লালন শাহ পার্ক রাজশাহী মহানগরীর পাঠানপাড়ায় পদ্মা নদীর কূল ঘেঁষে নির্মিত একটি উদ্যান ও বিনোদন কেন্দ্র। এটি রাজশাহী মহানগরীর একমাত্র উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র।[১] রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে ২০১৩ সালে এই পার্কটি স্থাপন করা হয়। মরমী কবি লালন শাহের নামে এটির নামাকরণ করা হয়।

লালন শাহ পার্ক
পদ্মা নদীর আবহে ৭৫০ জন বিনোদনপ্রেমী মানুষ এই উন্মুক্ত থিয়েটারে অনায়াসে এক সঙ্গে বসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন
লালন শাহ পার্ক মুক্ত মঞ্চ
মানচিত্র
ধরনবিনোদন পার্ক
অবস্থানরাজশাহী
নির্মিত২০১৩
পরিচালিতরাজশাহী সিটি কর্পোরেশন
খোলা১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ইতিহাস সম্পাদনা

২০১৩ সালে মহানগরীর পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য বর্ধন ও বিনোদনের জন্য রাজশাহী মহানগরীর ৯নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া পদ্মার পাড়ে ৫৫ একর জমির ওপর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (সংক্ষেপে রাসিক) এর উদ্যোগে নির্মাণ করা হয় লালন শাহ পার্কটি।[২][৩] রাসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর উদ্বোধন করেন।

অবকাঠামো সম্পাদনা

এই পার্কে একসঙ্গে প্রায় ৫-৭ হাজার মানুষ অবস্থান করতে পারে। পার্কের অভ্যন্তরকে গ্রিন জোন, ল্যান্ডস্কেপ এবং পর্যটন ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ধরনের আইটেমে তৈরি করা হয়। এখানে একটি মুক্তমঞ্চ রয়েছে। যেখানে মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধা রয়েছে। পদ্মা নদীর আবহে ৭৫০ জন বিনোদনপ্রেমী মানুষ এই উন্মুক্ত থিয়েটারে অনায়াসে এক সঙ্গে বসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। পদ্মা নদীর টানে প্রাকৃতির নির্মল পরিবেশে মুক্ত হাওয়া খেতে সব বয়সের মানুষই এখানে আসেন ও সময় কাটিয়ে থাকেন।[৪]

ছবিঘর সম্পাদনা

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'শহর সাজানো মানে বাণিজ্যিকীকরণ নয়'"প্রথম আলো। ৫ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৬ 
  2. "লালন শাহ পার্ক উন্মুক্তই থাকছে"। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "লালন শাহ পার্ক লিজ দেয়া হবে না"দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৬ 
  4. "গরু–ছাগলের দখলে পার্ক"। প্রথম আলো। ৮ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৮