লুইস মেরি ইটস (জন্মগত: পিটার্স; ১৮৭৭-১৯৪৪)[১] ছিলেন একজন ব্রিটিশ ভোটাধিকারী, কেনসিংটন মহিলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়নের প্রধান এবং একজন নারী শিক্ষা কর্মী।

লুইস ইটস
গ্লেন হিনশ অঙ্কিত ইটস পোস্টকার্ড
জন্ম
লুইস মেরি পিটার্স

১৮৭৭
মৃত্যু১৯৪৪
জাতীয়তাব্রিটিশ
শিক্ষামেরি এরস্কিন বিদ্যালয়
পরিচিতির কারণকেনসিংটন মহিলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়নের প্রধান
দাম্পত্য সঙ্গীডাঃ অগাস্টাস রেজিনাল্ড ইটস
সন্তানএকটি

জীবন সম্পাদনা

লুইস মেরি পিটার্স ১৮৭৭ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২] তিনি এডিনবার্গ লেডিস কলেজে শিক্ষার্জন সম্পন্ন করেন।[৩]

তিনি ১৯০১ সালে[৩] কেনসাল রাইজের একজন সাধারণ অনুশীলনকারী অগাস্টাস রেজিনাল্ড ইটস এমবি (১৮৭১-১৯৬৩)-কে বিয়ে করেছিলেন।[৪] মহিলা শিল্প পরিষদের তদন্ত কমিটির সাম্মানিক সচিব হিসাবে মহিলা শ্রমিকদের অবস্থার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন।[৫] তার স্বামী ভোটাধিকার ইস্যু এবং অন্যান্য জনসাধারণের প্রশ্নে তাকে আগ্রহী করেছিলেন।[৬] তিনি যখন লন্ডন সোসাইটি ফর উইমেন'স সাফ্রাজে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তখন তিনি তাকে সমর্থন করেছিলেন[৫] এবং ১৯০৬-০৭ সালে মহিলা রাজনৈতিক ও সামাজিক ইউনিয়নে যোগদান করেন এবং ১৯০৬ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত কেনসিংটন শাখার (চেয়ার) সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] [২][৪][৫]

১৯০৭ সালের জুন মাসে, ইটস নাইটসব্রিজে তার বৈঠকখানায় অন্যান্য মধ্যবিত্ত নারীদের আতিথ্য করেছিলেন, যেখানে তিনি কর্মজীবী নারীদের ভোটাধিকার কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডব্লিউএসপিইউ থেকে মিনি বাল্ডককে এক শিলিং ও ছয় পেন্স প্রদান করেছিলেন। ইটস বাল্ডককে তার সাথে একজন 'সত্যিকারের' কর্মজীবী মহিলা জেন সবারবোরোকে আনতে উৎসাহিত করেছিলেন। তার অতিথিরা বক্তার 'অনেক চমৎকার প্রশংসা' করেছিলেন।[২] তার দুই অতিথিকে পরে তাদের ভোটাধিকার সক্রিয়তার জন্য গ্রেফতার করা হয়। ইয়েটস আবার বাল্ডককে আমন্ত্রণ জানান 'ধনী ও নিষ্ক্রিয় নারীদেরকে সেই অসুবিধাগুলি উপলব্ধি করতে যা দরিদ্র মহিলাদের ভোটের দাবিতে বাধ্য করে', এবং এই সময়ে বক্তা হিসেবে এমেলিন পাংখার্স্টগারট্রুড কনোলানকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।[৫]

এই ঘটনাগুলি কর্মজীবী মহিলাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়েছিল এবং এই বৃহৎ ও সক্রিয় শাখায় ডব্লিউএসপিইউ-এর জন্য অর্থায়নে উৎসাহিত করতে সহায়তা করেছিল, যা এর প্রথম বছরে ৩২ পাউন্ড ও ২০১০ সালে ৮০৪ পাউন্ড সংগ্রহ করেছিল।[৫] এক বছরের মধ্যে ইটসের শাখা ভোটস ফর উইমেন এর প্রায় ২৬,০০০ কপি বিক্রি করেছিল এবং কেনসিংটনের চার্চ স্ট্রিটে একটি উদ্ভাবনী 'ভোটস ফর উইমেন' দোকান স্থাপন করেছিল।[৫]

একটি বড় টুপিতে উপবিষ্ট ইটসের একটি পোস্টকার্ড এচিং গ্লেন হিনশ এঁকেছিলেন এবং মহিলাদের ভোটাধিকারের সমর্থনে স্বাক্ষর করেছিলেন।[৭] পোস্টকার্ডের একটি অনুলিপি লন্ডনের সংগ্রহশালায় রয়েছে এবং এটি এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Crawford, Elizabeth (২০০৩)। The Women's Suffrage Movement: A Reference Guide 1866-1928 (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 269–271, 541। আইএসবিএন 978-1-135-43401-4 
  2. Atkinson, Diane (২০১৮)। Rise up, women! : the remarkable lives of the suffragettes। Bloomsbury। পৃষ্ঠা 72, 142, 535। আইএসবিএন 9781408844045ওসিএলসি 1016848621 
  3. "Women's Suffrage Resources"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  4. Mills, Ernestine (১৯০৯)। "Pendant"collections.museumoflondon.org.uk। 95.167/1। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৩ 
  5. Crawford, Elizabeth (১৯৯৯)। The women's suffrage movement : a reference guide, 1866-1928। UCL Press। পৃষ্ঠা 28, 186। আইএসবিএন 0203031091ওসিএলসি 53836882 
  6. Eustance, Claire; John, Prof Angela V. (২০১৩)। The Men's Share?: Masculinities, Male Support and Women's Suffrage in Britain, 1890-1920 (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 25। আইএসবিএন 978-1-136-18144-3 
  7. "How did the Suffragettes make their mark on London?"Evening Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৩ 
  8. "Louise Eates - Hinshaw, Arthur Glenn and Ideal Studios"Google Arts & Culture (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৪