রথযাত্রা (আহমেদাবাদ)

রথযাত্রা একটি হিন্দু উৎসব। আমেদাবাদে ১৮৭৮ সাল থেকে প্রতি আষাঢ়-সুড়-বিজে জগন্নাথ মন্দির, আহমেদাবাদ কর্তৃক রথযাত্রার আয়োজন করা হয় এই বার্ষিক উৎসব জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা উদযাপন করে।

আহমেদাবাদের রথযাত্রায় সজ্জিত হাতি

এটি গুজরাট রাজ্যের লোকোৎসব (সর্বজনীন উৎসব) হিসেবে পালিত হয়। আহমেদাবাদ রথযাত্রা হল পুরী এবং কলকাতার পর তৃতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা উৎসব যা রথযাত্রার দিন পালিত হয়।

কিংবদন্তি

নরসিংহদাস জগন্নাথকে স্বপ্নে দেখেছিলেন এবং সেই ঘটনার পর তিনি ১৮৭৮ সালে রথযাত্রা উদ্‌যাপন শুরু করেন

ঐতিহ্য

রথগুলি নারকেল গাছ থেকে তৈরি করেছিলেন ভারুচের খালাস সম্প্রদায়ের ভক্তগণ। রথগুলি এখনও সেই বর্ণের লোকেদের দ্বারা চালিত হয়।

আহমেদাবাদে রথযাত্রা চলাকালীন শিল্পী তাঁর কাজ সম্পাদন করছেন (২০১১)।

জলযাত্রা

শুক্ল পূর্ণিমার দিন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা প্রতীকীভাবে সেই দিন বন্ধ মন্দিরে সরসপুর দর্শন মামার বাড়িতে গেলে জলযাত্রা করা হয়। জগন্নাথের জলযাত্রা সবরমতী নদীতে একটি শোভাযাত্রাসহ নিয়ে আসা হয়, গঙ্গা পূজা করা হয়, এবং জগন্নাথের অভিষেকের জন্য জলের পাত্র নিয়ে ফেরা হয়। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে ষোড়শোপচার সহকারে পূজন বিধি সম্পাদনের পর, প্রতীকীভাবে ভগবানকে তাঁর মামার বাড়িতে পাঠানো হয়।

নেত্রোৎসব

রথযাত্রার দু’দিন আগে বিগ্রহের নেত্রোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বাস অনুসারে, মোসলে অতিরিক্ত পরিমাণে জাম্বু বা জামুন (ভারতীয় কালোজাম) এবং বাউর (বরই) ভক্ষণের কারণে তিন দেবতার চক্ষু 'চোখ উঠা' রোগে আক্রান্ত হয়। তাই, নেত্রোৎসব পূজনের সময় বস্ত্র দিয়ে চোখ ঢেকে বিগ্রহকে প্রতীকীভাবে চিকিৎসা করা হয়।

রথযাত্রা

রথযাত্রাদিনে মঙ্গল আরতি ভোর ৪টায় করা হয় এবং সাধারণত সকাল ৭টায় রথযাত্রা বের হয়। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা পাহিন্দ বিধির অনুষ্ঠান করা হয় যেখানে রথযাত্রার পথের প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা করা হয়, তারপরে রথ শোভাযাত্রা শুরু হয়। রথযাত্রায় প্রথমে ভগবান জগন্নাথের রথ, তারপরে সুভদ্রা ও বলরামের রথ নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রথযাত্রায় আখড়া, হাতি, সজ্জিত ট্রাক এবং দলগুলিও অংশগ্রহণ করে।