রাধাচূড়া

উদ্ভিদের প্রজাতি

রাধাচূড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Caesalpinia pulcherrima, ইংরেজি: Peacock Flower, Paradise Flower, Barbados Pride, Flower-fence, Dwarf Poinciana) হচ্ছে Fabaceae পরিবারের Caesalpinia গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম। এই ফুলটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উপক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের[২] স্থানীয় ফুলও হতে পারে, তবে ব্যাপক চাষের কারণে এর উৎস একরকম অজানা।[৩]

রাধাচূড়া
Caesalpinia pulcherrima
overview of a single orange red variant flower
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
গণ: Caesalpinia
প্রজাতি: C. pulcherrima
দ্বিপদী নাম
Caesalpinia pulcherrima
(L.) Sw.
প্রতিশব্দ[১]
  • Caesalpinia lutea
  • Poinciana pulcherrima L.

বিবরণ সম্পাদনা

রাধাচূড়া মূলত কাঁটাযুক্ত বাহারি গুল্ম বিশিষ্ট। এরা উচ্চতায় ৩ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত উচু হয়। রাধাচূড়ার শাখা-প্রশাখা মসৃণ ও চকচকে। এদের বাহারি রঙের ফুল ফোটে। লালচে হলুদ, লালচে গোলাপি, লালচে বাদামি ইত্যাদি।

বিস্ত‌ৃতি সম্পাদনা

উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল এই উদ্ভিদের জন্য উপযুক্ত স্থান। আমেরিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, আমাজন, বাংলাদেশ, ভারত প্রভৃতি অঞ্চলে বিস্ত‌ৃত।

ভেষজ গুণাগুণ সম্পাদনা

এই উদ্ভিদের ফুল, পাতা ও বীজ ভারতীয় ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।[৪][৫] রাধাচূড়ার ফুল গরম জলে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই জল থেকে যে বাষ্প উপরে উঠে তা নাকমুখ দ্বারা গ্রহণ করলে পুরাতন সর্দি, কাশি, হাঁপানি ও ম্যালেরিয়া জ্বর থেকে আরোগ্য পাওয়া যায়।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Caesalpinia pulcherrima"জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-০৩ 
  2. "Tropical Flower Guide"। ১৪ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১২ 
  3. "Caesalpinia pulcherrima". Germplasm Resources Information Network (GRIN). Agricultural Research Service (ARS), United States Department of Agriculture (USDA). Retrieved 2010-12-03.
  4. Counter, S. Allen (জুলাই ২৪, ২০০৬)। "Amazing mystery: A medicine man understood the secrets of this plant long before we did. How?" (ইংরেজি ভাষায়)। Boston Globe। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  5. Schiebinger, Londa (২০০৭)। Plants and empire: colonial bioprospecting in the Atlantic world ([Nachdr.]. সংস্করণ)। Cambridge, Massachusetts: Harvard University Press। আইএসবিএন 9780674025684 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা