যোধপুর জেলা
যোধপুর জেলা পশ্চিম ভারতের রাজস্থান রাজ্যের একটি জেলা। যোধপুর শহরে জেলা সদর দপ্তর অবস্থিত।
যোধপুর জেলা | |
---|---|
রাজস্থানের জেলা | |
![]() রাজস্থানে যোধপুরের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | রাজস্থান |
প্রশাসনিক বিভাগ | যোধপুর বিভাগ |
সদরদপ্তর | যোধপুর |
তহশিল | ফালোদী ওসিয়ান ভোপলঘর লুনি বেলেসেয়ার লোহাওয়াত সার্ঘার্ড বিলারা |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | যোধপুর |
আয়তন | |
• মোট | ২২,৮৫০ বর্গকিমি (৮,৮২০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৬,৮৭,১৬৫ |
• জনঘনত্ব | ১৬০/বর্গকিমি (৪২০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৩৪.৩০ percent |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬৫.৯৪ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯১৬ |
স্থানাঙ্ক | ২৭°৩৭′ উত্তর ৭২°৫৫′ পূর্ব / ২৭.৬২° উত্তর ৭২.৯২° পূর্ব - ২৬°০০′ উত্তর ৭৩°৫২′ পূর্ব / ২৬.০০° উত্তর ৭৩.৮৭° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এটি জনসংখ্যার দিক দিয়ে রাজস্থান রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে (৩৩ টির মধ্যে) রয়েছে, জয়পুর জেলার পরেই।[১]
যোধপুর মারওয়ার এলাকার ঐতিহাসিক কেন্দ্র। জেলার মান্দরে হল প্রতিহার রাজপুত রাজাদের প্রাচীন রাজধানী (৬ষ্ঠ থেকে ১৩ শতাব্দী) এবং ওসিয়ানের প্রতিহারদের মন্দির শহর। যোধপুর ১৫০ শতাব্দীতে রাও জোহা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত রাঠোরে সাম্রাজ্যের অধীনে মারওয়ার রাজ্যের রাজধানী হিসেবে কাজ করেছিল।
ভৌগোলিক অবস্থানসম্পাদনা
জেলা পশ্চিম ভারতের রাজস্থান রাজ্যে অবস্থিত। এই জেলা উত্তরটি বিকাণীর জেলা, উত্তরপূর্বে নগর জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণে পালি জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে বাড়মের জেলা, পশ্চিমে এবং উত্তর-পশ্চিমে জৈসলমের জেলা দ্বারা আবদ্ধ। জেলাটি ২৬°০০' থেকে ২৭°৩৭' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭২°৫৫' থেকে ৭৩°৫২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এই জেলা সমুদ্রতল থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
যোধপুর জেলার তিনটি স্বতন্ত্র ভূমিরূপ রয়েছে, এগুলি হল- সমভূমি, বালিভূমি এবং খাড়া উঁচু পাহাড়। যোধপুর জেলার পশ্চিমাঞ্চলীয় ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অংশগুলি বালিভূমি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বিলারা ও ওসিয়ান তেহসিলের কিছু অংশ বাদ দিয়ে, জেলার ভূমি পৃষ্ঠ প্রায় সমতল এবং বালি মাটি যুক্ত। লুনী জেলার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নদী, এটি বিলড়ার কাছে জোদপুর জেলায় প্রবেশ করে এবং জেলাটি মধ্যে ৭৫ কিমি দূরত্ব প্রবাহিত হয় ও শেষে বাড়মের জেলায় প্রবেশ করে।
অর্থনীতিসম্পাদনা
পর্যটন শিল্পসম্পাদনা
যোধপুর তার সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। এটি "ব্লু সিটি" এবং "সান সিটি" হিসাবে পরিচিত সকলের কাছে। মেহেরানগড় দুর্গের চারপাশের বাড়িগুলির নীল রঙের কারণে "ব্লু সিটি" নামের উৎপন্ন হয়। আগ্রহের অন্য উল্লেখযোগ্য জায়গা হল উমাইদ ভবন প্যালেস যা বর্তমানে একটি অংশ বর্তমান মহারাজা গাজ সিংয়ের পরিবারের আবাসস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং অবশিষ্ট অংশটি "তাজ হটেল গষ্ঠীর" অধীনে একটি ৫ তারকা হোটেল।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
২০১১ সালের আদমমারি অনুসারে যোধপুর জেলার জনসংখ্যা ৩৬,৮৫,৬৮১ জন,[১] যা প্রায় লাইবেরিয়া[২] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার জনসংখ্যার সমান।[৩] এটি ভারতের জেলাগুলির মধ্যে জনসংখ্যার হিসাবে ৭৩ তম স্থান ভাব করেছে (মোট ৬৪০ টির মধ্যে)।[১] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (৪২০/বর্গ মাইল) ১৬১ জন অধিবাসী।[১] ২০১১-২০১১ দশকে জেলাটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৭.৬৯%।[১] যোধপুরের প্রতি ১০০০ পুরুষ প্রতি ৯১৫ জন নারী রয়েছে[১] এবং জেলার সাক্ষ্যরতার হার ৬৭.০৯%।[১]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Liberia 3,786,764 July 2011 est.
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। জানুয়ারি ১, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Oklahoma 3,751,351