মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা

জাতীয় পতাকা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা (ইংরেজি: national flag of the United States of America) সংক্ষেপে মার্কিন পতাকা (ইংরেজি: American flag) নামেও পরিচিত। এর উপর থেকে নিচে পর্যায়ক্রমিক লাল ও সাদা সম-আকৃতির ১৩টি অনুভূমিক ডোরা রয়েছে। পতাকাটির নীল রঙের উত্তর-পশ্চিম অংশ বা ক্যান্টন ৫০টি সাদা রঙের ছোট ছোট ফাইভ-পয়েন্টেড স্টার নিয়ে গঠিত এবং এই তারাগুলো পর্যায়ক্রমিক ৬টি ও ৫টি তারার সারির আকারে সজ্জিত। এই ৫০টি তারা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ১৩টি ডোরা উত্তর আমেরিকার সেই ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেকে বোঝায়, যারা গ্রেট ব্রিটেন রাজ্য থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিল।[১]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা
নামসমূহ স্টার্স অ্যান্ড স্ট্রাইপস (আক্ষ.'তারা ও ডোরা'),
  • ওল্ড গ্লোরি (আক্ষ.'পুরনো গৌরব')
  • স্টার-স্প্র্যাঙ্গলড ব্যানার (আক্ষ.'তারাময় নিশান')
ব্যবহার জাতীয় পতাকা এবং ensign National flag and ensign সাধারণ পার্শ্ব নিশানতাত্ত্বিক বর্ণনা
অনুপাত ১০:১৯
গৃহীত
  • ৩ ডিসেম্বর ১৭৭৫; ২৪৮ বছর আগে (1775-12-03)
    (গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ)
  • ১৪ জুন ১৭৭৭; ২৪৬ বছর আগে (1777-06-14)
    (১৩-তারার সংস্করণ)
  • ৪ জুলাই ১৯৬০; ৬৩ বছর আগে (1960-07-04)
    (বর্তমান ৫০-তারার সংস্করণ)
অঙ্কন পর্যায়ক্রমিক লাল ও সাদা ১৩টি অনুভূমিক ডোরা; নীল রঙের উত্তর-পশ্চিম অংশ বা ক্যান্টনে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যের জন্য একটি সাদা তারা (১৯৬০ সালে ৫০টি তারা) অনুভূমিক সারিতে সজ্জিত (১৯৬০ সালে পর্যায়ক্রমিক ৬টি ও ৫টি তারার সারি)।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার রূপভেদ
নাম প্যানটোন

এই পতাকার ডাকনামের মধ্যে স্টার্স অ্যান্ড স্ট্রাইপস (Stars and Stripes; আক্ষ.'তারা ও ডোরা'),[২] ওল্ড গ্লোরি (Old Glory; আক্ষ.'পুরনো গৌরব') ও স্টার-স্প্র্যাঙ্গলড ব্যানার (Star-Sprangled Banner; আক্ষ.'তারাময় নিশান') উল্লেখযোগ্য।[৩]

ইতিহাস

সম্পাদনা

বর্তমানে মার্কিন পতাকার ২৭শ (সপ্তবিংশ) সংস্করণ ব্যবহার করা হয় এবং ১৭৭৭ সাল থেকে ২৬ বার এই পতাকার নকশা বদল করা হয়েছে। ৪৭ বছর ধরে ৪৮-তারার মার্কিন পতাকা প্রচলিত ছিল। ১৯৫৯ সালের ৪ জুলাইতে ৪৯-তারার সংস্করণ সরকারিভাবে গৃহীত হয়েছিল। ঐ সালের ২১ আগস্টে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ৫০-তারার সংস্করণের আদেশ দিয়েছিলেন এবং ১৯৬০ সালের ৪ জুলাইতে এটি গৃহীত হয়েছিল। এটি মার্কিন পতাকার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সংস্করণ এবং ৬৩ বছর ধরে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে।[৪]

প্রথম পতাকা

সম্পাদনা
 
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতাকা, যা ১৭০৭ সালে চালু করা হয়েছিল এবং ভারত মহাসাগরের উপর এটা উড়ানো হয়েছিল।
 
গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ বা কন্টিনেন্টাল কালার্স (১৭৭৫–১৭৭৭)

আধুনিক তারা ও ডোরার মতো দেখতে প্রথম মার্কিন পতাকা অনেকসময় গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ (ইংরেজি: Grand Union Flag) বা কন্টিনেন্টাল কালার্স (ইংরেজি: Continental Colors) নামে পরিচিত। এটি ১৩টি লাল-সাদা ডোরা ও ক্যান্টনে ইউনিয়ন জ্যাক নিয়ে গঠিত। ১৭৭৫ সালের ৩ ডিসেম্বরে কন্টিনেন্টাল নেভির লেফটেন্যান্ট জন পল জোন্স ডেলাওয়্যার নদীতে ক্যাপ্টেন এসেক হপকিনের পতাকাবাহী জাহাজ "আলফ্রেড"-এ এই পতাকা উড়িয়েছিলেন।[৫] ১৭৭৭ সালের ১৪ জুন অবধি এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা ছিল।[৬] ১৭৭৬ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সময় তারাযুক্ত কোনো পতাকা ছিল না; দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস পরের বছরের জন্য নীল পটভূমিতে সাদা তারাযুক্ত কোনো পতাকা গ্রহণ করেনি। এই "গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ"-কেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পতাকা বলে অভিহিত করা হয়।[৭]

কন্টিনেন্টাল নেভি মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীনতাকামী রাষ্ট্রের প্রতীক হিসাবে কন্টিনেন্টাল কালার্স উত্তোলন করেছিল এবং সম্ভবত উদ্দেশ্যসাধনের পক্ষে উপযোগী করার জন্য তাদের পূর্ববর্তী ব্রিটিশ লাল এনসিনে সাদা ডোরা যোগ করা হয়েছিল।[৭][৮] ১৮৭২ সালে জর্জ হেনরি প্রিবল তাঁর "হিস্ট্রি অব দি আমেরিকান ফ্ল্যাগ" বইতে কন্টিনেন্টাল কালার্স বোঝানোর জন্য এই "গ্র্যান্ড ইউনিয়ন" নামটি ব্যবহার করেছিলেন।[৮]

এই পতাকাটি দেখতে অনেকটা তৎকালীন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতাকার মতো দেখতে ছিল। ১৯৩৭ সালে স্যার চার্লস ফসেট এটা দাবি করেছিলেন যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতাকা মার্কিন পতাকার নকশাকে অনুপ্রাণিত করেছে।[৯] ব্রিটিশ লাল এনসিনে সাদা ডোরা যোগ করেই উভয় পতাকাকে তৈরি করা যায়। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতাকায় ৯ থেকে ১৩ টি ডোরা থাকতে পারে এবং ভারত মহাসাগরের বাইরে এটি উড়ানো অনুমোতিযোগ্য নয়।[১০] বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন একদা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতাকাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা হিসাবে গ্রহণ করার পক্ষে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন।[১১] এটি ব্রিটিশ রাজত্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আনুগত্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষা উভয়কে প্রতীকায়িত করার একটি উপায় ছিল। কিছু ঔপনিবেশিকরা এটাও অনুভব করেছিল যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের এক শক্তিশালী মিত্র হতে পারে, কারণ উভয়ই ব্রিটিশ সরকারের রাজস্ব নীতির বিরোধী ছিল। সুতরাং ঔপনিবেশিকরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষপাতিত্ব হিসাবে তার পতাকা উড়িয়েছিল।[১২]

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পতাকা থেকে গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ফ্ল্যাগের উদ্ভাবনের এই তত্ত্বের সমালোচনা করা হয়েছে, কারণ এর তেমন লিখিত প্রমাণ নেই।[১৩] অন্যদিকে, উভয় পতাকার মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্যটা আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পিতৃপুরুষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকাণ্ড এবং ভারতে কোম্পানি শাসন নিয়ে সচেতন ছিল।[১৩]

১৭৭৭ সালের ফ্ল্যাগ রেজলিউশন

সম্পাদনা

১৭৭৭ সালের ১৪ জুনে দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস ফ্ল্যাগ রেজলিউশন পাস করেছিল এবং এই প্রস্তাব অনুযায়ী ১৩টি রাজ্য নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় পর্যায়ক্রমিক লাল-সাদা ১৩টি ডোরা থাকবে এবং পতাকার উত্তর-পশ্চিম অংশ বা "ইউনিয়ন"-এ ১৩টি তারা থাকবে, যা এক "নতুন নক্ষত্রমণ্ডল"-এর (new constellation) প্রতীক।[১৪] প্রতি বছর ১৪ জুনে যুক্তরাষ্ট্রে পতাকা দিবস পালন করা হয়। পণ্ডিতমহলে এই বিষয়ে এখনো বিতর্ক থাকলেও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী কন্টিনেন্টাল আর্মি ১৭৭৭ সালের জুন মাসে এই নতুন পতাকার প্রথম উত্তোলন করেছিল।[১৫]

এক বহুল পুনরাবৃত্ত তত্ত্ব অনুযায়ী জর্জ ওয়াশিংটনের কুলপ্রতীক থেকে এই পতাকার নকশা নির্ধারণ করা হয়েছে। জর্জ ওয়াশিংটনের কুলপ্রতীকে সাদা পটভূমিতে দুটি অনুভূমিক লাল ডোরা ও তিনটি লাল তারা রয়েছে।[১৬] কুলপ্রতীকের সাথে ঐ পতাকার সাদৃশ্য থাকলেও উৎসভেদে প্রতীকটির সাথে পতাকার নকশার সম্পর্কের পক্ষে স্বল্প প্রমাণ আছে[১৭] বা কোনো প্রমাণই নেই।[১৮] ফ্রেড ডব্লিউ. স্মিথ ন্যাশনাল লাইব্রেরি ফর দ্য স্টাডি অব জর্জ ওয়াশিংটন দ্বারা প্রকাশিত "ডিজিটাল এনসাইক্লোপিডিয়া অব জর্জ ওয়াশিংটন"-এ একে দীর্ঘস্থায়ী ভ্রম বলে অভিহিত করা হয়, যার সপক্ষে কোনো উপযুক্ত প্রমাণ নেই।[১৯] সম্ভবত ১৮৭৬ সালের "ওয়াশিংটন: আ ড্রামা ইন ফাইভ অ্যাক্টস" নাটক থেকে এই কাহিনী উদ্ভূত হয়েছিল এবং সেন্ট নিকোলাস ম্যাগাজিনে এই কাহিনীর পুনরাবৃত্তির ফলে এটি আরও জনপ্রিয় লাভ করেছে।[১৭][১৮]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Warner, John (১৯৯৮)। "Senate Concurrent Resolution 61" (পিডিএফ)। U.S. Government Printing Office। ২০০৯-০৫-০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৫, ২০১৪ 
  2. "History of the American Flag"www.infoplease.com। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫ 
  3. "USFlag.org: A website dedicated to the Flag of the United States of America – "OLD GLORY!""www.usflag.org। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫ 
  4. Streufert, Duane। "A website dedicated to the Flag of the United States of America – The 50 Star Flag"। USFlag.org। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৩ 
  5. "The Administration of the Continental Navy of the American Revolution"U.S. Naval Institute (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯০৫-০৭-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৪ 
  6. Joint Committee on Printing, United States Congress (১৯৮৯)। Our Flag। H. Doc. 100-247। Washington: U.S. Government Printing Office। পৃষ্ঠা 3। 
  7. Leepson, Marc (২০০৪)। Flag: An American Biography 
  8. Ansoff, Peter (২০০৬)। "The Flag on Prospect Hill" (পিডিএফ)Raven: A Journal of Vexillology13: 91–98। ডিওআই:10.5840/raven2006134। ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. ফ্ল্যাগস অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইটে The Striped Flag of the East India Company, and its Connexion with the American "Stars and Stripes"
  10. ফ্ল্যাগস অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইটে East India Company (United Kingdom)
  11. Johnson, Robert (২০০৬)। Saint Croix 1770–1776: The First Salute to the Stars and Stripes। AuthorHouse। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 978-1425970086 
  12. Horton, Tom (২০১৪)। "Exposing the Origins of Old Glory's stripes"। History's Lost Moments: The Stories Your Teacher Never Told You5। Trafford Publishing। আইএসবিএন 978-1490744698 
  13. "Saltires and Stars & Stripes"The Economic Times। সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-২৩ 
  14. "A Century of Lawmaking for a New Nation: U.S. Congressional Documents and Debates, 1774–1875"American Memory – Library of Congress 
  15. Guenter (1990).
  16. "Washington Window"। ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৫, ২০১৩ 
  17. Vile, John R. (২০১৮)। The American Flag: An Encyclopedia of the Stars and Stripes in U.S. History, Culture, and Law (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 342। আইএসবিএন 978-1-4408-5789-8 
  18. Leepson, Marc (২০০৭)। "Chapter Ten: The Hundredth Anniversary"Flag: An American Biography (ইংরেজি ভাষায়)। Macmillan। আইএসবিএন 978-1-4299-0647-0 
  19. Capps, Alan। "Coat of Arms"The Digital Encyclopedia of George Washington (ইংরেজি ভাষায়)। Mount Vernon Ladies' Association। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-০৮ 

গ্রন্থপঞ্জি

সম্পাদনা
  • Allentown Art Museum. The American Flag in the Art of Our Country. Allentown Art Museum, 1976.
  • Herbert Ridgeway Collins. Threads of History: Americana Recorded on Cloth 1775 to the Present. Smithsonian Institution Press, 1979.
  • Grace Rogers Cooper. Thirteen-star Flags: Keys to Identification. Smithsonian Institution Press, 1973.
  • David D. Crouthers. Flags of American History. Hammond, 1978.
  • Louise Lawrence Devine. The Story of Our Flag. Rand McNally, 1960.
  • William Rea Furlong, Byron McCandless, and Harold D. Langley. So Proudly We Hail: The History of the United States Flag. Smithsonian Institution Press, 1981.
  • Scot M. Guenter, The American Flag, 1777–1924: Cultural Shifts from Creation to Codification. Fairleigh Dickinson University Press. 1990. online ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মে ২৪, ২০১২ তারিখে
  • George E. Hastings. The Life and Works of Francis Hopkinson. University of Chicago Press, 1926.
  • Kevin Keim & Peter Keim. A Grand Old Flag: A History of the United States through its Flags. DK Publishing. 2007. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৫৬৬-২৮৪৭-৫.
  • Flag: An American Biography. Thomas Dunne Books/St. Martin's Press, 2005.
  • David Roger Manwaring. Render Unto Caesar: The Flag-Salute Controversy. University of Chicago Press, 1962.
  • Boleslaw Mastai and Marie-Louise D'Otrange Mastai. The Stars and the Stripes: The American Flag as Art and as History from the Birth of the Republic to the Present. Knopf, 1973.
  • Henry W. Moeller, Ph.D. "Two Early American Ensigns on the Pennsylvania State Arms." NAVA News, Issue 173, Jan.–Mar. 2002.
  • Milo Milton Quaife. The Flag of the United States. 1942.
  • Milo Milton Quaife, Melvin J. Weig, and Roy Applebaum. The History of the United States Flag, from the Revolution to the Present, Including a Guide to Its Use and Display. Harper, 1961.
  • Richard S. Patterson and Richardson Dougall. The Eagle and the Shield: A History of the Great Seal of the United States. U.S. Government Printing Office, 1978 [1976 i.e. 1978].
  • Albert M. Rosenblatt. "Flag Desecration Statutes: History and Analysis ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ১১, ২০১৬ তারিখে", Washington University Law Quarterly 1972: 193–237.
  • George and Virginia Schaun. "Historical Portrait of Mrs. Mary Young Pickersgill." The Greenberry Series on Maryland, Greenberry Publications. Volume 5.
  • Leonard A. Stevens. Salute! The Case of The Bible vs. The Flag. Coward, McCann & Geoghegan, 1973.
  • Arnaldo Testi. Capture the Flag: The Stars and Stripes in American History (New York University Press; 2010) 192 pages. A European perspective on the symbolism and political, social, and cultural significance of the flag.
  • Earl P. Williams Jr. " NAVA News, Issue 216, Oct.–Dec. 2012.
  • Paul M. Zall. "Comical Spirit of Seventy-Six: The Humor of Francis Hopkinson." The Huntington Library, 1976.
  • Chadwick, Patricia. "The Women Behind the Flag ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ৬, ২০১৮ তারিখে"

আরও পড়ুন

সম্পাদনা
  • "Identity and Marking Standards" (পিডিএফ)। Office of the Under Secretary for Public Diplomacy and Public Affairs। Washington, D.C.: United States Department of State। জুন ২০১২। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা