মারিয়া ভেলেদা, যিনি মারিয়া ক্যারোলিনা ফ্রেডেরিকো ক্রিস্পিন (১৮৭১ - ১৯৫৫) ছদ্মনাম দ্বারা ব্যাপকভাবে পরিচিত, একজন পর্তুগিজ শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং কর্মী ছিলেন। তিনি পর্তুগালের প্রথম দিকের সবচেয়ে সক্রিয় নারীবাদীদের একজন ছিলেন। তিনি কারখানার নারী শ্রমিকদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন এবং নারীদের শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছিলেন, ১৯০৭ সালে পর্তুগিজ গ্রুপ অফ ফেমিনিস্ট স্টাডিজ চালু করেছিলেন। তিনি ১৯০৮ সালে রিপাবলিকান লিগ অফ পর্তুগিজ উইমেনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, পরে বোর্ডের সভাপতি হন, ১৯১৫ সালে তিনি গণতান্ত্রিক প্রচারের মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠা ক'রে রাজনীতিতে মহিলাদের সম্পৃক্ততার প্রচার করেন।[১][২]

মারিয়া ভেলেদা (১৯১২)
১৯১০ সালের ১২ই মে, প্রকাশিত, সেকুলো পত্রিকার একটি পরিপূরক অংশ, লিগা দাস মুলহেরেস রিপাবলিকানাস-এর ভোটাধিকার সম্পর্কে: ৫ - আনা দে কাস্ত্রো ওসোরিও; ৬ - মারিয়া ভেলেদা; ৭ - বিয়াট্রিজ পেস পিনহেইরো ডি লেমোস; ৮ - মারিয়া ক্লারা কোরিয়া আলভেস; ১৩ - সোফিয়া কুইন্টিনো; ১৪ - অ্যাডিলেড ক্যাবেট ; ১৫ - ক্যারোলিনা বিয়াট্রিজ অ্যাঞ্জেলো; ১৬ - মারিয়া ডো কারমো জোয়াকুইনা লোপেস

জীবনী সম্পাদনা

মারিয়া ক্যারোলিনা ফ্রেডেরিকো ক্রিস্পিন ১৮৭১ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ফারোতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ব্যবসা মালিক জোয়াও ডিয়োগো ফ্রেডেরিকো ক্রিস্পিম এবং তাঁর স্ত্রী কার্লোটা পারপেটুয়া দা ক্রুজ ক্রিস্পিমের কন্যা ছিলেন।[৩]

১৯০০ এর দশকের গোড়ার দিকে, তিনি পর্তুগালের দক্ষিণে একজন সাংবাদিক হিসাবে সক্রিয় ছিলেন, কবিতা, শিশুদের গল্প এবং নারী মুক্তি (পর্তুগিজ: Emancipação Feminina) নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলেন। ১৯০৮ সালে, লিসবনের আফনসো কোস্টা স্কুল সেন্টারে একজন শিক্ষক হিসাবে কাজ করার সময়, তিনি সান্ধ্যকালীন কোর্স তৈরি করেছিলেন এবং নারীদের পেশাগত জীবনে প্রবেশ করতে বা রাজনীতিতে জড়িত হতে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষামূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। বিশেষ করে, তিনি নারীদের জন্য ভোটাধিকার, নারীদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, কর্মঘণ্টা হ্রাস এবং সকল পেশায় নারীদের প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানান।[৪] তিনি রিপাবলিকান লীগ অফ পর্তুগিজ উইমেন (আরএলপিডব্লিউ) এর সদস্য হন। পরের বছর, তাঁর উদ্যোগে, আরএলপিডব্লিউ ওব্রা মেটারনাল প্রতিষ্ঠা করে, যা অভাবী বা পরিত্যক্ত শিশুদের যত্ন ও শিক্ষার জন্য একটি উদ্যোগ। ১৯১২ সালে, তিনি লিসবনের শৈশব নজরদারি কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত হন, যে পদটি তিনি ১৯৪১ সাল পর্যন্ত বজায় রেখেছিলেন।[১][৫]

১৯১৩ সালের জুন মাসে, বুদাপেস্টে আন্তর্জাতিক নারী ভোটাধিকার জোটের সপ্তম সম্মেলনে তিনি, আনা অগাস্টা দে কাস্টিলহো, বিয়াট্রিজ পিনহেইরো, লুথগার্ডা দে কায়েস এবং জোয়ানা দে আলমেদা নোগুইরা সম্বলিত পর্তুগিজ প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন।[৬]

১৯১৫ সালে, ভেলেদা নারীদের গণতান্ত্রিক প্রচার সমিতি (পর্তুগিজ: Associação Feminina de Propaganda Democrática) প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি নারীদের স্বাধীন চিন্তাবিদ হতে এবং অসমতা ও সামরিকবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল।[২]

সদ্য প্রতিষ্ঠিত প্রজাতন্ত্রী শাসনের সহিংসতায় বিরক্ত হয়ে তিনি ১৯২১ সালে রাজনীতি পরিত্যাগ করেন। পরিবর্তে, তিনি অধ্যাত্মবাদের দিকে মনোনিবেশ করেন, অধ্যাত্মবাদী গ্রুপ লাইট অ্যাণ্ড লাভ (পর্তুগিজ: Grupo Espiritualista Luz e Amor) প্রতিষ্ঠা করেন, পর্তুগিজ আধ্যাত্মিক কংগ্রেস (১৯২৫) সংগঠিত করেন এবং আধ্যাত্মবাদী প্রেসে নিবন্ধ লিখে অবদান রাখেন।[৫]

মারিয়া ভেলেদা ১৯৫৫ সালের ৮ই এপ্রিল লিসবনে মারা যান।[২][৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Monteiro, Natividade। "Maria Veleda" (Portuguese ভাষায়)। Centro de documentação e arquivo feminista Elina Guimarães। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  2. "Maria Veleda (1871-1955)"। Debate Graph। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  3. "Dia Internacional da Mulher" (পর্তুগিজ ভাষায়)। Arquivo Distrital Faro। ৭ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০ 
  4. "Maria Veleda e as mulheres portuguesas do séc. XXI" (পিডিএফ) (পর্তুগিজ ভাষায়)। Universidade do Algarve। ১৯ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০ 
  5. "Maria Veleda" (পর্তুগিজ ভাষায়)। Netsaber Biografias। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০ 
  6. FERREIRA SILVEIRA, ANABELA (২০১৭)। "O PROTAGONISMO DE BEATRIZ PINHEIRO NA REVISTA VISEENSE AVE AZUL (1899-1900)": 77–95।