লরেন বেথেল
লরেন বেথেল একজন আফ্রিকান-আমেরিকান লেসবিয়ান নারীবাদী কবি এবং লেখক ।
পেশাগত অভিজ্ঞতা সম্পাদনা
তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক।[১] বেথেল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কৃষ্ণাঙ্গ নারী সাহিত্য এবং কৃষ্ণাঙ্গ নারী সংস্কৃতির উপর শিক্ষাদান করেছেন ও বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে নিউইয়র্ক শহরে একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন।
কমবেহী রিভার কালেক্টিভ এর সাথে সম্পৃক্ততা সম্পাদনা
তিনি ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে কমবেহি রিভার কালেক্টিভের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এই সংগঠনটি নারী মুক্তি আন্দোলনের অংশ ছিল। কমবেহি রিভার কালেক্টিভ ছিল ১৯৭৪ সালে বোস্টনে প্রতিষ্ঠিত একটি কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদী দল। এটি জাতিগত, যৌন, বিষমকামী, অপরিবর্তনীয় জাতিগত বিদ্বেষ এবং শ্রেণী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।
নারীবাদী লেখা সম্পাদনা
একটি নারীবাদী নিউজ জার্নাল অফ আওয়ার ব্যাকসের একটি সংখ্যায়, ১৯৭৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি তারিখে নিউ ইয়র্ক সিটির উইমেন'স সেন্টারে সংঘটিত তৃতীয় বিশ্ব লেসবিয়ান লেখক সম্মেলনের একজন অংশগ্রহণকারী তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন, সেখানে লরেন বেথেল এবং বারবারা স্মিথ পাঁচটি উপলব্ধ কর্মশালার মধ্যে একটি কর্মশালা পরিচালনা করেছিলেন। "তৃতীয় বিশ্ব নারীবাদী সমালোচনা" নামে পরিচিত তাঁদের কর্মশালায় বেথেল এবং স্মিথ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেগুলির মধ্যে ছিল "সমালোচনা"র সংজ্ঞা, সমালোচনাকে "সৃজনশীল" শিল্প হিসেবে নেওয়া, শ্বেতাঙ্গ নারীবাদ বনাম কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদ, আন্তঃবিভাগীয় নারীবাদ, এবং কৃষ্ণাঙ্গ লেসবিয়ানদের একীকরণ।
সেই বছরের পরে, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে, লরেন বেথেল এবং বারবারা স্মিথ দুজনে কন্ডিশনস : ফাইভ এর "দ্য ব্ল্যাক উইমেনস ইস্যু" র অতিথি সম্পাদনা করেন। এই পত্রিকাটি ছিল মূলত কৃষ্ণাঙ্গ লেসবিয়ান মহিলাদের জন্য একটি সাহিত্য পত্রিকা।[২][৩] এর ভূমিকায় বলা হয়েছিল যে এই সংখ্যাটি "কৃষ্ণাঙ্গ নারীবাদী ও কৃষ্ণাঙ্গ লেসবিয়ান লেখকদের 'অস্তিত্বহীনতা'কে অস্বীকার করে এবং চিরকাল আমাদের অদৃশ্যতাকে অস্বীকার করে, বিশেষ করে নারীবাদী প্রেসে।"[৪] বেথেল একটি কবিতা লিখেছিলেন, "হোয়াট চৌ মানে আমরা, সাদা মেয়ে? এছাড়া লিখেছিলেন কুলুড লেসবিয়ান নারীবাদী স্বাধীনতার ঘোষণা", যা এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।[৪]
