মির্জাখীল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ

মির্জাখীল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মির্জাখীল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ
অবস্থান
	মির্জাখীল, সোনাকানিয়া ইউনিয়ন; চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
তথ্য
ধরন	স্কুল ও কলেজ
নীতিবাক্য	শিক্ষাই আলো
প্রতিষ্ঠাকাল	১৯৬৪; ৬০ বছর আগে
প্রতিষ্ঠাতা	অধ্যাপক আব্দুর রউফ চৌধুরী
অবস্থা	সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড	মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম
সেশন	জানুয়ারি-ডিসেম্বর
ইআইআইএন	১০৪৯৯২
প্রধান শিক্ষক	আখতার আহমদ
অনুষদ	বিজ্ঞান ,মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা;
শ্রেণী	ষষ্ঠ-দ্বাদশ
লিঙ্গ	বালক-বালিকা
শিক্ষার্থী সংখ্যা	১৫০০+
শিক্ষা ব্যবস্থা	জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
ভাষা	বাংলা মাধ্যম
ক্যাম্পাসের ধরন	গ্রামীণ
রং	আকাশী নীল ও সবুজ
বিদ্যালয় কোড	৩৭২৬
EIIN নাম্বার	১০৪৯৯২
ওয়েবসাইট	https://mirzakhilhs.edu.bd

মির্জাখীল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।^[৩] ^[৪]^[৫]

অবস্থান সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল গ্রামে অবস্থিত।^[৩] সাতকানিয়া উপজেলা হতে এর দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।^[২]

স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব আবদুর রউফ চৌধুরী স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের একটি কক্ষে ২০-২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ১৯৬৪ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠদান শুরু করেন।^[২]^[১]^[৬]^[৭] স্থানীয় তিনজন শিক্ষক উক্ত পাঠদানে অংশ গ্রহণ করেন। এভাবে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চালু করেন। ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৬ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অনেকেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।^[২] পর্যায়ক্রমে তৎকালীন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি লাভ করে।^[৩]^[৬] প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে।^[৮]^[৯]

ব্যবস্থাপনা সম্পাদনা

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ বা ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে।

শিক্ষকবৃন্দ সম্পাদনা

মির্জাখীল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আখতার আহমদ। এছাড়াও এ বিদ্যালয়ে আরও ২০জনের অধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত আছেন।^[৩]

অবকাঠামো সম্পাদনা

মির্জাখীল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন ও দুই তলা বিশিষ্ট আরও দুইটি একাডেমিক ভবন রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে তিনটি বিজ্ঞানাগার (পদার্থ, রসায়ন ও জীব), একটি শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৯৫২ এর ভাষাসৈনিক ও ১৯৭১ এর শহীদদের স্মরণে রয়েছে একটি শহীদ মিনার। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের জন্য আলাদা কার্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়টি মোট ০.৮২ একর জায়গার ওপর বিস্তৃত এবং একাডেমিক ভবনসমূহ ০.২৪ একর জায়গার ওপর নির্মিত।^[২]^[১]^[৬]

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।

স্কাউট দল
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র
বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
বিতর্ক প্রতিযোগিতা
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আবৃত্তি ও
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

এছাড়াও বিদ্যালয়টির ছাত্র - ছাত্রীবৃন্দ বিভিন্ন আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় ও অংশগ্রহণ করে থাকে।

গ্রন্থাগার সম্পাদনা

এখানে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে, যেটি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সাথে সম্পৃক্ত।

খেলার মাঠ সম্পাদনা

বিদ্যালয়টিতে একটি খেলার মাঠ রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন প্রাত্যহিক সমাবেশ ও বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফল ও কৃতিত্ব সম্পাদনা

এ বিদ্যালয়ে বর্তমান পাশের হার প্রায় ৯০%। ২০২০ সালের এসএসসির জিপিএ ৫ এর ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি উপজেলার তৃতীয় সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কৃতিত্ব অর্জন করে।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

↑ ^ক ^খ ^গ "Mirzakhil High School"। sohopathi.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৯।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ "মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়"। mirzakhilhs.edu.bd। ৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ "মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।
↑ "শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বার্ষিক জরিপ-২০২১"। banbeis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ "Upazila/Thana wise list of institute" (পিডিএফ)। banbeis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২।
↑ ^ক ^খ ^গ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ডায়েরি, ২০২০
↑ "MIRZAKHIL HIGH SCHOOL"। amar-school.com। ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৯।
↑ "নতুন দুই কলেজসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সাত প্রতিষ্ঠান পেল বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি"। চট্টগ্রাম প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
↑ "কলেজে উন্নীত মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়"। দৈনিক পূর্বদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২।

[sohopathi-1] ক ^খ ^গ "Mirzakhil High School"। sohopathi.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৯।

[web-2] ক ^খ ^গ ^ঘ ^ঙ "মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়"। mirzakhilhs.edu.bd। ৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।

[মির্জাখীল_উচ্চ_বিদ্যালয়-3] ক ^খ ^গ ^ঘ "মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।

[4] "শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বার্ষিক জরিপ-২০২১"। banbeis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[5] "Upazila/Thana wise list of institute" (পিডিএফ)। banbeis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২।

[d-6] ক ^খ ^গ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী ডায়েরি, ২০২০

[amar-school-7] "MIRZAKHIL HIGH SCHOOL"। amar-school.com। ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৯।

[8] "নতুন দুই কলেজসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সাত প্রতিষ্ঠান পেল বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতি"। চট্টগ্রাম প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।

[9] "কলেজে উন্নীত মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়"। দৈনিক পূর্বদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২।

[৩]

[৪]

[৫]

[২]

[১]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]