জয় হিন্দ সেতু
জয় হিন্দ সেতু (পূর্বনাম মাঝের হাট ব্রিজ) পূর্ব রেলপথের শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ও কলকাতা চক্র রেলপথের উপর ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক তথা ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর নির্মিত কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও দক্ষিণ শহরতলীর বিস্তৃত অঞ্চলের অন্যতম সংযোগরক্ষাকারী সেতু।[১]
জয় হিন্দ সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২২°৩১′০৭″ উত্তর ৮৮°১৯′২৫″ পূর্ব / ২২.৫১৮৫৮৮° উত্তর ৮৮.৩২৩৭৪০° পূর্ব |
বহন করে | বাস , ট্যাক্সি, মোটরবাইক, ছোট গাড়ি, পদযাত্রী |
অতিক্রম করে | শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেলপথ |
স্থান | কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | ঝুলন্ত সেতু |
মোট দৈর্ঘ্য | ৬৩৬ মিটার |
দীর্ঘতম স্প্যান | ২২৭ মিটার |
ইতিহাস | |
চালু | ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ |
পরিসংখ্যান | |
টোল | না |
অবস্থান | |
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এই যে, ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ৩০ শে আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন পূর্বের মাঝেরহাট ব্রিজটির প্রথম উদ্বোধন করেন। সেই ব্রিজটির একটি অংশ ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এই সেতু বিপর্যয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয় এবং অনেকে পথচারী আহত হন। তারপর সেটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। ভারতীয় রেলের সহযোগিতায় ৮৪ টি কেবল সংবলিত কেবল স্টেইড ঝুলন্ত সেতু নির্মিত হয দু-বছরের বেশি কিছু সময়ে। এটির দৈর্ঘ্য ৬৩৬ মিটার এবং প্রস্থ ১৬ মিটার। সেতুর মধ্যবর্তী ২২৭ মিটার দীর্ঘ অংশ রয়েছে রেললাইনের উপরে। সেতুটির ভারবহন ক্ষমতা ৩৮৫ মেট্রিক ট্রন। খরচ হয়েছে ৩১১.৭৬ কোটি টাকা। নির্মাণকার্য সম্পাদন করে রাজ্য পূর্ত দপ্তরের তরফে ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা এস পি শিংলা। ২৩ শে জানুয়ারি ২০২১ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিনকে স্মরণে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন সেতুটির নামকরণ করেন 'জয় হিন্দ' সেতু [২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নতুন নাম 'জয় হিন্দ' মাঝেরহাট সেতুর উদ্বোধন বৃহস্পতিবার"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৭।
- ↑ "আজ থেকে চালু জয় হিন্দ সেতু, যানজট থেকে রেহাই দক্ষিণ শহরতলির মানুষের"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৭।