মৈথিলি রন্ধনশৈলী, যা মিথিলা রন্ধনশৈলী' নামেও পরিচিত, ভারতীয়নেপালি রন্ধনশৈলীর একটি অংশ।[১] এটি ভারত ও নেপালের মিথিলা অঞ্চলে বসবাসকারী মৈথিলিদের ঐতিহ্যবাহী রান্নার শৈলী।[২]

মৈথিলি রন্ধনশৈলিতে চাল, গম, মাছ ও মাংসের পদের বিস্তৃত ভাণ্ডার এবং বিভিন্ন মশলা, ভেষজ ও প্রাকৃতিক ভোজ্যদ্রব্যের ব্যবহার রয়েছে।[৩] ভোজ, বিবাহ ও পার্টি, উৎসবের খাবার ও ভ্রমণের খাবার পর্যন্ত রন্ধনশৈলীকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য খাবারের ধরন অনুসারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।[৪][৫]

রন্ধনশৈলী পরিষেবা শৈলীর সাথে ফরাসি টেবিল ডি'হোতে সামান্য মিল রয়েছে; সমস্ত প্রস্তুতি একটি থালাতে একসাথে পরিবেশন করা হয় ও একবারে খাওয়া হয়। প্রধান খাদ্য হল ভাত (সিদ্ধ চাল), ডাল, রুটি, তরকারিআচার, চাল, মসুর, গমের আটা, শাকসবজি এবং আচার থেকে প্রস্তুত করা হয়। ঐতিহ্যবাহী রান্নার মাধ্যম হল সরিষার তেল। পাঁচ ফোড়ন পাঁচটি মশলার একটি সাধারণ মিশ্রণ: জীর, আজওয়ান, মংরাইল , সোনফমেথি এবং এটি বাংলার পাঁচফোড়নের অনুরূপ।

মাংসের ধরন সম্পাদনা

যদিও হিন্দুরা গরুর মাংস খায় না, তবে তারা গরু-মহিষের দুধ পান করে। একটি পুরানো প্রবাদ মৈথিলি রন্ধনশৈলীতে দুধের পণ্যের গুরুত্ব দেখায়: “আদি ঘি অউর আন্ত দাহি, ওয়ি ভোজন কে ভোজন কাহি (একটি খাবার হল সেই খাবার যা ঘি দিয়ে শুরু হয় ও দই দিয়ে শেষ হয়)।

নিরামিষ সম্পাদনা

নিরামিষ খাবার যেমন সাগাক ঝোর (খুব পাতলা গ্রেভি যুক্ত শাকসবজি) পাশাপাশি করলা, ঢেঁড়স জাতীয় শাকসবজি খাওয়া হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. People of India. Bihar, including Jharkhand। Anthropological Survey of India। ২০০৮। পৃষ্ঠা XXIX। আইএসবিএন 978-81-7046-302-3ওসিএলসি 299081992। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৯ 
  2. "प्रधानमन्त्री ओलीलाई जनकपुरमा 'मिथिला भोजन'ले स्वागत गरिने"Nepal Samaya (নেপালী ভাষায়)। ২০২১-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৯ 
  3. Jha, Shailendra Mohan, 1929- (১৯৯৪)। Hari Mohan Jha। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 81-7201-652-2ওসিএলসি 43122155। ২০২১-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৯ 
  4. Sweksha Karna। "Doing street food right in Janakpur"kathmandupost.com (English ভাষায়)। ২০২০-০৮-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৯ 
  5. "पर्वपिच्छे फरक स्वाद"ekantipur.com (নেপালী ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৯