মাহমুদ আল-কাশগরি
মাহমুদ ইবনে হুসাইন ইবনে মুহাম্মদ আল কাশগরি (আরবি:محمود بن الحسين بن محمد الكاشغري - Maḥmūd ibnu 'l-Ḥussayn ibn Muḥammad al-Kāšġarī; তুর্কি: Kâşgarlı Mahmud; উইঘুর: مەھمۇد قەشقىرى) ছিলেন ১১শ শতাব্দীতে কাশগরের একজন তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম পণ্ডিত, অভিধান প্রণেতা। তার বাবা হুসাইন বার্সগানের শাসক ছিলেন। এই শহরটি ইসিক কুল হ্রদের পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত এবং কারাখানি রাজবংশের সাথে সম্পর্কিত।
মাহমুদ আল কাশগরি محمود الكاشغري | |
---|---|
জন্ম | ১০০৫ |
মৃত্যু | ১১০২ উপাল, কাশগরের দক্ষিণপশ্চিমে, কারাখানি খানাত |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | ভাষাবিদ্যা, অভিধান সংকলন, তুর্কিবিদ্যা |
কর্ম
সম্পাদনামাহমুদ আল কাশগরি তার সময়কার তুর্কীয় ভাষাগুলো অধ্যয়ন করেন এবং ১০৭২-৭৪ সালে দিওয়ান উল লুগাত আল তুর্ক নামক তুর্কীয় ভাষাগুলোর প্রথম অভিধান প্রণয়ন করেছিলেন।[১][২][৩][৪] বাগদাদের খলিফার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এটি প্রণয়ন করা হয়। তার প্রণীত অভিধান পরবর্তীকালে তুর্কি ইতিহাসবিদ আলি আমিরি সম্পাদনা করেছেন।[৫] কাশগরির অভিধানে প্রাচীন তুর্কি কবিতার নমুনা রয়েছে। তার বইয়ে তুর্কীয় জাতিসমূহ অধ্যুষিত অঞ্চলের প্রথম মানচিত্র রয়েছে। এই মানচিত্র ইস্তানবুলের জাতীয় গ্রন্থাগারে রক্ষিত রয়েছে।[৬]
মৃত্যু
সম্পাদনাকিছু গবেষকের মতে মাহমুদ আল কাশগরি ১১০২ সালে ৯৭ বছর বয়সে কাশগরের দক্ষিণ পশ্চিমে একটি ছোট শহর উপালে মারা যান এবং তাকে সেখানে দাফন করা হয়। সেখানে তার কবরের উপর মাজার নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু আধুনিক গবেষক এই মত প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে তার মৃত্যুর তারিখ অজ্ঞাত।
স্মরণ
সম্পাদনাউইঘুর, কিরগিজ ও উজবেকরা তাকে নিজেদের জাতির বলে দাবি করে।[৭] সোভিয়েত পরবর্তী কিরগিজস্তানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। ইউনেস্কো ২০০৮ সালকে মাহমুদ আল কাশগরি বর্ষ ঘোষণা করে।[৮]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kemal H. Karpat, Studies on Turkish Politics and Society:Selected Articles and Essays, (Brill, 2004), 441.
- ↑ Heming Yong; Jing Peng (১৪ আগস্ট ২০০৮)। Chinese Lexicography : A History from 1046 BC to AD 1911: A History from 1046 BC to AD 1911। OUP Oxford। পৃষ্ঠা 379–80। আইএসবিএন 978-0-19-156167-2।
- ↑ Clauson, Gerard (১৯৬১)। "The Initial Labial Sounds in the Turkish Languages"। Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London 24 (2). Cambridge University Press: 299। জেস্টোর 610169।
- ↑ G.E. Tetley (২৭ অক্টোবর ২০০৮)। The Ghaznavid and Seljuk Turks: Poetry as a Source for Iranian History। Routledge। পৃষ্ঠা 17–। আইএসবিএন 978-1-134-08439-5।
- ↑ Ali Amiri, R. Mantran, The Encyclopaedia of Islam, Vol. I, ed. H.A.R. Gibb, J.H. Kramers, E. Levi-Provencal and J. Schacht, (E.J. Brill, 1986), 391.
- ↑ Roudik, Peter, The History of the Central Asian Republics, (Greenwood Press, 2007), 175.
- ↑ But some Uyghur authors consider him a member of their own ethnic group. Makhmud Kashghari himself considered the Uyghurs of his own time as the eastern neighbours of his country (the Qarakhanid khanate). See, for example, Dwyer, Arienne (২০০৫)। The Xinjiang Conflict: Uyghur Identity, Language Policy, and Political Discourse (পিডিএফ)। Political Studies 15। Washington: East-West Center। পৃষ্ঠা 73। আইএসবিএন 1-932728-29-5। ১১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৫।: "the Uzbeks, Uyghurs, and Kyrgyz all claim Mahmud al-Kashgari, the well-known 11th century scholar, as their own."
- ↑ UNESCO to name 2008 and 2009 after famous Turks, http://www.todayszaman.com/newsDetail_openPrintPage.action?newsId=128630 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে .