মির্জাপুর শাহী মসজিদ

পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন

মির্জাপুর শাহী মসজিদ পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।[১] এটি আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর নামক গ্রামে অবস্থিত বলে এর নামকরণ করা হয়েছে মির্জাপুর শাহী মসজিদ। [২]

মির্জাপুর শাহী মসজিদ
মির্জাপুর শাহী মসজিদের সামনের দেয়ালে রয়েছে লতাপাতার নকশাখচিত ছোট আকৃতির তিনটি দরজা
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানআটোয়ারী উপজেলা
অঞ্চলপঞ্চগড় জেলা
পরিচালকবর্গবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-F-52-43

ইতিহাস সম্পাদনা

মসজিদের শিলালিপি ঘেঁটে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন মির্জাপুর শাহী মসজিদটি ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মসজিদটি কে নির্মাণ করেছেন এটি নিয়ে ঐতিহাসিক মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, মালিক উদ্দিন নামে মির্জাপুর গ্রামেরই এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মালিক উদ্দিন মির্জাপুর গ্রামও প্রতিষ্ঠা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দোস্ত মোহাম্মদ নামে জনৈক ব্যক্তি মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, মুঘল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।

অবকাঠামো সম্পাদনা

মির্জাপুর শাহী মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৫ ফুট। মসজিদটির সামনের দেওয়ালে চিত্রাঙ্কন ও বিভিন্ন কারুকার্য রয়েছে যেগুলো একটি অপরটি থেকে আলাদা। মসজিদটিতে একই সারিতে তিনটি গম্বুজ রয়েছে। প্রতিটি গম্বুজের কোণায় একটি করে মিনার রয়েছে। মসজিদটিতে ফারসি ভাষার একটি শিলালিপি রয়েছে যেটা থেকেই ধারণা করা হয় এটি মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল।

কিংবদন্তি অনুসারে, একটি ভূমিকম্পে মসজিদটির কিছু অংশ ভেঙ্গে যায় এবং ইরান থেকে মসজিদটি সংস্কারের জন্য লোক নিয়ে আসা হয়।

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা