মাঞ্চু (১৯৩২) চলচ্চিত্রে অভিযাত্রী চরিত্রে এবং ব্যুরো অব মিসিং পারসন্স (১৯৩৩)-এ পুলিশ ক্যাপ্টেন চরিত্রে অভিনয় করেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Lewis Stone"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ "Obituaries"। ভ্যারাইটি। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩। পৃষ্ঠা ৬৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৯ – Archive.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Patriot"। সাইলেন্ট এরা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
- ↑ "The 2nd Academy Awards (1930) Nominees and Winners"। অস্কার। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২১।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে লুইস স্টোন (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লুইস স্টোন (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে লুইস স্টোন (ইংরেজি)