রহমতউল্লাহ সাফি

রহমতউল্লাহ সাফি (জন্ম ১৯৪৮) একজন প্রাক্তন আফগান সেনা কর্মকর্তা এবং মুজাহিদীন সেনাপতি যিনি সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছিলেন। পরে তাকে ইউরোপে তালিবান আন্দোলনের প্রতিনিধি বলে দাবি করা হয়েছিল।

পূর্বে রাজকীয় আফগান সেনাবাহিনীর কর্নেল, তিনি রাজা জহির শাহের রাজত্বকালে ১,৬০০ জনের একটি অভিজাত কমান্ডো বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। মোহাম্মদ দাউদ খান ক্ষমতা গ্রহণের পরে তিনি আফগানিস্তান ছেড়ে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণের পরে, তিনি পীর সাইয়েদ আহমেদ গিলানির নেতৃত্বাধীন একটি মুজাহিদীন দল আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ইসলামিক ফ্রন্টে যোগ দেন।

একজন মুজাহিদীন কমান্ডার হিসাবে তিনি পাকিস্তানের পেশাওয়ার থেকে আফগানিস্তানের পাক্তিয়া ও কুনার প্রদেশে কার্যক্রম চালাতেন। তিনি ১৯৮৬ সালের ঝাওয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নিফার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি ব্রিটিশদের সহায়তায় প্রায় ৮,০০০ মুজাহিদীনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে সাফি মুজাহিদীনদের একটি প্রতিনিধিদলকে যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্ব দেন, যেখানে জেনারেল প্রায় এক ডজনেরও বেশি শহরের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখেন। কার্ডিএক পরীক্ষার জন্য জন্য সাফিকে ১৯৮৬ সালে পিটসবার্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল; তার চিকিৎসা খরচ অনুদান হিসাবে ফ্রি আফগানিস্তানের কমিটি দ্বারা প্রদান করা হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে সাফি ইংল্যান্ডের লন্ডনে বাস করছিলেন, কিন্তু জাতিসংঘের কাছে ওসামা বিন লাদেনকে হস্তান্তর করার জন্য মোল্লা ওমরকে বোঝাতে নবী মিসদাকের সাথে আফগানিস্তান চলে যান।জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে ইউরোপে তালিবানের প্রতিনিধি হিসাবে দাবি করা হয়।

২০০৪ সালে, সাফি তার সামরিক কমিশন থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এবং ২০০৪ সালের আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন।