ম্যাগডেবার্গের জলের সেতু
ম্যাগডেবার্গের জলের সেতু বার্লিন শহরের একদম কাছের শহর ম্যাগডেবার্গে অবস্থিত। এই সেতু পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির সীমান্তে এলবা নদীতে অবস্থিত।[১][২]
ম্যাগডেবার্গের জলের সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৫২°১৩′৫০″ উত্তর ১১°৪২′০৮″ পূর্ব / ৫২.২৩০৫৩৩° উত্তর ১১.৭০২৩৩৬° পূর্ব |
বৈশিষ্ট্য | |
মোট দৈর্ঘ্য | ৯১৮ মি.(690 m over land and 228 m over water) |
প্রস্থ | ৩৪ মি. |
দীর্ঘতম স্প্যান | ১০৬ মি. |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | ১৯৯৭ |
নির্মাণ শেষ | ২০০৩ |
অবস্থান | |
উপকরণ
সম্পাদনাসেতুটি তৈরি করতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন স্টিল আর ৬৮ হাজার ঘনমিটার কংক্রিট প্রয়োজন হয়েছিল। সেতুটি মোটরগাড়ি, ট্রেন বা অন্য কোনো স্থলযান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়নি; এই সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ, স্টিমার, লঞ্চ ইত্যাদি জলযান চলাচল করে। ৯১৮ মিটার দীর্ঘ ও ৩৪ মিটার প্রশস্ত এই সেতুর পানির গভীরতা ৪ দশমিক ২৫ মিটার।[১][২]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯১৯ সালে প্রথম এই সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর সেতুটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জার্মান সরকার ১৯৩৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কেউই আর সেতুটি নিয়ে কিছু ভাবেনি। পরবর্তী সময় দুই জার্মানি একত্র হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে পুনরায় এর কাজ শুরু হয়। ছয় বছর পর সমাপ্ত হয় এর কাজ। প্রায় অর্ধবিলিয়ন ইউরো দিয়ে তৈরি সেতুটি বার্লিনের দুটি বিখ্যাত ক্যানালকে সংযুক্ত করেছে। অন্য কথায়, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানিকে সংযুক্ত করেছে। এলবা-হাভেল ও মিটারল্যান্ড নামের এই দুই ক্যানাল সংযুক্ত করায় অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন বাণিজ্যিক জাহাজগুলো রাইন নদীতে, বার্লিন বন্দরে সহজে পৌঁছাতে পারে। এতে জাহাজগুলোকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ কম পাড়ি দিতে হয়।[১][২]
পর্যটন
সম্পাদনাবাণিজ্যিক গুরুত্বের পাশাপাশি পর্যটকদের নজর কেড়েছে এই ওয়াটার ব্রিজ। প্রতিদিন দেশি বিদেশি হাজার হাজার দর্শক এই সেতু দেখতে এখানে ভিড় জমায়।[১][২]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
-
Bridge of the Mittellandkanal crossing the Elbe river
-
-
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ জলের সেতু ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মে ২০১৫ তারিখে,আবুল বাসার, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২২-০৩-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ ক খ গ ঘ এই সেতুটা ব্যতিক্রম, বিডিটুডে.নেট। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৬-১০-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।