রূপকল্প ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার (২০০৮) কর্তৃক গৃহীত নির্বাচনী ইশতেহার, যা বাংলাদেশকে ২০০৮ সালের মধ্য

রূপকল্প ২০২১ (ভিশন ২০২১ নামেও পরিচিত) ছিল ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী ইশতেহার। এটি দেশের বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক রূপরেখা হয়ে ওঠে। নীতিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তিগত আশাবাদের একটি নীতির প্রতীক হিসেবে এবং গণমাধ্যমের রাষ্ট্রীয় দমন, ইন্টারনেটের ক্রম অনুপ্রবেশ, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীতি হিসেবে সমালোচিত হয়েছে।[] ভিশন ২০২১ হল ২০২১ সালে এই জাতির কোথায় থাকা দরকার তার একটি বিবৃতি - যে বছরটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী চিহ্নিত করে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করাও এর অন্যতম প্রধান অংশ ছিল।

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতীক
স্বাধীনতার ৫০ বছর।

পটভূমি

সম্পাদনা

সমালোচনা

সম্পাদনা

ডিজিটাল বাংলাদেশ এর প্রচারে বাংলাদেশের অনেকের মধ্যে সমালোচনা ও উপহাসের তৈরী হয়েছে।[][] সাধারণভাবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যবহৃত "ডিজিটাল" শব্দটি কোনও কাজ সহজেই এবং দ্রুত গোপনীয়তা ব্যবহার করে করা বোঝায়, এটি মুলত একটি লক্ষ্য বা একটি স্লোগান। যদিও চাকরি এবং আয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছু সুযোগ বিদ্যমান এবং অনলাইন তথ্যপ্রযুক্তি এবং অনলাইন তথ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাইব্রিড সেবা প্রদান করে আসছে, তবুও অর্থনীতিতে বেশ কিছুটা স্থিতিশীলতা রয়েছে।[][] এই অভিযোগ করা হয় যে প্রকৃতপক্ষে, ২০১৫ পর্যন্ত তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি এবং অগ্রগতি ছিল ধীর গতির। উদাহরণস্বরূপ,সরকার ডিজিটালাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়সহ দপ্তরগুলি চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ঠিকই, কিন্তু জানুয়ারী ২০১৫ পর্যন্ত, পাবলিক অফিসগুলি ঠিক আগের মতই ফাইলিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেবা প্রদান চালু রেখেছিল। যদিও মোবাইল ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর বা অনলাইন ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং নগর থেকে গ্রামীণ এলাকায় অর্থ প্রবাহ বেড়েছে, তবুও ইলেকট্রনিক অর্থ লেনদেন এখনও পিছিয়ে রয়েছে। এই লেনদেনের পরিমাণ এখনও প্রতি মাসে মাত্র ৬ কোটি টাকা। "ডিজিটাল বাংলাদেশ" প্রকল্পের একটি অংশ ছিল সরকারের ওয়েবসাইটগুলির ব্যাপক ক্রমবিকাশ। ২০১২-এর আইসিটি স্কাইপ বিতর্কের ব্রেকআউট প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে "বিদেশী মন্ত্রণালয়ের সমস্ত কর্মকর্তাদের আবাসিক ফোন নম্বর অনলাইনে পাওয়া গেছে"- এটা বলা হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের "ব্যক্তিগত ডাটা শীট" অনলাইনে প্রকাশ করেছে - যেখানে দেখা যায় যে বিভিন্ন রের্কড যা সংবেদনশীল যোগাযোগের তথ্য (পোস্টাল ঠিকানা, ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর সহ), তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, তাদের শিক্ষা বিবরণ এবং তাদের পিতামাতার বিস্তারিত বিবরণ এসব তথ্য রয়েছে।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Whither Digital Bangladesh?"The Khichuri। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. Das, Subir (৩০ জানুয়ারি ২০০৯)। "Digital Bangladesh"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  3. "Choatic traffic management in 'digital' Bangladesh"। The Financial Express। The Financial Express। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. Titumir, Rashed Al Mahmud; Roy, Nibedita; Hossain, Md. Nasir; Md. Adnan, Shahid (ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Industrial Sector of Bangladesh: Status Quo or Re-Visioning?"। Bangladesh Economic Update4 (2)। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা