রূপকথার এনসাইক্লোপিডিয়া

রূপকথার এনসাইক্লোপিডিয়া[] বা দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফেয়ারি টেলস (জার্মান: Enzyklopädie des Märchens) হল আন্তর্জাতিক লোকাচারবিদ্যার ওপর একটি জার্মান প্রাসঙ্গিক কাজ। এটি পনেরটি খণ্ডে বিস্তৃত এবং এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যাপক কাজ হিসেবে স্বীকৃত।[] এটি লোক আখ্যান ঐতিহ্যের দুই শতাব্দীরও বেশি গবেষণা নিয়ে পরীক্ষা করেছে। ১৯৬০-এর দশকে কার্ট র‍্যাঙ্ক এটি শুরু করেছিলেন এবং প্রধান সম্পাদক রল্ফ উইলহেম ব্রেডনিচ এটি চালিয়ে গেছেন, তাঁরা উভয়েই গটিংজেন একাডেমি অফ সায়েন্সেস (জার্মান: Akademie der Wissenschaften zu Göttingen) থেকে ছিলেন।[][]

রূপকথার এনসাইক্লোপিডিয়ার (জার্মান: Enzyklopädie des Märchens) কর্মক্ষেত্র

প্রযুক্তিগত সাময়িকী ফেবুলার মতো এটিও ওয়াল্টার ডি গ্রুটার জিএমবিএইচ প্রকাশনা সংস্থা[] দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে, গটিনজেনের জর্জ-আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গটিনজেন একাডেমি অফ সায়েন্সেসের একটি প্রকল্প হিসাবে এটি করা হয়েছিল। এই কাজের অগ্রদূত ছিল জার্মান রূপকথার হ্যাণ্ডবুক (জার্মান: Handwörterbuch des deutschen Märchens), যার মধ্যে মাত্র দুটি খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল।[][]


রূপকথার এনসাইক্লোপিডিয়া বা দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফেয়ারি টেলস নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করে, যা লোককথার গবেষণার সাথে প্রাসঙ্গিক:[] []

  • তত্ত্ব এবং পদ্ধতি,
  • জেনার প্রশ্ন, শৈলী এবং গঠন সমস্যা, প্রসঙ্গ এবং কর্মক্ষমতা সমস্যা
  • গুরুত্বপূর্ণ গল্পের ধরন এবং মোটিফ
  • পণ্ডিত, সংগ্রাহক এবং লেখকদের জীবনী
  • জাতীয় এবং আঞ্চলিক সমীক্ষা

সৃষ্টি ও সংকলন

সম্পাদনা

প্রকল্পটি ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে কার্ট র‍্যাঙ্কে একটি ছোট কর্মীদল নিয়ে শুরু করেছিলেন এবং প্রথম গুচ্ছটি ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। র‍্যাঙ্কে শুধু প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, তিনি প্রথম প্রধান সম্পাদকও ছিলেন; রল্ফ উইলহেম ব্রেডনিচ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করেছিলেন। অন্যান্য সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন এলফ্রিড মোসার-রাথ (১৯৬৩- ১৯৮৭),[] ম্যাক্স লুথি (১৯৭৩ -১৯৮৪), শেণ্ডা (১৯৭৩ -১৯৯২), লুৎজ রোহরিচ (১৯৭৩-২০০৬), এবং রেজিনা বেণ্ডিক্স (২০০৫-২০০৬)। কারিগরি সম্পাদকদের মধ্যে ডরিস বোডেন, উলরিচ মারজোলফ, উলরিক-ক্রিস্টিন স্যাণ্ডার এবং ক্রিস্টিন শোজাই কাওয়ান অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।[১০] এনসাইক্লোপিডিয়ার উপর ভিত্তি করে একটি অনলাইন-ডাটাবেস, দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য ফোক টেল অনলাইন, ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।[১১]

মন্তব্য

সম্পাদনা
  1. The work is generally known in English as the Encyclopedia of Fairy Tales, see, e.g. "De Gruyter: Profile: Literary science"। De Gruyter। ৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। , although Encyclopedia of the Folktale is an alternate translation.
  2. Marzolph, Ulrich (২০১০)। "Celebrating the Growing Discipline of Folk Narrative Research" (পিডিএফ)। International Society for Folk Narrative Research: 4–5। ২ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. Uther, Hans-Jörg (১৯৮৬)। "The Encyclopedia of the Folktale"। Fairy Tales and Society: Illusion, allusion, and paradigm। University of Pennsylvania Press। আইএসবিএন 978-0-8122-8021-0 
  4. Festgabe für Ines Köhler-Zülch: aus Anlaß ihres 65. Geburtstages überreicht von ihren Kolleginnen und Kollegen der Enzyklopädie des Märchens (German ভাষায়)। Eigenverl. der Enzyklopädie des Märchens। ২০০৬। ওসিএলসি 836411606 
  5. "Märchenzeit (Fairy tale time)"Der Spiegel। ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯। ৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. The first fascicle of volume 1 was published in 1930. The two completed volumes were: Handwörterbuch des deutschen Märchens, Volume 1: Aarnes Märchentypensystem - Exotische Vögel। De Gruyter। ১৯৩৩। ওসিএলসি 163503036  and Handwörterbuch des deutschen Märchens, Volume 2: Fabel - Gyges। De Gruyter। ১৯৪০। ওসিএলসি 163503041 
  7. Wittman, Angela (২৬ ডিসেম্বর ২০০৫)। "Was die Zwerge nicht wussten (What the dwarves did not know)"Die Zeit (German ভাষায়)। ৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  (article on the making of the Enzyklopädie des Märchens)
  8. "History and Scope of the EM"। De Gruyter। ১৩ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪ 
  9. Neue Deutsche Biographie 
  10. "Enzyklopädie des Märchens" (German ভাষায়)। De Gruyter। ২৭ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "Enzyklopädie des Märchens Online" 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা