রামু সেনানিবাস

বাংলাদেশের সেনানিবাস

রামু সেনানিবাস কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত একটি সেনানিবাস।[১] এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর।[২] সেনানিবাসটির আয়তন ১৭৮৮.৯৮ একর।

রামু সেনানিবাস
রামু উপজেলা, কক্সবাজার
ধরনসেনাবাহিনী
সাইটের তথ্য
নিয়ন্ত্রন করেবাংলাদেশ সেনাবাহিনী

ইতিহাস সম্পাদনা

 
রামু সেনানিবাস

২৪ পদাতিক ব্যাটালিয়ন রামুতে প্রতিষ্ঠা করা হলেও এর কোন যথাযথ অবকাঠামো ছিল না। তাই সরকার এটিকে সংষ্কার করে এটিকে পূর্ণ একটি সেনানিবাসে উন্নীত করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তে একটি নতুন সেনানিবাস তৈরীর অনুমোদন দেন। ২২ এপ্রিল ২০১৪ সালে সেনাবাহিনীকে রামুতে অবস্থিত ১৭৮৮.৯৮ একর সরকারি বনভূমি এবং পাহাড়ি জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয় সেনানিবাস গঠনের জন্য। এরমধ্যে ১,১৮০ একর রাজারকূলে, ২৬৪.৫৫ একর খুনিয়াপালংয়ে এবং ৩৪৪.৫৫ একর উমাখালী মৌজায়।

২৮ অক্টোবর ২০১৪ সালে রামুতে ১০ম পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা। ১ মার্চ ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন গঠিত ১০ম পদাতিক ডিভিশনের জন্য নির্মিত রামু সেনানিবাস উদ্ধোধন করেন।[৩] একই সাথে দশম পদাতিক ডিভিশনের অধীনে নতুন গঠিত দশম আর্টিলারি ব্রিগেড, ৯৭ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, ২৩ ফিল্ড রেজিমন্টে আর্টিলারি, ৬০ ইস্টিবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ৩৬ ইনফ্যান্টি রেজিমেন্ট উদ্বোধন করা হয় এবং এ সকল ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

৯ মার্চ ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও একটি বিগ্রেড সহ সাতটি ইউনিট উদ্ধোধন করেন। একই সাথে সেনানিবাসের “বীর স্মরণী সড়ক”, দশ পদাতিক ডিভিশনের “অজেয়” স্মৃতিস্তম্ভ , বীরাঙ্গন মাল্টিপারপাস শেড, মাতামুহুরি কম্পোজিট ব্যারাক উদ্বোধন করা হয় ও চারটি এস এম ব্যারাকের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে আরো ৭টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং "শেকড়" দশদিগন্ত জাদুঘরের উদ্ধোধন করা হয়। ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আরো ৪টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে রামু সেনানিবাসে মোট ইউনিটের সংখ্যা ২৪টি।

স্থাপনা সম্পাদনা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠন সম্পাদনা

সেনানিবাসটি দশম পদাতিক ডিভিশন, দুটি পদাতিক ব্রিগেড, একটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য বিভিন্ন ইউনিটের নিবাস। দশম পদাতিক বিভাগের প্রথম জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হলেন মেজর জেনারেল আতাউর হাকিম সরোয়ার হাসান। ৬৫ তম পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনুদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'রামুতে সেনানিবাস হওয়ায় নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে'"দৈনিক আমাদের সময়। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "সেনাবাহিনীর ১০ ডিভিশনের যাত্রা শুরু"বাংলানিউজ২৪.কম। ১ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. "সেনাবাহিনীর ১০ ডিভিশনের যাত্রা শুরু"banglanews24.com। ১ মার্চ ২০১৫।