রাশেদ চৌধুরী

বাংলাদেশি সামরিক ব্যক্তিত্ব

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরী শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি। সাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা।[][] তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন।[]

এম রাশেদ চৌধুরী
জন্মচাঁদপুর
আনুগত্যবাংলাদেশ
সেবা/শাখাবাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদমর্যাদালেফটেন্যান্ট কর্নেল

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসাবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান। নাইরোবি, থাইল্যান্ড, লিবিয়া, জার্মানি, কুয়ালালামপুর, ব্রাসিলিয়া, নাইজেরিয়া ও কানাডায় কূটনৈতিক চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।[][][]

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে টোকিওতে কূটনৈতিক নিযুক্ত ছিলেন। তখন তাকে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেয়া হয়৷ কিন্তু তিনি দেশে ফিরে না এসে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয় ২০১০ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং সেখানে রাশেদ চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।

সে সময় সরকার চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাশেদ চৌধুরীর ১.১৫ একর জমি জব্দ করে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টা ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাস করে আসছেন। তাকে জনসমক্ষে কদাচিৎ দেখা যায়। তাকে ফেরত নিয়ে আসতে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে বার বার যোগাযোগ করে আসছে।[][]

শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের রায়

সম্পাদনা

হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৮ নভেম্বর ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১০ সালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি।[]

রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নিরাপদ করতে সক্ষম হন। তাকে ফিরিয়ে আনতে বারবার কূটনৈতিক কথা চালাচালি হয়েছে। ২০১৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবাসীদের একটি প্রোগ্রাম থেকে তাকে অপমান করে বের করে দেয়া হয়।[][১০][১১]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Fighting Terrorism: Dhaka hosts international police meet March 12–14"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  2. "Interpol moves to bring Rashed back"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১ ডিসেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  3. Ziauddin, Mohammad। "Justice Delayed for Bangladesh"U.S. News & World Report (Opinion)। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  4. "Farooq's confession"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  5. "Shahriar's confession"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  6. "6 stay out of reach"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  7. "6 killers still out of reach"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  8. "One killer safe in US with political asylum"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  9. "Four could not even be traced"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  10. "Six killers still out of reach"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭ 
  11. "Expat Bangladeshis chase off Bangabandhu's killer Rashed Chowdhury from US programme"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৭