রতি অগ্নিহোত্রী

ভারতীয় অভিনেত্রী

রতি অগ্নিহোত্রী ভারতের একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী যিনি তার অভিনয় জীবন ১৯৭৯ সালের তামিল চলচ্চিত্র 'পুদিয়া ভারপুগাল' এর মাধ্যমে শুরু করেন। তিনি তেলুগু, কন্নড় এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রেও কজ করেছেন। ১৯৮০ সালের উল্লাসা পারাভাইগাল (তামিল) তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র।[১][২][৩][৪][৫][৬]

রতি অগ্নিহোত্রী
জন্ম১৯৬০, ১০ ডিসেম্বর
ব্যারেলী, উত্তর প্রদেশ, ভারত
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৭৯-১৯৯০
২০০১-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীঅনিল বীরবাণী (১৯৮৫-২০১৫, বিচ্ছেদ)
সন্তানতনুজ বীরবাণী (জন্মঃ ১৯৮৬)

পূর্ব জীবন সম্পাদনা

রতি অগ্নিহোত্রী উত্তর প্রদেশের বরেলিতে একটি পাঞ্জাবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি মডেলিং শুরু করেছিলেন। রতির বয়স যখন ১৬ তখন তারা তামিলনাড়ুতে বসবাস করা শুরু করেন কারণ রতি তামিল চলচ্চিত্র শিল্পে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে (তখন মাদ্রাজ) রতি 'গুড শেফার্ডস কনভেন্ট স্কুল' এ পড়েন এবং ঐ স্কুলের একটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

চলচ্চিত্র জীবন সম্পাদনা

রতির একটি মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের সময় দর্শক ছিলেন তামিল চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করা নতুন পরিচালক পি ভারতীরাজা, তিনি তার চলচ্চিত্রের জন্য একটি নতুন নায়িকা খুঁজছিলেন। ভারতীরাজা রতির বাবার সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন এক মাসের মধ্যেই তিনি একটি চলচ্চিত্র বানানো শুরু করবেন। রতির বাবা সাথে সাথেই রাজী হয়ে যান এবং ১৬ বছর বয়সী রতি তার জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র 'পুদিয়া ভারপুগাল' (১৯৭৯ সালে মুক্তি পায়) এ অভিনয়ের জন্য খুবই উত্তেজিত হয়ে যান।

পুদিয়া ভারপুগাল চলচ্চিত্রটি নায়ক কে. ভাগ্যরাজেরও অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো, এই ভাগ্যরাজ রতিকে তামিল ভাষা শেখাতেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফলতা পায় এবং রতি তামিল চলচ্চিত্রে একজন পরিচিত মুখ হয়ে যান। ভারতীরাজা তার আরেকটি চলচ্চিত্র নিরাম মারাদা পুক্কাল (১৯৭৯) তেও রতিকে নেন। রতি যদিও একজন পাঞ্জাবী ছিলেন, তামিল দর্শকেরা তাকে তাদের নিজেদের লোকই মনে করত। রতি নিজেকে 'হৃদয়ে তামিলিয়ান' বলতেন। তিনি তেলুগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন, তিন বছরে তার অভিনীত ৩২টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। কর্ণাটক প্রদশে তিনি নায়ক 'বিষ্ণুবর্ধন' এর সঙ্গে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

রতি 'জিনে কি আরজু' নামের একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন, তবে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের তখনকার খ্যাতিমান পরিচালক কৈলাস বলচন্দ ১৯৮১ সালে রতিকে হিন্দি চলচ্চিত্রে নাম করিয়ে দেন 'এক দুজে কে লিয়ে' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যেখানে রতি সহ-অভিনেতা হিসেবে তামিল চলচ্চিত্রের তখনকার জনপ্রিয় তরুণ অভিনেতা কামাল হাসানকে পান। এই 'এক দুজে কে লিয়ে' যেটি হয়েছিলো ব্যাপক ব্যবসাসফল এর মাধ্যমে রতি আরো হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব পান এবং ৪০টিরও বেশি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রের মহানায়ক অমিতাভ বচ্চন অভিনীত কুলী (১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় রতি ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "I am where my destiny has brought me" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ অক্টোবর ২০০৪ তারিখে, Hindu.com
  2. "The return of Rati", Rediff.com
  3. " In the spotlight again" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে, Hindu.com
  4. "One for the other"The Telegraph। Calcutta, India। ২৮ অক্টোবর ২০০৬। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৭ 
  5. "The Hindu : All set for a second innings"। ১২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  6. "Government begins queries on IFCI loans"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা