লাইবনিৎস ও নিউটনের ক্যালকুলাস বিবাদ

গণিতবিদদের অন্তর্দ্বন্দ্ব

সপ্তদশ শতাব্দীতে আইজাক নিউটন এবং গটফ্রিড লাইবনিৎস এই দুজনের মধ্যে কে প্রথমে ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে একটি বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। এই বিবাদটিই ইতিহাসে লাইবনিৎস ও নিউটনের ক্যালকুলাস বিবাদ নামে পরিচিত। নিউটন দাবী করেছিলেন, ১৬৬৬ সালে তিনি ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছেন। তার আবিষ্কৃত ক্যালকুলাস ছিল মূলত "ফ্লাক্সিয়ন এবং ফ্লুয়েন্টের পদ্ধতি"। কিন্তু ১৬৬৬ এরও কয়েক দশক পরে তিনি প্রথমবারের মত এই পদ্ধতির কথা গবেষণাপত্র আকারে প্রকাশ করেন। এর মধ্যে অবশ্য তার একটি প্রকাশনার পিছনের পাতায় এ সংক্রান্ত সামান্য কিছু কথা উল্লেখ করেছিলেন। অপরদিকে লাইবনিৎস ১৬৭৪ সালে ক্যালকুলাসের একটি ধরন আবিষ্কার করেন এবং ১৬৮৪ সালেই তা গবেষণাপত্র আকারে প্রকাশ করেন। ১৬৯৬ সালে গিয়্যোম দ্য লোপিতাল লাইবনিৎসের ক্যালকুলাস বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছিলেন। অপরদিকে নিউটন ১৬৯৩ সালে প্রথম ক্যালকুলাসের কিছু অংশ প্রকাশ করেন এবং ১৭০৪ সালে সম্পূর্ণ প্রকাশ করেন। ১৬৭৬ সালে লাইবনিৎস লন্ডন ভ্রমণে গিয়ে নিউটনের একটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি দেখেছিলেন। এ কারণেই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, লাইবনিৎস নিউটনের ধারণার উপর ভিত্তি করেই ক্যালকুলাসের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন কি-না। এই প্রশ্ন থেকে একটি দীর্ঘ বুদ্ধিবৃত্তিক বিবাদের সূচনা হয়, কে আগে ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে। ১৬৯৯ সাল থেকে হালকা হালকা শুরু হয়ে ১৭১১ সালের পর এই বিবাদ পূর্ণোদ্যমে চলা শুরু করে।

আইজাক নিউটন এবং গটফ্রিড লাইবনিৎস

আরও দেখুন

সম্পাদনা