রসমিন কামিস

ব্রুনাইয়ান ফুটবলার

রসমিন বিন হাজী মোহাম্মদ কামিস (জন্ম: ১৭ ই জুন, ১৯৮১) হচ্ছেন ব্রুনাইয়ের একজন ফুটবলার, যিনি ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাবয়ের জন্য মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি হচ্ছেন ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাবের বর্তমান অধিনায়ক।

রসমিন কামিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম রসমিন বিন হাজী মোহাম্মদ কামিস
জন্ম (1981-06-17) ১৭ জুন ১৯৮১ (বয়স ৪২)
জন্ম স্থান তুতং, ব্রুনাই
উচ্চতা ১.৭২ মি (৫ ফু ৮ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাব
জার্সি নম্বর ১৩
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০০–২০০৫ ব্রুনাই এফএ (৮)
২০০৪–২০০৯ ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাব (১৩+)
২০০৯–২০১১ এমএস এবিডিবি
২০১২– ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাব ১৩৬ (৬)
জাতীয় দল
২০০১ ব্রুনাই অনূর্ধ্ব ২৩ (০)
২০০৩–২০১৬ ব্রুনাই ১৪ (১)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

ক্লাব ক্যারিয়ার সম্পাদনা

রসমিন কামিস ব্রুনাই (মালয়েশিয়া প্রিমিয়ার লীগ দল)-এর সাথে ২০০০ সালে তার খেলোয়াড়ী কর্মজীবন শুরু করেন, তিনি তখন মালয়েশিয়ার লীগ পদ্ধতিতে খেলেছিলেন।[১] তিনি উক্ত দলের হয়ে ২০০৫ সাল পর্যন্ত খেলেন,[২] অতঃপর তিনি মালয়েশিয়ার প্রিমিয়ার লিগে ব্রুনাই এফএ দল থেকে স্থানান্তর হয়ে ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাবের সাথে যোগদান করেন।[৩] অতঃপর তিনি ২০০৯ সালে ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাবের হয়ে সিঙ্গাপুর লীগে যোগদান করেন, তিনি ২০০৯ সালে তার দলের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালে পেনাল্টি হতে গোল করে দলকে শিরোপার মুখ দেখান।[৪] ব্রুনাইয়ের ওপর ফিফার স্থগিতাদেশের কারণে আকস্মিকভাবে মৌসুম শেষে তিনি মুক্তি পান[৫] এবং অবিলম্বে রয়্যাল ব্রুনাই আর্মড ফোর্স স্পোর্টস কাউন্সিলতে যোগদান করেন যেখানে তিনি ২০১০ সালে ঘরোয়া এফএ কাপ জয়লাভ করেন।[৬] তিনি ২০০৯–১০ ব্রুনাই প্রিমিয়ার লীগের শেষ খেলায় কোয়েফ এফসির ৩৪ খেলায় অপরাজিত স্ট্রিককে দুই গোল করে শেষ করেন, যদিও কোয়েফ এফসি ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।[৭]

ব্রুনাইয়ে এস. লীগ পুনরায় প্রবেশের পর ২০১২ সালে ক্লাব অধিনায়ক হিসাবে রসমিন কামিস পুনরায় ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাবে ফিরে আসেন।[৮] তারপর থেকে তারা ২০১২ এবং ২০১৪ সালে তাদের লীগ কাপ সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটান।[৯][১০]

২১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে, ব্রুনাইয়ের হয়ে খ্যাতি অর্জন করে তার দলকে শিরোপা জেতানোর পর রসমিন কামিস ডিপিএমএম ফুটবল ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য এস. লীগের চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিটি হাতে তুলে নেন।[১১]

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সম্পাদনা

মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ২০০৪ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে যোগ্যতা অর্জনে ব্রুনাই জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে রসমিন কামিসের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। ২১ মার্চ ২০০৩ তারিখে তিনি মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দলের বিরুদ্ধে ১–১ গোলে ড্র করে, যে ম্যাচে তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেছিলেন।[১২] পরবর্তীতে আরেকটি খেলায় মায়ানমার জাতীয় ফুটবল দলের বিপক্ষে ৫–০ ব্যবধানে ব্রুনাই জাতীয় ফুটবল দল পরাজিত হয়।[১৩]

রসমিন কামিসের পরবর্তী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি মায়ানমারে অনুষ্ঠিত ২০১২ এএফএফ সুজুকি কাপের বাছাইপর্বের যোগ্যতা অর্জনের সময় ছিল, যেখানে ব্রুনাই চারটি খেলার দুটিতে জয়ী হয়, এবং তিনি সেই দলকে নেতৃত্ব দেন। তিনি লাওসে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের টুর্নামেন্টে দলের নেতৃত্বে ছিলেন, যেখানে ব্রুনাই সবকটি গেমস হেরেছিল।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

রসমিন কামিসকে তার সহকর্মীরা এবং ভক্তরা "ববি" নামে ডেকে থাকে।[১৪] তার ভাই রোজাইদি কামিসও ফুটবলার ছিলেন, যিনি ব্রুনাই জাতীয় ফুটবল দলের ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়া কাপ জয়লাভ করেছিলেন।[১৫] তার বোন রসিতা হচ্ছেন একজন লন বোলার, যিনি ব্রুনাইয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পদক জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।[১৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "M-League - Subhi new Brunei hotshot"। Borneo Bulletin। ২২ জুন ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  2. "Malaysia 2005"। Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  3. "DPMM FC:Roster"। Duli Pengiran Muda Mahkota FC। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  4. "Wardun saves the day as DPMM FC win League Cup"। The Brunei Times। ২০ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  5. "DPMM FC release 11 players"। The Brunei Times। ৭ নভেম্বর ২০০৯। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  6. "ABDB deny QAF FC history"। The Brunei Times। ১৮ এপ্রিল ২০১০। ১১ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  7. "QAF's series of 34 matches unbeaten in the Brunei Premier League"। Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। ১৪ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৭ 
  8. "Big Thai test for DPMM FC's new stars"। The Brunei Times। ১০ জানুয়ারি ২০১২। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  9. "DPMM FC are the champs"। The Brunei Times। ১২ আগস্ট ২০১২। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  10. "Champs DPMM FC return to a hero's welcome"। The Brunei Times। ২৭ জুলাই ২০১৫। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  11. "Sergio Stars To Help Wasps Clinch First-Ever Title"S.League। ২২ নভেম্বর ২০১৫। ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৫ 
  12. "Maldives 1 : 1 Brunei Darussalam"। Pakistan Football Federation। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ 
  13. "Brunei Darussalam 0 : 5 Myanmar"। Pakistan Football Federation। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ 
  14. "Ranoadidas presents prizes to Twitter winners"। The Brunei Times। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৫ 
  15. "DPMM target new chapter with S.League success"FourFourTwo Singapore। ৩১ অক্টোবর ২০১৪। ৪ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৬ 
  16. "Kamis hoping to again represent her country"Daily Liberal। ২৭ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা