রিজিয়া পরম্পরা বাংলাদেশের সমৃদ্র উপকুরবর্তী জেলা কক্সবাজারে অবস্থিত একটি বহু পরিবার ভিত্তিক আবাসিক ভবন যা আধুনিক ধারার স্থাপত্ ভাবনা অনুসরন করে নির্মান করা হয়েছে । স্থপতি আসিফ এম. আহসানুল হক এবং স্থপতি আরিফা আখতার যৌথভাবে ডিজাইন করেন। প্রকল্পটি ২০১৮ সালে আর্কএশিয়া স্থাপত্য পুরস্কার অর্জন করে।[১] ইতপূর্বে ২০১৭ সালে বার্জার পুরস্কারও অর্জন করে।[২]

রিজিয়া পরম্পরা
অবস্থান
অবস্থানকলাতলী, কক্সবাজার বাংলাদেশ
পৌরসভাকক্সবাজার
স্থাপত্য
স্থপতিআসিফ এম. আহসানুল হক
ধরনআবাসিক ভবন
স্থাপত্য শৈলীদেশীয় স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়২০১৬
ধারণক্ষমতা১০টি পরিবারের বসবাস

বর্ণনা সম্পাদনা

কলাতলি এলাকায় ৮ কাঠা যায়গার উপরে ছয়তলা বাড়ির প্রতি তলায় সর্বোচ্চ আয়তন আড়াই হাজার বর্গফুট। [৩] প্রতি তলা ভাগ করে দেয়া হয়েছে দুটো আবাসন ইউনিটে। ভবনের নিচতলায় গাড়ী পাকিং পরিসর। চারদিক উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে সবুজ পরিসরের সাথে। খোলা উঠোন, চলাচলের পথ আর গাড়ি রাখার যায়গা একাকার হয়ে হয়ে উঠেছে। লাল ইটের তৈরী দেয়াল, জানালায় কাঠের ফ্রেমে স্বচ্ছ কাচের পাল্লা, গ্রীষ্মের দুপুর তপ্ত রোদের হাত থেকে বাঁচতে জানালায় সামান্য বাকা করে কনক্রিটের খড়খড়ি বসানো। প্রতিটা জিনিসই প্রযোজনের তাকিদে তৈরী কিন্তু শিল্প ও সৌন্দর্যের সকল নিয়মকে পূরন করেই এর সংযোজন। বাড়ি করার আগে থেকেই বেশ কিছু গাছগাছালির সমাহার ছিলো এখানে। গৃহকর্তার ইচ্ছা যতটা সম্ভব সবুজকে বাঁচিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিটা আবাসন ইউনিটে তিনটি করে শয়নকক্ষ। প্রশস্ত বারান্দা সামনের বাগানের দিকে মুখ করে আছে। মেহমানখানা, খাবার ঘর থাকছে অন্যান্ন অনুষঙ্গ সহকারে। একদম উপরের ছাদকে সাজানো হয়েছে সবার ব্যবহারের জন্য।


রিজিয়া পরম্পরার নকশার পাশাপাশি ভবনের নির্মান ব্যবস্থাপনাও স্থপতিদ্বয় নিজেরা তদারক করেছেন। বাড়ির স্বত্তাধিকারীগন নিশ্চিন্তে তাদের উপর দ্বায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। নির্মান ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় কর্মী এবং সহজলভ্য নির্মান উপকরনের দিকে নজর দিয়েছেন, দ্রশ্যমান অংশ্ওে এই ইটকেই ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে আলাদা আস্তর বা রংয়ের প্রয়োজন হয়নি। এমনকি ভবনের ভিতরের অনেক যায়গায় আস্তর ছাড়া ছাদ ব্যবহার করা হয়েছে। রিজিয়া পরম্পরার ভবনের নির্মান কাজে সে স্থানীয় ধাচের একটি পরিশীলিত রূপের ছাপ প্ওায়া যায়।

স্থাপত্য শৈলী সম্পাদনা

স্থপতিদের কথা অনুযায়ী মুলত তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইন চিন্তা করেছেন।

প্রথমত, বিভিন্ন সময় অনুভূতি এবং গল্পের স্মারক পরিসর তৈরী করা। । মুক্ত ছাদ ও বারান্দা বৃস্টি ও পানিকে অনুমতি দিচ্ছে নিজের আঙিনায় আসার, ছায়া ঢাকা অন্তর্মুখী বারান্দা গরমের সময়েও বাহিরের সৌন্দর্যকে উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে।[৪]

দ্বিতীয়ত, ভবনের কাঠামো এবং কক্ষ বিন্যাস এমনভাবে করা হয়েছে যেন অন্তস্থ পরিসরে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক বাতাস এবং আলোর খেলা জমে ওঠে। কৃত্রিম আলো বা বাতাসের প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে এভাবে আসলে এনার্জি খরচ বেচে যাবে উল্লেযোগ্য হারে।

এর পাশাপাশি তৃতীয় বিষয় হচ্ছে ভবনের উলম্ব পরিসরকেও দৃশ্যমান এবং অনুভ’তির সুতোয় বেধে বিস্তুত সবুজের সাথে সংডোগ তৈরী করা। সামনের ছেড়ে দেয়া পরিসর আর খেলার যায়গা মিলে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হবে অনেক সুখকর স্মৃতির সাক্ষী।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. {{https://www.showcase.com.bd/architect-column/identity-of-yesteryear-rizia-porompora-architect-column
  4. {{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.showcase.com.bd/architect-column/identity-of-yesteryear-rizia-porompora-architect-column