লখিমপুর খেরি জেলা

উত্তর প্রদেশের একটি জেলা

লখিমপুর খেরি জেলা হল নেপাল সীমান্তে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বৃহত্তম জেলা। এর প্রশাসনিক রাজধানী হল লখিমপুর[১]

লখিমপুর খেরি জেলা
উত্তরপ্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশে লখিমপুর খেরি জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশে লখিমপুর খেরি জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক (লখিমপুর, উত্তরপ্রদেশ): ২৭°৩৬′ উত্তর ৮০°২০′ পূর্ব / ২৭.৬° উত্তর ৮০.৩৪° পূর্ব / 27.6; 80.34 - ২৮°৩৬′ উত্তর ৮১°১৮′ পূর্ব / ২৮.৬° উত্তর ৮১.৩০° পূর্ব / 28.6; 81.30
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগলখনউ
সদর দপ্তরলখিমপুর, উত্তরপ্রদেশ
সরকার
 •  লোকসভা কেন্দ্রগুলিখেরি, ধৌরহরা
আয়তন
 • মোট৭,৬৮০ বর্গকিমি (২,৯৭০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৪০,২১,২৪৩
 • জনঘনত্ব৫২০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা১১.৪৬%
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৬০.৫৬%
 • যৌন অনুপাত৮৯৪
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
ওয়েবসাইটhttp://kheri.nic.in

লখিমপুর খেরি জেলা লখনউ বিভাগের একটি অংশ, মোট অঞ্চল ৭,৬৮০ বর্গকিলোমিটার (২,৯৭০ মা)।[১] জাতীয় সরকার ২০০১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে লখিমপুর খেরিকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যেটি এর জীবনযাত্রার মান এবং সুযোগ-সুবিধার উন্নতির জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন চিহ্নিত করে।[২][৩]

দুধওয়া জাতীয় উদ্যান,[১] লখিমপুর খেরিতে অবস্থিত এবং এটি উত্তর প্রদেশের একমাত্র জাতীয় উদ্যান।[৪] এখানে বাঘ, চিতা, জলাভূমির হরিণ, শক্ত লোমযুক্ত খরগোশ এবং বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান (সারস)সহ অনেকগুলি বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির আবাস রয়েছে।

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

লখিমপুর আগে লক্ষিপুর নামে পরিচিত ছিল।[১]

খেরি একটি শহর, লখিমপুর থেকে ২ কিলোমিটার (১.২ মা) দূরে অবস্থিত। ১৫৬৩ সালে মৃত সৈয়দ খুরদের অবশেষের উপর নির্মিত একটি সমাধি থেকে এই নামটি এসেছে। স্বাধীনতার পূর্বে সমাধিটি ১৮৫৬ সালের XX আইনের অধীনে পরিচালিত হত, এখানে আয় ছিল প্রায় ৮০০।[৫] [৬] অন্য একটি তত্ত্ব থেকে জানা যায় যে নামটি খয়ের গাছ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, একসময় এই অঞ্চল জুড়ে এই গাছ পাওয়া যেত।

উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত সম্পাদনা

 
বারাশিঙ্গা

লখিমপুর খেরির দুধওয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ স্থলের দুটি মূল অঞ্চল রয়েছে, দুধওয়া জাতীয় উদ্যান[৭] এবং কিশানপুর বন্যজীবন অভয়ারণ্য, যাদের ১৯৮৭ সালে একীকরণ করা হয়েছিল। দুধওয়া জাতীয় উদ্যানটি উত্তরাখণ্ড গঠনের পরে রাজ্যের প্রথম জাতীয় উদ্যান হিসাবে পরিচিত ছিল এবং এটি একটি জাতীয় সুরক্ষিত অঞ্চল। এখানে বাঘ, চিতা, গণ্ডার, শক্ত লোমযুক্ত খরগোশ, হাতি, কালো হরিণ এবং জলাভূমির হরিণ সহ অনেকগুলি বিরল এবং বিপন্ন প্রজাতির বাসস্থান। দুধওয়াতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে সারস, পানকৌড়ি, চক্রবাক এবং বেশ কয়েকটি প্রজাতির হাঁস, রাজহংস এবং বালি হাঁস। হিমালয় থেকে শীতে সময় কাটাতে এখানে আসা পরিযায়ী পাখিসহ জলের পাখিদের কাছে এর জলাজমি এবং হ্রদ বিশেষ আকর্ষণীয়। "বাঁকে তাল" এ পাখি পর্যবেক্ষণ সাধারণ।[৮]

১৮৬০ সালে এই অঞ্চলে স্যার ডি.বি. ব্র্যান্ডিসের পরিদর্শনের পরে, বর্তমানে দুধওয়া জাতীয় উদ্যানের ৩০৩ কিলোমিটার (১৮৮ মা) বন অঞ্চল সংরক্ষণের জন্য ১৮৬১ সালে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল।[৯] খেরি জেলায়, মোহনা এবং সুহেলি নদীর মধ্যস্থিত খারিগড় পরগনার সমস্ত সাল ও বিভিন্ন বন ও তৃণভূমি তৎকালীন উত্তর খেরি বন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "About Lakhimpur-Kheri"Official website Lakhimpur-Kheri। National Informatics Centre। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩ 
  2. "Identification of Minority Concentration Districts"Press Information Bureau, Government of India। Ministry of Minority Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩ 
  3. "Rank of Cities on Sanitation 2009-2010: National Urban Sanitation Policynitation policy" (পিডিএফ)Ministry of Urban Development website। Government of India। ৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৩ 
  4. "National Parks"wiienvis.nic.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১০ 
  5. Henry Frowde. The Imperial Gazetteer of India, Vol. XII. Published under the authority of the Secretary of State for India in Council. Oxford, Clarendon Press, 1908.
  6. The Imperial Gazetteer of India, Vol. XII, text version
  7. Nature's strongholds: the world's great wildlife reserves – Page 211, আইএসবিএন ০-৬৯১-১২২১৯-৯, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৯১-১২২১৯-৯
  8. "5 birds you can't miss when in Dudhwa National Park"। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  9. "DUDHWA TIGER RESERVE-PROJECT TIGER"। ১০ মে ২০০৪। ১০ মে ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা