মহেশখালী দ্বীপ
মহেশখালী দ্বীপ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি দ্বীপ। মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পার্বত্য দ্বীপ। এটি চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত মহেশখালী উপজেলার বৃহত্তর দ্বীপ, বাকি দুটি দ্বীপ হল সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা। বর্তমানে দ্বীপের জনতা বাজার নামক স্থানে মহেশখালী সেতু নির্মিত হওয়ায় মূল ভূ-খণ্ডের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ আছে।
ভূগোল | |
---|---|
অবস্থান | মহেশখালী উপজেলা |
স্থানাঙ্ক | ২১°৩৫′০২″ উত্তর ৯১°৫৫′২১″ পূর্ব / ২১.৫৮৪০° উত্তর ৯১.৯২২৬° পূর্ব |
প্রশাসন | |
ইতিহাস
সম্পাদনাঅধ্যাপক ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগোর মতে, ১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়।[১] একজন পর্তুগীজ ভ্রমণকারী আরাকান অঞ্চলে এই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গেছেন। দ্বীপের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এবং তার পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল থাকার কারণে অনুমিত হয় যে, দ্বীপটি একসময় মূল ভূ-খন্ডের সাথে যুক্ত ছিলো।
দ্বীপের অর্থনীতি
সম্পাদনাদ্বীপটি লবণ ও পান ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র। পান, মাছ, শুঁটকী, চিংড়ি, লবণ এবং মুক্তার উৎপাদন এই উপজেলাটিকে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি।[২] বাংলাদেশের গ্যাস সংকট হ্রাস করতে এই দ্বীপে দুটি এলএনজি টার্মিনাল এফএসআরইউ এবং গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "মহেশখালী দ্বীপ"। কালের কণ্ঠ। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১০।
- ↑ মোঃ জামাল উদ্দিন; ফরিদুল আলম দেওয়ান। "সাগর-পাহাড় সহাবস্থান যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য"। দৈনিক আজাদী। ঢাকা। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (মুদ্রণ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১০।