মাল নদী হল একটি উত্তরবঙ্গের ছোট নদী। এটি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত। এই মাল নদীতে নাব্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করার জন্য চ্যানেল তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই সময় হড়পা বানের স্রোতে মালবাজারে ৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে দুর্গা বিসর্জনের সময় অনেক মানুষের প্রাণ চলে যায়।[১] সেদিন রাত ৮টায় প্রতিমা বিসর্জনের সময় নদীর উচ্চতা হাঁটু সমান ছিলো। হটাৎ করেই নদীতে প্রবল স্রোত বইতে শুরু করে এবং বিসর্জনে অংশরত মানুষ নদীর জলে ডুবে যায়। ঘটনায় ৮ জনের মৃতদেহ সহ ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক ঢালের ফলে এরকম ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে।[২] জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসক এই দূর্ঘটনার জন্য ভূটানের বৃষ্টির আগাম তথ্য সময়মত না পাওয়াকে দায়ী করে বলেন ভূটান থেকে বৃষ্টির তথ্য সময়মত পাওয়া গেলে এরকম দূর্ঘটনাগুলো এড়ানো যাবে।[৩] তবে বিজেপির পাঠানো প্রতিনিধি দলের অভিযোগ যে মাফিয়াদের স্বার্থে নদীতে বাঁধ দেওয়া হয়েছিলো যার ফলে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এর জন্য তারা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে।[৪]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. দত্ত গুপ্ত, অপ্রমিয় (৭ অক্টোবর ২০২২)। "'‌মাল নদীর গতিপথ আটকানো হয়নি'‌, বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করলেন জেলাশাসক"হিন্দুস্তান টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২২ 
  2. "Mal River Harpa Ban: বিসর্জনের সময় যখন হড়পা বান মালবাজারে, হাড়হিম VIDEO"আজ তক। ৬ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২২ 
  3. কর, শান্তনু (৭ অক্টোবর ২০২২)। "হড়পা বিপর্যয়: 'কৃত্রিম বাঁধ নয়, মাল নদীতে করা হয়েছিল চ্যানেল', দাবি জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের"সংবাদ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২২ 
  4. লাহিড়ী, ভেঙ্কটেশ্বর (৭ অক্টোবর ২০২২)। "'দুর্ঘটনাই' নয়...! মালনদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে 'বিস্ফোরক' অভিযোগ বিজেপি প্রতিনিধি দলের"নিউজ১৮ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২২