মুহাম্মাদ মসজিদ

আজারবাইজানের মসজিদ
(মুহাম্মদ মসজিদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মুহাম্মাদ মসজিদ বা সিনিগালা মসজিদ আজারবাইজানের পুরোনো বাকু শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি ১১ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং আজারবাইজানের প্রথম ইসলামী স্থাপত্যকর্মগুলির মধ্যে একটি। মসজিদটি তার মিনারের নাম অনুসারে সিনিগালা নামেও পরিচিত, যার অর্থ "ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার"। এটি আজারবাইজানের একটি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং দেশের ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন।

মুহাম্মাদ মসজিদ
সিনিগালা মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানবাকু, আজারবাইজান
স্থানাঙ্ক৪০°২১′৫৫″ উত্তর ৪৯°৫০′০৫″ পূর্ব / ৪০.৩৬৫২৮° উত্তর ৪৯.৮৩৪৭২° পূর্ব / 40.36528; 49.83472
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামিক স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠার তারিখ১০৭৮-১০৭৯

ইতিহাস সম্পাদনা

মুহাম্মাদ মসজিদটি ১১ শতকে নির্মিত হয়েছিল, সম্ভবত ১০৭৮ সালে। এটি আজারবাইজানে নির্মিত প্রথম ইসলামী স্থাপত্যকর্মগুলির মধ্যে একটি। মসজিদটি নির্মাণের সঠিক তারিখ জানা যায় না, তবে এটি মসজিদের অভ্যন্তরে পাওয়া একটি শিলালিপির ভিত্তিতে অনুমান করা হয়। শিলালিপিটিতে লেখা আছে যে মসজিদটি আজারবাইজানের তৎকালীন শাসক শামসুদ্দিন মখসুদ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।

মসজিদটি একটি ছোট, আয়তাকার ভবন যা একটি উঁচু মিনার দ্বারা বেষ্টিত। মসজিদের দেয়ালগুলি পাথর দিয়ে তৈরি এবং ছাদটি একটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আবৃত। মিনারটি একটি পাতলা, গোলাকার স্তম্ভ যা উপরে একটি ছোট গম্বুজ দিয়ে শোভিত।

ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মাণ সম্পাদনা

১৭২৩ সালে, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি স্কোয়াড্রন বাকু শহরটি আক্রমণ করে। রাশিয়ানদের বোমাবর্ষণে মসজিদের মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মিনারটির শীর্ষ অংশ ভেঙে পড়ে এবং মিনারটি একটি অসম্পূর্ণ চেহারা লাভ করে। এই ঘটনাটি শহরের লোকদের কাছে একটি ধর্মীয় নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল, এবং মসজিদটি তখন থেকেই একটি জাতীয় প্রতীক হয়ে উঠেছে। মসজিদটি ১৯ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। ১৮৫০-এর দশকে, মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল, কিন্তু মিনারটি তার প্রাচীন চেহারা বজায় রেখেছিল।

স্থাপত্য বর্ণনা সম্পাদনা

মসজিদটি একটি ছোট, আয়তাকার ভবন যা একটি উঁচু মিনার দ্বারা বেষ্টিত। মসজিদের দেয়ালগুলি পাথর দিয়ে তৈরি এবং ছাদটি একটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আবৃত। মিনারটি একটি পাতলা, গোলাকার স্তম্ভ যা উপরে একটি ছোট গম্বুজ দিয়ে শোভিত।

মসজিদটি ১৭২৩ সালে তার দ্বিতীয় নাম অর্জন করে যখন রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি স্কোয়াড্রন শহরটি আক্রমণ করে। রাশিয়ানদের বোমাবর্ষণে মসজিদের মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন একটি ঝড়ো হাওয়া রাশিয়ার জাহাজগুলোকে আরও সমুদ্রে উড়িয়ে দেয়।[১] এই ঘটনাটি শহরের লোকদের কাছে একটি ধর্মীয় নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এবং মসজিদটি তখন থেকেই একটি জাতীয় প্রতীক হয়ে উঠেছে।[২][৩]

মুহাম্মাদ মসজিদ আজারবাইজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্থাপত্য। এটি একটি অনন্য উদাহরণ প্রাথমিক ইসলামী স্থাপত্যের এবং আজারবাইজানের ইসলামী ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

স্থাপত্য নিদর্শন সম্পাদনা

মসজিদটি আজারবাইজানের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় কেন্দ্র, এবং এটি আজারবাইজানের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এটি আজারবাইজানের সরকার এবং মুসলিম সম্প্রদায় দ্বারা যত্ন সহকারে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন, এবং এটি আজারবাইজানের ইসলামী ইতিহাস এবং সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Мечеть Мухаммеда, или Сыныггала в Ичери Шехер (Баку)www.ourbaku.com (russian ভাষায়)। ৯ নভেম্বর ২০০৯। ৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  2. "Monuments of universal value: Maiden Tower: "Shirvanshahs" Palace Complex: Mohammed Mosque "Synyk-kala" (Broken Tower)"www.icherisheher.gov.az। Administration of State Historical-Architectural Reserve Icherisheher under the Cabinet of Ministers of the Republic of Azerbaijan। ২০১৪। ২০১৩-১১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "ATABƏYLƏRĠ DÖVLƏTĠ 1136-1225-Cİ İLLƏR" (পিডিএফ) (Turkish ভাষায়)। ২০০৭।