রিগা উপসাগর
রিগা উপসাগর, রিগা বে, অথবা লিভোনিয়ার উপসাগর ( লাটভিয়ান: Rīgas jūras līcis, এস্তোনীয়: Liivi laht, রুশ: Рижский залив) হচ্ছে লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়ার মধ্যে অবস্থিত বাল্টিক সাগরের একটি উপসাগর।
রিগা উপসাগর | |
---|---|
উত্তর ইউরোপে অবস্থান | |
অবস্থান | ইউরোপ |
স্থানাঙ্ক | ৫৭°৪৫′ উত্তর ২৩°৩০′ পূর্ব / ৫৭.৭৫০° উত্তর ২৩.৫০০° পূর্ব |
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ | Daugava, Pärnu, Lielupe, Gauja, Salaca |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ১৮,০০০ কিমি২ (৬,৯০০ মা২) |
গড় গভীরতা | ২৬ মি (৮৫ ফু) |
সর্বাধিক গভীরতা | ৫৪ মি (১৭৭ ফু)[১] |
পানির আয়তন | ৪২৪ কিমি৩ (৩৪,৪০,০০,০০০ acre·ft) |
বাসস্থান সময় | 30 yearসমূহ |
হিমায়িত | Most or all during winter |
জনবসতি | Riga, Jūrmala, Pärnu, Kuressaare, Salacgrīva, Saulkrasti, Ainaži |
সারেমা দ্বীপ (এস্তোনিয়া) আংশিকভাবে এটিকে বাল্টিক সাগরের বাকি অংশ থেকে আলাদা করে। উপসাগর ও বাল্টিক সাগরের মধ্যে মুখ্য সংযোগ স্থাপনকারী হল ইরবে প্রণালী।
রিগা উপসাগর, বাল্টিক সাগরের উপ-অববাহিকা হিসাবে, পশ্চিম এস্তোনীয় দ্বীপপুঞ্জের ভিনেমেরি সাগরও অন্তর্ভুক্ত।
ভূগোলসম্পাদনা
বিস্তৃতিসম্পাদনা
আন্তর্জাতিক জললেখবিজ্ঞান সংস্থা রিগার উপসাগরের পশ্চিমী সীমাকে "লাটভিয়ার লিসার ওর্ট (57 ° 34'N) থেকে, সারেমা দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত, এই দ্বীপ হয়ে পামমার্ট-এ (22 ° 34'পূর্ব), সেখান থেকে এমাস্ত পয়েন্ট, ডাগোর দক্ষিণের চরম প্রান্তে; সেখান হয়ে টাখকোনা পয়েন্টে, ডাগোর উত্তর চরম প্রান্তে, এবং এস্তোনিয়ার স্পিথাম পয়েন্ট পর্যন্ত যাওয়া একটি লাইন" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।[২]
দ্বীপপুঞ্জসম্পাদনা
উপসাগরটির প্রধান দ্বীপগুলির অন্যতম হল সারেমা, কিহনু এবং রুহনু, যার প্রত্যেকটি এস্তোনিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কিহনু ১৬.৪ বর্গকিলোমিটার (৬.৩ মা২) এলাকা জুড়ে আছে।[৩] সারেমা দ্বীপটি রিগা উপসাগরের আলবণাক্ত পানির জন্য দায়ী, যেহেতু এটি বাল্টিক সাগর থেকে আংশিকভাবে "রক্ষিত" আছে।
শহরসম্পাদনা
উপসাগরের আশেপাশের উল্লেখযোগ্য শহরগুলির মধ্যে রয়েছে রিগা, পার্নু, জুরমালা এবং কুরেসারে। উপসাগরটিতে প্রবাহবান প্রধান নদীগুলি হল দৌগভা, পার্নু, লিলুপে, গাওজা এবং সালাকা ।
শীতকালসম্পাদনা
শীতকালে, বেশিরভাগ বা সমস্ত উপসাগর মাঝে মাঝে জমাট বেঁধে যায়। এটি প্রধানত উপসাগরটির কম লবণাক্ততা এবং এর প্রবেশদ্বারের আংশিক বন্ধের প্রভাবের কারণে হয়ে থাকে। শীতকালের সময়, অনেক মানুষের উপসাগরের উপর দিয়ে হেঁটে যায়। এখনও অবধি লিপিভুক্ত করা সবচেয়ে পুরু বরফ ছিল ৯০ সেন্টিমিটার (৩৫ ইঞ্চি) পুরু ১৯৪১-৪২সালের শীতের সময়।[৪] বরফের গর্ত দিয়ে মাঝ ধরা, সেখানকার শীতকালীন খাবারের পরম্পরাগত উৎস হয়ে আছে এবং একটি সাধারণ ক্রিয়াকলাপ হিসাবে বিদ্যমান আছে। বরফ সাধারণত মার্চ এবং এপ্রিলের মধ্যে গলে যায়। ২০১৩ সালের মার্চের শেষের দিকে, যখন বরফ গলতে শুরু করে, তখন ২০০ জনকে বরফের তলা থেকে উদ্ধার করতে হয়েছিল। [৫]
আরো দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Gulf of Riga | Baltic Sea"। Encyclopedia Britannica।
- ↑ "Limits of Oceans and Seas, 3rd edition" (পিডিএফ)। International Hydrographic Organization। ১৯৫৩। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ C.Michael Hogan. 2011.
- ↑ "Estonica.org - The Gulf of Riga"। www.estonica.org। ১২ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Riga, Associated Press in (২৯ মার্চ ২০১৩)। "Latvia rescues 220 people stranded on ice floes in Gulf of Riga"। the Guardian।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- রিগা উপসাগর ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ আগস্ট ২০২১ তারিখে (এস্তোনিকা)