রস এমারসন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও আম্পায়ার

রস আলেকজান্ডার এমারসন (ইংরেজি: Ross Emerson; জন্ম: ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৪) সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কান অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের বিপক্ষে ঢিলাকৃতিতে বল ছোঁড়ার অভিযোগ আনয়ণে অধিক পরিচিতি পান।

রস এমারসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরস আলেকজান্ডার এমারসন
জন্ম (1954-02-26) ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ (বয়স ৭০)
অস্ট্রেলিয়া
সম্পর্কডেনিস এমারসন (পত্নী), টেরি অল্ডারম্যান (শ্যালক)
আম্পায়ারিং তথ্য
ওডিআই আম্পায়ার১০ (১৯৯৬–১৯৯৯)
এফসি আম্পায়ার৫০ (১৯৮৩–১৯৯৯)
এলএ আম্পায়ার৩৭ (১৯৮২–২০০০)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ এপ্রিল ২০২০

সিডনিভিত্তিক গ্রেড ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পিটারশ্যাম-ম্যারিকভিলের পক্ষে খেলেছেন রস এমারসন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সুইং বোলার টেরি অল্ডারম্যান সম্পর্কে তার শ্যালক।

আম্পায়ারিত্বে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে জাতীয় আম্পায়ারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। জানুয়ারি, ১৯৯৬ সালে ব্রিসবেনে শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ওডিআইয়ে আম্পায়ার হিসেবে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিতর্কময় পরিবেশ গড়েন। মুরালিধরনকে সাতবার নো-বল ডাকেন। এমনকি, লেগ ব্রেক বোলিং করার পরও তিনি নো-বল ডাকেন যা বলকে ছুড়ে মারা বেশ অসম্ভব বিষয়। এরফলে, মুরালিধরনকে সফরের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর, টেস্ট খেলায়ও আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার তার বোলিংকে অবৈধ ঘোষণা করেন। পরবর্তী তিন বছরেও তিনি ওডিআই খেলা পরিচালনা করেন। নয়টি খেলার সবকটিই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ খেলা পরিচালনার বিষয়টি প্রথমটিকেও ছাপিয়ে যায়।

২৩ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে অ্যাডিলেডে স্কয়ার লেগে দণ্ডায়মান অবস্থায় এমারসন মুরালিধরনকে আরও একবার নো-বল ডাকেন। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা এর প্রতিবাদস্বরূপ দলকে নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। দলীয় ব্যবস্থাপক ও ম্যাচ রেফারির সাথে আলোচনা করেন। এমারসন ইংল্যান্ড দলকে খেলায় বিজয়ী করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে হুমকি দিয়ে মুরালিধরন লেগ ব্রেক বোলিং করেন। এমারসন দাবী করেন যে, এশীয় দেশগুলো থেকে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। মাহেলা জয়াবর্ধনে সেঞ্চুরি করেন ও শ্রীলঙ্কা দল শেষ ওভারে জয় পায়। জয়সূচক রানটি আসে মুরালিধরনের ব্যাট থেকে।

অবসর সম্পাদনা

এরপর এমারসনকে খেলা পরিচালনা করার বাইরে রাখা হয় ও আর কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে খেলা পরিচালনার জন্যে মনোনীত করা হয়নি।[১] ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর নভেম্বর, ২০০৪ সালে সুইমিং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি হন। তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে মন্তব্য করেন যে, মুরালিধরনের বোলিং ভঙ্গীমা তার দেখা সবচেয়ে বাজে প্রকৃতির। তবে, ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার পিটার রোবাকের মতে, এমারসন বোকাটে ধরনের ব্যক্তি।[১]

২০১১ সালের শুরুতে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণাধীন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ তদন্তকারী হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Roebuck, Peter (৩০ মার্চ ২০০৪)। "Murali should be grateful - his dodgy doosra only weakens his bowling"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা