লা নুই বেঙ্গলী
লা নুই বেঙ্গলী (ফরাসি: La Nuit Bengali; অনু. বাঙালির রাত) হলো ১৯৩৩ সালে লেখক ও দার্শনিক মির্চা এলিয়াদে রচিত একটি রোমানীয় উপন্যাস। রোমানীয় ভাষায় বইটি মূলত মৈত্রেয়ী (রোমানীয়: Maitreyi) নামে প্রকাশিত হয়েছিল।
লেখক | মির্চা এলিয়াদে |
---|---|
মূল শিরোনাম | Maitreyi |
দেশ | রোমানিয়া |
ভাষা | রোমানীয় |
ধরন | আত্মজীবনীমূলক রোম্যান্স উপন্যাস |
প্রকাশক | Cultura naţională |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৩৩ |
ইংরেজিতে প্রকাশিত | ১৯৯৩ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (হার্ডব্যাক এবং পেপারব্যাক) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৭৫ |
আইএসবিএন | ৯৭৮৯৭৩৫০০৪১০১ |
এটি সেই সময় ভারত সফররত এলিয়াদে এবং তরুণ মৈত্রেয়ী দেবীর (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিষ্য, পরবর্তীতে নিজেও বিখ্যাত লেখক হন) মধ্যে প্রেমকাহিনির একটি কাল্পনিক বিবরণ। উপন্যাসটি ১৯৪৫ সালে ইতালীয়, ১৯৪৮ সালে জার্মান, ১৯৫২ সালে স্প্যানিশ, ১৯৮৮ সালে লা নুই বেঙ্গলী শিরোনামে বাংলা, ২০০৭ সালে এসপেরান্তো (সেরিও ওরিয়েন্তো-ওকসিদেন্তোর অংশ হিসাবে ফ্রাউলিনো মৈত্রেয়ি), ২০১১ সালে কাতালান এবং ২০১৯ সালে জর্জীয় ভাষায় অনূদিত হয়। এর সর্বাধিক বিখ্যাত অনুবাদটি ১৯৫০ সালে ফরাসি ভাষায় La Nuit Bengali নামে প্রকাশিত হয়েছিল।
উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পরেও বহু বছর ধরে মৈত্রেয়ী দেবী এই বিষয়ে জানতেন না। এটি পড়ার পর ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলা ভাষায় ন হন্যতে নামে এলিয়াদের সাথে তার সম্পর্কের একটি নিজস্ব সংস্করণ লিখেছিলেন। পরবর্তিতে It Does Not Die নামে বইটি ইংরেজিতেও প্রকাশিত হয়।
এলিয়াদে মৈত্রেয়ী দেবীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার উপন্যাসটি তাদের দুজনের কারো জীবদ্দশাতেও ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে না।[১] মির্চা এলিয়াদে ১৯৮৬ সালে ও মৈত্রেয়ী দেবী ১৯৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাই এর ইংরেজি অনুবাদ Mayitreyi, Bengal Nights (মৈত্রেয়ী, বেঙ্গল নাইটস) ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। ১৯৯৪ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস দুজনের দুটি রচনা ইংরেজিতে সহযোগী ভলিউম হিসাবে প্রকাশ করে।
কাহিনিসংক্ষেপ
সম্পাদনাঅ্যালান প্রকৌশলী নরেন্দ্র সেন পরিচালিত কোম্পানির একজন কর্মচারী। ভারতের বৃষ্টি-সমৃদ্ধ অঞ্চলে কাজ করতে পাঠানো হলে অ্যালান ম্যালেরিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সার পরে, নরেন্দ্র অ্যালানকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। তরুণ অতিথি গৃহস্বামী নরেন্দ্র সেনের কন্যার (মৈত্রেয়ী) প্রেমে পড়ার অল্প সময়ের মধ্যেই, তাদের নিষিদ্ধ প্রেম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। মৈত্রেয়ীর বোন চাবু অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের আলিঙ্গন করতে দেখে অ্যালানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মৈত্রেয়ীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। এরফলে দু'জনেই চরম ভোগান্তিতে পড়েন। কষ্ট থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে অ্যালান হিমালয় পর্বতমালার একটি বাংলোতে ফিরে যান। সেখানে জেনিয়া ইসাকের সাথে তার দেখা হয়...
চলচ্চিত্রায়ন
সম্পাদনালা নুই বেঙ্গলী চলচ্চিত্রটি এই উপন্যাসের ফরাসি অনুবাদের উপর ভিত্তি করে ১৯৮৮ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেছেন হিউ গ্রান্ট (অ্যালান), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (নরেন্দ্র সেন), শাবানা আজমি (ইন্দিরা সেন), সুপ্রিয়া পাঠক (গায়ত্রী), অ্যান ব্রোচেট (গার্টি)।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kamani, Ginu (1996). A Terrible Hurt: The Untold Story behind the Publishing of Maitreyi Devi. Toronto Review.