ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল
ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল বা ঢাকা সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার লক্ষীবাজার এলাকায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল | |
---|---|
![]() | |
ঠিকানা | |
![]() | |
লক্ষীবাজার, বাহাদুরশাহ পার্ক | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৪′ উত্তর ৯০°২২′ পূর্ব / ২৩.৭৩৩° উত্তর ৯০.৩৬৭° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারি বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | শিক্ষাই আলো |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৭৪, (নবপর্যায়-১৯১৬) |
ইআইআইএন | ১০৮৪৯২ |
অনুষদ | ৩ |
শ্রেণী | ৫ম থেকে ১০ম |
ক্যাম্পাস | শহুরে |
রঙ | সাদা শার্ট ও নীল প্যান্ট |
স্বীকৃতি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
ইতিহাসসম্পাদনা
বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার জর্জ ক্যাম্বেল এর আমলে 'মাদ্রাসা সংস্কার কমিটি' এর অনুমোদনে মহসিন ফান্ডের টাকায় ১৮৭৪ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রসার মডেলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে তিনটি নতুন মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। যদিও হাজী মোহাম্মদ মহসিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নবপ্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাগুলোর নাম দেয়া হয় মহসিনিয়া মাদ্রাসা, তথাপি ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা বহুল পরিচিতি লাভ করে ঢাকা মাদ্রাসা নামে। বৃটিশ শাসনামলে বাংলাদেশে এগুলো ছিল মুসলমানদের জন্য করা প্রথম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এ মাদ্রাসার প্রথম সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন পণ্ডিত ও ভাষাবিদ বাহারুল উলুম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দী। ১৯১৫ সাল পর্যন্ত হাজী মুহম্মদ মোহসীন ফান্ড থেকে এই মাদ্রাসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়। উক্ত সালে এটি উচ্চ মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয়।
১৯১৫ সালের ১৬ নভেম্বর এক সরকারি আদেশে মাদ্রাসার ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব বাংলার সরকারের ওপর ন্যস্ত করা হয়।১৮৮০ সালে প্রথম অধ্যক্ষ মওলানা ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দীর তত্ত্বাবধানে মুসলিম স্থাপত্যরীতি অনুযায়ী মাদ্রাসা ভবন তৈরি করা হয়।
মাদ্রাসায় সাতটি শ্রেণি ছিল। আরবি বিভাগে শুধু আরবি শিক্ষার্থীরা পড়ত। ইংরেজি বিভাগে (পরবর্তীতে এ্যাংলো পারসিয়ান বিভাগ) ইংরেজি শিক্ষার্থীরা পড়ত। ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মাদ্রাসার ৩৩৮ জন ছাত্রের মধ্যে ২০২ জন ছাত্রই ছিল এ্যাংলো পারসিয়ান বিভাগের। ১৯১৫ সালে সরকার কর্তৃক অন্যান্য মাদ্রাসার মতো নিউ স্কিম পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর প্রেক্ষিতে ঢাকা মাদ্রাসা হাই মাদ্রাসা হয়।
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে মাদ্রাসার অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগটি পৃথক হয়ে ঢাকা গভর্ণমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল নাম ধারণ করে। এটি ১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯১৬ সালে এটির উর্দু ও ফারসি বিভাগ বন্ধ করে এটিকে বিদ্যালয়ে রুপান্তর করা হয়। এটি ঢাকায় মুসলমানদের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এটির একটি ছাত্রাবাস রয়েছে যার নাম ডাফরিন মুসলিম হোস্টেল।
১৯৭৯ সালে অত্র স্কুলের প্রথম পুনর্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর যথাক্রমে ১৯৮২ সালে, ২০১২ সালে ও ২০১৭ সালে প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলন উদ্যাপন করা হয়। এ যাবতকালের মধ্যে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০১৭ সালের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানকে সবদিক বিবেচনায় সর্বশ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়। ২০১৭ সালের পুনর্মিলন উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল এলামনাই এসোসিয়েশন প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীসম্পাদনা
- খান বাহাদুর আবদুল হাকিম, প্রাক্তন পরিচালক, শিক্ষা
- আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় অধ্যাপক
- বি. এ. সিদ্দিকী, বিচারপতি
- আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন
- নওয়াব খাজা হাসান আসকারি, আপ্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তানের মন্ত্রী
- বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, লেখক, চিত্র সমালোচক এবং শিক্ষাবিদ
- তাজউদ্দিন আহমেদ,বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |