মহারাজার দিঘী বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে অবস্থিত একটি বিশালায়তনের জলাশয়। ধারণা করা হয়, প্রাচীন ঐতিহাসিক এক রাজ্যে মহারাজা পৃথু রাজত্ব করাকালীন এই দীঘিটি খনন করা হয়।[১]

পুরানো দীঘি নিয়ে রহস্যের কোন শেষ নেই। শরিফন নামে এক মহিলা জানায় এই পুকুরে নাকি বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানে প্লেট, গ্লাস অন্য কোন জিনিসের প্রয়োজন হলে আগের দিন বলে আসলে পরে দিন নিয়ে আসতো, আবার কাজ শেষ হলে ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে আসতো, একদিন প্লেট বা গ্লাস কম দেওয়া যাবে না এবং ঝোলা লাগিয়ে রাখা যাবেনা। এমনই এক ঘটনা ঘটায় এরপর থেকে আর গ্লাস, প্লেট পাওয়া যায় না।

রুফেজা নামক এক মহিলা সম্ভবত ছেলে সন্তানের আশায় মানত করতে নিয়ে গেছিলো ঘাটে দুধ, কলা দুধ পানিতে ডালতেই তা মিশে না গিয়ে তা একটি আঁকাবাকা রেখার মতো হয়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়।

একসময় সমৃদ্ধ জনপদ ছিলো এই দুর্গনগরী। ছিলো রাজা প্রজা বসত রাজার দরবার কক্ষে বিচার। সময় টি ছিলো আজ ১৫০০ বছর আগেকার কথা আর এই দীঘির ইতিহাস

অবস্থান ও বর্ণনা

সম্পাদনা

পঞ্চগড় জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক পুকুরের নাম মহারাজার দীঘি।[২]

বিশালায়তনের স্বচ্ছ পানির এই জলাশয়ের পাড় সহ মোট আয়তন প্রায় ২৪০০x ১২০০ ফুট এবং পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। গাছপালায় ঘেরা মহারাজার দীঘির চারপাশে প্রায় ১০টি ঘাট রয়েছে। কথিত আছে, পৃথু রাজা তার পরিবার পরিজন ও ধনরত্ন সাথে নিয়ে “কীচক” নামক এক নিম্নশ্রেণী দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়ে তাদের সংস্পর্শে ধর্মনাশের ভয়ে এই দীঘিতে আত্নহনন করেছিলেন।[৩]

প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে মহারাজার দীঘির পাড়ে এক বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। সে সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা মেলায় ঘুরতে আসেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "মহারাজার দিঘী"পঞ্চগড় সদর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯ 
  2. দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "মহারাজার দিঘি পর্যটককেন্দ্র হলে আসবে প্রচুর রাজস্ব"Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত) : Most Popular Bangla Newspaper। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯ 
  3. রহমান, রাজিউর (২০২২-০৭-২৬)। "১৫০০ বছরের মহারাজার দিঘি"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