মাইজপাড়া মঠ বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার (বিক্রমপুরের) মাইজ পাড়া এলাকার একটি পুরাতন মঠ।[১] ঢাকা থেকে বিক্রমপুরের দিকে নৌপথে অথবা সড়কপথে ঢুকতে গেলে পশ্চিম প্রান্তে দুটি সুউচ্চ মঠ চোখে পড়ে। তার একটি হল এই মাইজপাড়ার মঠ, অন্যটি হল শ্যামসিদ্ধির মঠ। মৃত্যুর পর চিতার স্থানকে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য এ ধরনের মঠ তৈরি করা হয়েছিল। জমিদার তারাপ্রসাদ রায় মৃত্যুবরণ করলে তার চিতাস্থলে প্রায় ১৫০ বছর আগে ১২০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এই মঠটি তৈরি করা হয়। তার দুই সহধর্মিণী সুধামণি দেবী ও নবদুর্গা দেবী মৃত্যুবরণ করলে, এর দুই পাশে আরও দুটি ছোট আকৃতির মঠ তৈরি করা হয়।[২] ১২৩ বছর আগে বাংলা ১২৯২ সনের ৩১ আষাঢ় ভুমিকম্পে মঠটি ভেঙে যায় এবং এক বছর পর বংলা ১২৯৩ সনের বৈশাখ মাসে তা পুননির্মাণ করা হয়। মঠের গায়ে লিখন থেকে বোঝা যায়, এটি তৈরি করেছিলেন রাজনারায়ণ নামে একজন নির্মাণ-কারিগর। মঠের খোপগুলোতে প্রচুর টিয়াপাখি বসবাস করে। অত্যন্ত চমৎকার নির্মাণশৈলী এবং কারুকার্যময় মঠের খোপগুলোতে প্রচুর টিয়াপাখি বসবাস করে। মঠের চুড়ায় তামার তৈরি দুটি কলস রয়েছে।

মাইজপাড়া মঠ

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৭ 
  2. Munshigonj.com (২ মার্চ ২০০৯)। "বিক্রমপুরের মাইজপাড়া মঠ"। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]