বেথেলের একটি প্রবন্ধ, ""দ্য ইনফিনিটি অফ কনশাস পেইন": জোরা নিল হার্স্টন অ্যাণ্ড ব্ল্যাক ফিমেল লিটারারি ট্র্যাডিশন" সেমিনাল বইতে প্রকাশিত হয়েছিল, "অল অফ দ্য উইমেন আর হোয়াইট, অল অফ দ্য ব্ল্যাকস আর মেন, বাট সাম অফ আস আর ব্রেভ: ব্ল্যাক ওম্যানস স্টাডিজ।"[১] এই প্রবন্ধে একজন কালো নারীবাদী সমালোচককে চিহ্নিত করে তিনি লিখেছেন, " . . আমি বিশ্বাস করি কৃষ্ণাঙ্গ নারী লেখকদের একটি পৃথক এবং সনাক্তযোগ্য ঐতিহ্য রয়েছে, একই সাথে আমেরিকা, আফ্রো-আমেরিকান এবং আমেরিকান মহিলা সাহিত্যিক ঐতিহ্যের মধ্যে বিদ্যমান এবং স্বাধীন।"[৫]
প্রকাশনার তালিকা সম্পাদনা
- বেথেল, লরেন এবং বারবারা স্মিথ (সম্পাদনা। ) কন্ডিশনস (পত্রিকা) : পঞ্চম ২, নং. ২: দ্য ব্ল্যাক উইমেনস ইস্যু (অটাম ১৯৭৯)[৩][৬]
- "চৌ মানে 'আমরা', সাদা মেয়ে? অথবা, কুলুড লেসবিয়ান নারীবাদী স্বাধীনতার ঘোষণা (সমস্ত মহিলা সমান নয় এই প্রস্তাবে উৎসর্গীকৃত, অর্থাৎ,অভিন্ন/ভাবে নিরুদ্ধ)", কবিতা প্রকাশিত বেথেল এন্ড স্মিথ (সংস্করণ, ১৯৭৯), পৃ. ৮৬-৯২।[৪]
- "'সচেতন ব্যথার এই অসীম': জোরা নিল হারস্টন এবং ব্ল্যাক ফিমেল লিটারারি ট্র্যাডিশন"। ইন হাল, গ্লোরিয়া টি., স্মিথ, বারবারা এবং স্কট, প্যাট্রিসিয়া বেল (সম্পাদনা। ), কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু সাহসী: সমস্ত মহিলারা সাদা, সমস্ত কালোরা পুরুষ: কালো মহিলা স্টাডিজ৷ ফেমিনিস্ট প্রেস, ১৯৮৬।আইএসবিএন ০-৯১২৬৭০-৯৫-৯[৫]
আরও পড়ুন সম্পাদনা
- আইএসআইএস "হারস্টোরি মেকিং।" অফ আওয়ার ব্যাকস ৩০শে এপ্রিল ১৯৭৯: ২০. প্রোকোয়েস্ট. ওয়েব ২২শে মে ২০১৬
- ম্যাকডওয়েল, ডেবোরা ই. ব্ল্যাক আমেরিকান লিটারেচার ফোরাম ১৬.২ (১৯৮২): ৭৭-৭৯। ওয়েব
- ফিল্যাও, দিশা। "কন্ডিশনস: পঞ্চম।" বিচ মিডিয়া, ৫ই মে ২০০৯। ওয়েব। ২১শে মে 2016। [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ But Some of Us Are Brave: Black Women's Studies। The Feminist Press। ১৯৮২।
- ↑ Guy-Sheftall, Beverly (১৯৯৫)। Words of Fire: An Anthology of African-American Feminist Thought। The New Press। পৃষ্ঠা 253।
- ↑ ক খ "Conditions: A Magazine of Writing by Women With an Emphasis on Writing by Lesbians"। Emory Libraries Blog (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-৩১।
- ↑ ক খ গ "Conditions: Five"। Bitch Media (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৯।
- ↑ ক খ Hull, Akasha Gloria; Bell-Scott, Patricia (১৯৮২)। All the women are White, all the Blacks are men, but some of us are brave: Black women's studies (English ভাষায়)। Feminist Press। আইএসবিএন 978-1-55861-899-2। ওসিএলসি 559552782।
- ↑ Moravec, Michelle (২০১৬-০৩-১৬)। "Know Your (Black) Feminisms"। Medium (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৯।