লিলি এল. এল. কং হলেন একজন সিঙ্গাপুরী ভূগোলবিদ এবং সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির (এসএমইউ) বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তিনি সিঙ্গাপুরী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম কোনো মহিলা এবং প্রথম সিঙ্গাপুরী একাডেমিক। এসএমইউতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের আনুষদ (ফ্যাকাল্টি মেম্বার) ছিলেন (এনইউএস) এবং তিনি এনইউএসে বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনামূলক (সিনিয়র ম্যানেজরিয়াল) পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[১][২][৩][৪]

অধ্যাপক

লিলি এল.এল. কং

পিপিএ(পি)
江莉莉 (জিয়াং লিলি)
জন্ম
জাতীয়তাসিঙ্গাপুরী
পেশাভূগোলবিদ
পুরস্কারজনপ্রশাসন পদক (রৌপ্য)
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি
শিক্ষাপিএইচডি
মাতৃ-শিক্ষায়তনইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম
বিষয়ভূগোল
উপ-বিষয়সাংস্কৃতিক ভূগোল
প্রতিষ্ঠানসিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর
প্রধান আগ্রহ
  • ধর্ম
  • সাংস্কৃতিক নীতি এবং সৃজনশীল অর্থনীতি
  • জাতিগত পরিচয়
  • বিশ্বায়ন ও পরিযান
  • প্রকৃতি ও পরিবেশের সামাজিক বিনির্মাণ

কর্মজীবন সম্পাদনা

লিলি কং সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসএস) থেকে ১৯৮৬ সালে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি (সম্মান) নিয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্নাতকোত্তর (এমএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরে তিনি ১৯৯১ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে যান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রশিক্ষণসূত্রে একজন সাংস্কৃতিক ভূগোলবিদ[৫] লিলি ১৯৯১ সালে এনইউএস ভূগোল বিভাগের আনুষদ (ফ্যাকাল্টি মেম্বার) হন এবং ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এনইউএস এর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি এনইউএসে অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনামূলক (সিনিয়র ম্যানেজরিয়াল) পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় স্কলার্স প্রোগ্রামের ডিন, উপ-প্রভোস্ট (শিক্ষা), উপ-প্রভোস্ট (শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিত্ব), ইয়েল-এনইউএস কলেজের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট (শিক্ষায়তনকি কার্যাবলী), এশিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট (বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈশ্বিক সম্পর্ক) হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন।[৪]

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, কং সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (এসএমইউ) প্রভোস্ট এবং সামাজিক বিজ্ঞানের লি কং চিয়ান চেয়ার অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেছেন।[৬] ২০১৯ সালের শুরুতে তিনি এসএমইউর প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেলজিয়ামের একাডেমিক অর্নাড ডি মেয়ারের স্থলাভিষিক্ত হন, এর মধ্য দিয়ে তিনি সিঙ্গাপুরী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা এবং প্রথম সিঙ্গাপুরী একাডেমিক হিসেবে খ্যাত হয়েছেন।[২][৩]

এসএমইউর প্রেসিডেন্ট হিসাবে, কং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অনুষদের মান বৃদ্ধি, শিক্ষামূলক কর্মসূচির বিকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার প্রভাব বৃদ্ধি, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানির নীতি সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করেন।[২][৭][৮]

২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে কং সিঙ্গাপুরের পাবলিক সার্ভিস কমিশনেরও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।[৩]

গবেষণা সম্পাদনা

কং তার ১৫ টিরও বেশি জার্নালের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পাদকীয় উপদেষ্টা বোর্ডের সম্পাদক বা সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূগোল (Social and Cultural Geography) এবং ডায়ালগ্‌স ইন হিউম্যান জিওগ্রাফি। তিনি প্রশান্তমহাসাগরীয় পরিসীমার ভূগোল: সমকালীন সংস্কৃতি, পরিবেশ, শহর ও উন্নয়ন সম্পর্কিত গবেষণা (Pacific Rim Geographies: Studies on Contemporary Culture, Environment, Cities and Development) ( রাউটলেজ ) নামের একটি সিরিজের সম্পাদক , এআরআই-স্প্রিঙ্গার এশিয়া (ARI-Springer Asia Series) সিরিজের সহ-প্রধান সম্পাদক এবং এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক রাজনীতি (ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় প্রেস এবং হংকং ইউনিভার্সিটি প্রেস) বই-সিরিজের উপদেষ্টা। তার নামে ১৯টি বই ও মনোগ্রাফ রয়েছে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রেফার্ড জার্নাল এবং বই-অধ্যায়ে তার লেখা দেড় শতাধিক প্রবন্ধ রয়েছে। তার গবেষণা আগ্রহের মধ্যে রয়েছে ধর্ম, সাংস্কৃতিক নীতি এবং সৃজনশীল অর্থনীতি, জাতীয় পরিচয়, বিশ্বায়ন এবং পরিযান (মাইগ্রেশন) এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের সামাজিক বিনির্মাণ।[৪][৯]

পুরস্কার সম্পাদনা

লিলি কংয়ের প্রাপ্ত পুরস্কারগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:[৩][৪][৬]

সিঙ্গাপুরী পুরস্কার
  • এনইউএস ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস টিচিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড
  • এনইউএস আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড (অসামান্য বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক পুরস্কার)
  • সিঙ্গাপুরের জাতীয় বই উন্নয়ন কাউন্সিল থেকে বুক অ্যাওয়ার্ড
  • ২০০৬ জাতীয় দিবস পুরস্কার
  • জনপ্রশাসন পদক (রৌপ্য)
আন্তর্জাতিক পুরস্কার
  • সম্মানসূচক ডক্টর অফ সায়েন্স, লাফবারো বিশ্ববিদ্যালয়
  • কমনওয়েলথ ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড
  • ফুলব্রাইট ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড
  • স্বতন্ত্র পরিষেবার (ধর্ম ও বিশ্বাস পদ্ধতির ভূগোল) জন্য অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকান জিওগ্রাফারস রবার্ট স্টোডার্ড পুরস্কার

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sharma, Yojana। "Universities overhaul sexual harassment rules after outcry"University World News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  2. Davie, Sandra (২০১৮-০৪-০৩)। "Social scientist Lily Kong to become first Singaporean academic to helm SMU"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  3. "Professor Lily Kong"Public Service Commission, Singapore। ১৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯ 
  4. "Lily Kong" (পিডিএফ)Faculty of Arts and Social Sciences, National University of Singapore। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯ 
  5. Chandran, Rina (২০১৯-০১-০৩)। "No rest for the dead: Singapore digs up graves for highways"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  6. "Prof Lily Kong"Agency for Science, Technology and Research। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯ 
  7. Otsuka, Hana। "Sexual misconduct policies: local vs overseas universities – The Independent News" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  8. Kan, Francis (২০১৮-১২-০৫)। "Setting the scene for the new year"The Business Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৫ 
  9. "SMU Appoints Professor Lily Kong as Fifth President"Singapore Management University। ৩ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৯