মুক্তহস্ত সৌধ

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে অবস্থিত একটি বিমূর্ত নির্মাণ

মুক্তহস্ত সৌধ হল ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে অবস্থিত একটি বিমূর্ত নির্মাণ। এর নকশাকার হলেন স্থপতি ল্য কবুজিয়ে। এটি চণ্ডীগড় সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতীক এবং এর মাধ্যমে নির্দেশ করা হয় "দেওয়ার হাত ও নেওয়ার হাত; শান্তি ও সমৃদ্ধি, এবং মানবজাতির ঐক্য"।[১] ল্য কবুজিয়ের বহুসংখ্যক মুক্তহস্ত নির্মাণের বৃহত্তম উদাহরণ[২] এই ভাস্কর্যটির উচ্চতা ২৬ মিটার (৮৫ ফু)। ধাতব অংশটি ১৪ মিটার (৪৬ ফু) উঁচু, এর ওজন ৫০ শর্ট টন (১,০০,০০০ পা) এবং হাওয়ার দিক পরিবর্তনের সাথে ঘূর্ণনশীল।[১][৩][৪]

মুক্তহস্ত সৌধ
ভারতের চণ্ডীগড়ে মুক্তহস্ত সৌধ
শিল্পীল্য কবুজিয়ে
সমাপ্তির তারিখ১৯৮৫ (1985)
আয়তন২৬ m (৮৫ ফু)
অবস্থানচণ্ডীগড়
স্থানাঙ্ক৩০°৪৫′৩২″ উত্তর ৭৬°৪৮′২৬″ পূর্ব / ৩০.৭৫৮৯৭৪° উত্তর ৭৬.৮০৭৩৪৮° পূর্ব / 30.758974; 76.807348

প্রতীকগত অর্থ সম্পাদনা

উন্মুক্ত হাতের তালু (ফরাসি:La Main Ouverte) কবুজিয়ের ভাস্কর্যসমূহে একটি বহু ব্যবহৃত সাধারণ প্রতীক। তার মননে এর মানে "শান্তি ও পুনর্মিলন। এটি দান ও গ্রহণ উভয়ের জন্যই প্রস্তুত"। কবুজিয়ে আরও বলেছেন, এই হাতের তালু "দ্বিতীয় যন্ত্রযুগের" আগমনবার্তা ঘোষণা করে।[২]

অবস্থান সম্পাদনা

মুক্তহস্ত সৌধটি হিমালয়ের শিবালিক পর্বতশ্রেণির সানুদেশে চণ্ডীগড়ের ক্যাপিটল কমপ্লেক্সের সেক্টর ১ এ অবস্থিত।[৪][৫]

চণ্ডীগড় নগর সড়ক, রেলপথ ও বিমানপথে ভালভাবে বহির্বিশ্বের সাথে সংযুক্ত। ২১ নং জাতীয় সড়ক (চণ্ডীগড় - মানালি) ও ২২ নং জাতীয় সড়ক (আম্বালা - কালকা - সিমলা - খাব) চণ্ডীগড়ের মধ্য দিয়ে প্রসারিত।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Betts ও McCulloch 2014, পৃ. 61-62।
  2. Shipman 2014, পৃ. 7।
  3. Jarzombek ও Prakash 2011, পৃ. 1931।
  4. "ক্যাপিটল কমপ্লেক্স"। পর্যটন মন্ত্রক, চণ্ডীগড় সরকার। 
  5. Sharma 2010, পৃ. 132।