রুফুয়স মাথাযুক্ত ধনেশ
রুফুয়স মাথাযুক্ত ধনেশ (Aceros waldeni), হল একধরনের মহাবিপন্ন প্রজাতির ধনেশ, যারা প্রধানত ফিলিপাইনের নেগ্রোস এবং পানায় দ্বীপপুঞ্জের ঘন অরণ্যে বসবাস করতে ভালোবাসে এবং প্রধানত ঘন বর্ষা জঙ্গলে এদের মূল বসবাসের স্থান। মাইন্ডানাও বলিচিহ্নিত ধনেশ প্রজাতির সাথে এরা খুব কাছাকাছি মিলযুক্ত, এদেরকে চেনা যায় হলুদ ঠোঁট এবং পুরুষদের দেহের মসৃণ চামড়া দেখে। এবং মহিলাদের চেনা যায় এদের নীল রঙের গলা এবং মসৃণ চামড়া দেখে। এর দ্বিপদ নামকরণ করেছিলেন স্কটিশ অনুসন্ধানকারী ভিস্কাউন্ট ওয়াল্ডেন।
রুফুয়স মাথাযুক্ত ধনেশ | |
---|---|
পুরুষ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Bucerotidae |
গণ: | Aceros |
প্রজাতি: | A. waldeni |
দ্বিপদী নাম | |
Aceros waldeni Sharpe, 1877 | |
প্রতিশব্দ | |
Aceros leucocephalus waldeni |
বাসস্থান এবং আচরণ
সম্পাদনাঘনবর্ষণ অরণ্য এবং ফলের গাছ হল এই পাখিদের প্রধান বাসস্থান। এরা ছোটো ছোটো দলে বসবাস করে এবং খুব আওয়াজ করে। এরা প্রধানত প্রাকৃতিক গাছের গর্তে বসবাস করে অথবা এরা তাদের ঠোঁট দিয়ে গাছে গর্ত করে নিয়ে তার মধ্যে বসবাস করে। অন্যান্য ধনেশদের তুলনায় এরা খুব আস্তে আস্তে প্রজনন পর্ব সারে। বিভিন্ন সংরক্ষণ স্থানে গাছের গর্তের অভাবের জন্য বাসার বাক্স টানিয়ে দেওয়া হয় এদের বাসস্থানের হিসেবে।
অবস্থা
সম্পাদনাএটা একটি মহাবিপন্ন প্রজাতি। এই ধনেশরা যেহেতু খুব আস্তে আস্তে প্রজনন করে তাই এরা শিকারীদের থেকে বাঁচতে পারে না। তার ওপরে থাকে অতি বর্ষণ যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাণের আশঙ্কা থাকে আর সেই জন্যই এরা মহাবিপন্ন প্রজাতি। এরা গুইমারাস থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং এখন শুধু নেগ্রোস এবং পানায় দ্বীপপুঞ্জতে এদের দেখা যায়। এদের মোট সংখ্যা প্রায় ১৬০ এর নিচে নেমে গেছে, যদিও মধ্য পানায়তে একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এদের সংখ্যা ৬০০-৭০০ জোড়া আছে। নেগ্রোস থেকে এদের কোন সাম্প্রতিক সংখ্যা পাওয়া যায়নি তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে যে এরা হয়তো ওখান থেকেও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। [২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ BirdLife International (২০১৩)। "Aceros waldeni"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ Rufous-headed Hornbill. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে BirdLife International. Accessed 2008-10-08.