ম্খ্যেন-রাব-কুন-ব্জাং

রাজনীতিবিদ

ম্খ্যেন-রাব-কুন-ব্জাং (তিব্বতি: མཁྱེན་རབ་ཀུན་བཟངওয়াইলি: mkhyen rab kun bzang) (জন্ম-১৮৯৭) একজন তিব্বতী প্রকৌশলী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন।

ম্খ্যেন-রাব-কুন-ব্জাং

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

ত্রয়োদশ দলাই লামা তিব্বতকে আধুনিক করার উদ্দেশ্যে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে ব্যাং-ঙ্গোস-পা-রিন-স্গাং (ওয়াইলি: byang ngos pa rin sgang), দ্বাং-'দুস-নোর-বু (ওয়াইলি: dbang 'dus nor bu), ম্খ্যেন-রাব-কুন-ব্জাং এবং ব্সোদ-নাম্স-স্গোম-পো-গো-খার-বা (ওয়াইলি: bsod nams sgom po go khar ba) নামক চারজন তিব্বতীকে ইংল্যান্ডে আধুনিক শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।[১] ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে এপ্রিল তারা ইংল্যান্ড পৌছে হেথেন্ডের মিলিটারি অ্যাকাডেমী এবং রাগবি স্কুলে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে ভর্তি হন। এরপর তিনি গ্রিমেথর্প[২] এবং ক্যাম্বোর্নের খনিতে খনি প্রকৌশলবিদ্যা সম্বন্ধে দশ মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বত ফিরে যান। তিব্বতের বিভিন্ন অঞ্চলে সোনা এবং অন্যান্য খনিজ দ্রব্য অনুসন্ধানের পর ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ভারতের মহীশূর অঞ্চলের কোলার স্বর্ণখনি অঞ্চলে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।[৩] ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি স্যার হেনরী হুবার্ট হেডেন নামক এক ব্রিটিশের সাথে তিব্বতে সোনার অনুসন্ধান শুরু করেন।[৪]. এরপর তিনি ত্রয়োদশ দলাই লামার ব্যক্তিগত সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লাসা শহরের প্রধান পুলিস আধিকারিকের দায়িত্ব লাভ করেন[৫], যদিও পরবর্তীকালে তাকে কার্যক্ষেত্রে অবনতি ঘটিয়ে রুদোক অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে রুদোক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করতে তাকে লাসা শহরে ডেকে পাঠানো হয় এবং পোতালা প্রাসাদনোরবুলিংকা প্রাসাদের সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Harris, Clare & Tsering Shakya (2003) Seeing Lhasa: British depictions of the Tibetan capital 1936-1947, আইএসবিএন ৯৭৮-১৯৩২৪৭৬০৪০, p. 40 }}
  2. K. Dhondup, The Thirteenth Dalai Lama's Experiment in Modern Education, The Tibet Journal, 1984, 9 (3): 38-58, Library of Tibetan Works & Archives, p. 47
  3. Alastair Lamb, Tibet, China & India, 1914-1950: a history of imperial diplomacy, Roxford Books, 1989, p. 135
  4. Tibet Album, British photography in Central Tibet 1920-1950, Mondo Biography
  5. (ইংরেজি) Tsepon W. D. Shakabpa, Tibet: A Political History, Yale University Press, 1967, 369 p., 249