সুলতান-ই-শরক আতাবেগ-ই-আজম মালিক সরওয়ার ছিলেন জৌনপুর সলতনতের পহেলা সুলতান এবং শরকী খান্দানের গোড়।

মালিক সরওয়ার
সুলতান-ই-শরক আতাবেগ-ই-আজম
জৌনপুরের সুলতান
রাজত্ব১৩৯৪ – ১৩৯৯
উত্তরসূরিমালিক কর্ণফুল

হায়াতের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

মালিক সরওয়ার একজন খোজা ছিলেন। তিনি সম্ভবত হাবশী জাতির এবং দিল্লি সলতনতে পয়দা হন।[১] সমসাময়িক নথিতে তার পহেলা উল্লেখ তাকে সুলতান ফিরুজ শাহ তুগলকের রাজত্বকালে শাহী গহনার মহাফেজ হিসাবে বাখান হয়। বাদে তিনি দিল্লি শহরের শাহনাহ নিযুক্ত হন।

তিনি দিল্লির তখতে সুলতান মহম্মদ শার আরোহণে জরূরী ভূমিকা পালন করেন এবং উনার অধীনে উজির নিযুক্ত হন এবং খাজা-ই-জাহান খেতাবে ভূষিত হন।

আজাদী সম্পাদনা

মালিক সরওয়ার দিল্লির রাজনীতিতে এবং সুলতান মাহমুদ শার তখত-আরোহণে জরূরী ভূমিকা পালন করতে থাকেন। ১৩৯৪ খ্রীষ্টাব্দে যখন জৌনপুরে এঙ্কেলাবের খবর আসে, সুলতান মাহমুদ শাহ্ মালিক সরওয়ারকে তার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের সুলতান-ই-শরক নিযুক্ত করেন এবং তার সাথে বিশটি হাতিসহ একটি বিশাল ফৌজ পাঠান। মালিক সরওয়ার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে জৌনপুরে ফিরে আসেন। [২]

এই মুহুর্তে, তিনি দিল্লী থেকে পুরাপুরি আজাদ ছিলেন কারণ দিল্লি সলতনতের পতন ঘটেছিল। মালিক সরওয়ার তার নিজ নামে মুদ্রা জারি করেন, জুম্মাবারে খুতবা তার নামে পাঠ করা হয় এবং নিজেকে আতাবেগ-ই-আজম উপাধি দেন। [৩]

ওয়ারিশ সম্পাদনা

মালিক সরওয়ার একজন খোজা হওয়ায় তার উত্তরসূরী কে হবে তা এক্তিয়ার করা লেগেছিল। তিনি মালিক মুবারক কর্ণফুল এবং তার ভাইদের দত্তক নেন, এবং মালিক মুবারক পরবর্তীতে সুলতান মুবারক শাহ হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন। এইভাবে, মালিক সরওয়ারের খেতাব থেকে জৌনপুরের শরকী শাহী খান্দান কায়েম হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Hawley, John C. (২০০৮-০৬-২৫)। India in Africa, Africa in India: Indian Ocean Cosmopolitanisms (ইংরেজি ভাষায়)। Indiana University Press। আইএসবিএন 978-0-253-00316-4 
  2. Saeed 1972, পৃ. 30–32।
  3. Saeed 1972, পৃ. 32–33।


গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা