মাঝেরহাট সেতু
মাঝেরহাট সেতু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে শিয়ালদহ-বজবজ রেলপথের ওপর অবস্থিত একটি নির্মাণাধীন সেতু। এর মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতা ও কেন্দ্রীয় কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষিত হয়। এর মোট দৈর্ঘ্য ৬৩৬ মিটার।[৩] এটি একটি দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু (কেবল-স্টেইড)। সেতুটি নির্মাণ করতে খরচ হয় মোট ৩১১.৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে।[৩] পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে এই সেতুটি নির্মিত হয়।
মাঝেরহাট সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২২°৩১′০৭″ উত্তর ৮৮°১৯′২৫″ পূর্ব / ২২.৫১৮৫৮৮° উত্তর ৮৮.৩২৩৭৪০° পূর্ব |
বহন করে | ৪ লেনের ডায়মন্ড হারবার রোড[১][২] |
অতিক্রম করে | কলকাতা চক্র রেল, শিয়ালদহ-বজবজ রেলপথ |
স্থান | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
দাপ্তরিক নাম | জয় হিন্দ সেতু[২] |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | ঝুলন্ত সেতু |
মোট দৈর্ঘ্য | ৬৩৬ মিটার (২,০৮৭ ফু)[১] |
প্রস্থ | ১৬ মিটার (৫২ ফু)[১] |
দীর্ঘতম স্প্যান | ২২৭ মিটার (৭৪৫ ফু) |
ইতিহাস | |
চালু | ৩ ডিসেম্বর ২০২০[১][২] |
পরিসংখ্যান | |
দৈনিক চলাচল | পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি |
টোল | না |
অবস্থান | |
নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণে সময়সূচী অনুযায়ী ২০২০ সালের দুর্গাপূজার আগে সেতুটি চালু করতে ব্যর্থ হয় রাজ্য সরকার।[৩] রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর সেতুটির উদ্বোধন করেন এবং তিনি জয় হিন্দ নামে সেতুর নাম করণ করে।[১][২]
ইতিহাস সম্পাদনা
পুরাতন সেতু সম্পাদনা
নতুন সেতু সম্পাদনা
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। প্রথমে পুরাতন সেতু ভেঙে ‘বো-স্ট্রিং’ সেতু বানাতে কথা বলা হলেও পরে নতুন সেতু হিসাবে একটি ‘কেব্ল স্টেড’ সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৪]
কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা
সড়কের ওজনটি ৮৪ টি তির্যক সাসপেন্ডার দড়ি থেকে ঝুলানো, যা ৬ টি প্রধান টাওয়ার বা কংক্রিট স্তম্ভের সাথে সংযুক্ত। তারগুলি টাওয়ার বা কংক্রিট স্তম্ভের মধ্য দিয়ে যায় এবং তারগুলি প্রতিটি প্রান্ত সেতুর মেঝের সাথে যুক্ত হয়।
প্রায় ৬৩৬ মিটার দীর্ঘ মাঝেরহাট সেতুর মধ্যবর্তী ২২৭ মিটার অংশ ঝুলন্ত। সেতুর ভার বহন ক্ষমতা ৩৮৫ টন।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "দিল্লি বাধা না দিলে ৯ মাস আগেই উদ্বোধন হত সেতুর, বললেন মমতা"। ৩ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ "আজ মাঝেরহাট সেতু উদ্বোধন, যানজট এড়াতে গাড়ির রুট পরিবর্তন"। www.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৩ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ "রেল ছাড়পত্র দিতেই মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরিতে তৎপর রাজ্য, পরিদর্শনে ফিরহাদ-অরূপ"। সংবাদ প্রতিদিন। ৮ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।
- ↑ "মাঝেরহাটের দেরিতে 'দায়ী' রাজ্যই, এ বার পাল্টা সরব রেল"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২০।