রাধাগোবিন্দ বসাক
ডক্টর রাধাগোবিন্দ বসাক (৮ জানুয়ারি ১৮৮৫ - ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২) ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি ইতিহাসবিদ ও ভাষা-বিজ্ঞানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন যেসকল ব্যক্তি এখানে যোগদান করেন তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম; তিনি এবং ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগ দান করেন।
ডক্টর রাধাগোবিন্দ বসাক | |
---|---|
জন্ম | রাধাগোবিন্দ বসাক ৮ জানুয়ারি ১৮৮৫ |
মৃত্যু | ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অধ্যাপনা |
পরিচিতির কারণ | ভাষাবিজ্ঞানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনারাধাগোবিন্দ বসাকের জন্ম ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জানুয়ারি বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকাতে। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে তিনি বৃত্তি-সহ এন্ট্রান্স পাশ করেন। সংস্কৃতভাষা ও সাহিত্যে পড়াশোনা করে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। এম.এ পাশের পর কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি ভাষাবিদ হরিনাথ দের অধীনে কয়েক বছর প্রাচীন ভারতীয় লেখমালা ও লিপিতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। [১]
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯১১ খ্রিস্টাব্দে রাধাগোবিন্দ রাজশাহী কলেজে এবং ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার অধ্যাপক ছিলেন। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দিয়ে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পালি এবং সংস্কৃত বিভাগগুলিতেও পড়াতেন।
তিনি 'বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি'-এর সদস্য হিসাবে দিনাজপুরে আবিষ্কৃত গুপ্ত-সম্রাটদের পাঁচটি তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধার ও সম্পাদনা করেন। [১]
রচনা
সম্পাদনাসংস্কৃত ও প্রাকৃত সাহিত্য এবং প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস নিয়ে তার মৌল রচনা ও গ্রন্থের সংখ্যা অনেক। তার প্রথম গ্রন্থ- 'হিস্ট্রি অফ নর্থ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া' ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। তিনি ‘কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্র' গ্রন্থ বাংলা ভাষায় যথাযথ অনুবাদ করেন।[২] তার অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হল-
- অনুবাদ-
- রামচরিত (সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত)
- গাথা সপ্তশতী
- বাবনহো
- মহাবস্তু অবদান(বৌদ্ধগ্রন্থ সংস্কৃত হতে)
পুরস্কার ও সম্মননা
সম্পাদনারাধাগোবিন্দ বসাক দামোদরপুর লেখমালা সংক্রান্ত প্রবন্ধের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়এর গ্রিফিথ পুরস্কার লাভ করেন। তাকে কলকাতার সংস্কৃত কলেজ ‘বিদ্যাবাচষ্পতি’ উপাধি প্রদান করে। ১৯৬৬ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ডঃ রাধাগোবিন্দ বসাককে সংস্কৃতে পারদর্শিতার জন্য প্রশংসাপত্র প্রদান করেন । এছাড়াও তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি.লিট. উপাধিতে ভূষিত হন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৬৫০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ তাঁতি, তন্তুবায় ও বসাকদের কথা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]