মহাত্মা গান্ধী সেতু

বিহারে গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি সেতু, ভারত

মহাত্মা গান্ধী সেতু (গান্ধী সেতু বা গঙ্গা সেতু) হল বিহারে গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি সেতু। এই সেতুটি গঙ্গার দক্ষিণের পাটনাকে গঙ্গার উত্তরের হাজিপুর এর সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়েছে।[২] এই সেতু মোট ৫,৭৫০ মিটার (১৮,৮৬০ ফু)[৩] দীর্ঘ।সেতুটি বিহারের উত্তর অংশ ও দক্ষিণ অংশের মধ্যো যোগাযোগ বাড়িয়েছে। এটি ভারতের দীর্ঘতম নদী সেতু।[৪][৫]

মহত্মা গান্ধী সেতু
স্থানাঙ্ক২৫°৩৭′১৯.০″ উত্তর ৮৫°১২′২৫.৭″ পূর্ব / ২৫.৬২১৯৪৪° উত্তর ৮৫.২০৭১৩৯° পূর্ব / 25.621944; 85.207139
বহন করেচার লেনের সড়ক এবং দুই পাশে ফুটপাথ
অতিক্রম করেগঙ্গা
স্থানপাটনা - হাজিপুর
দাপ্তরিক নামমহত্মা গান্ধী সেতু
রক্ষণাবেক্ষকভারতীয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ
বৈশিষ্ট্য
নকশাগার্ডার সেতু
উপাদানকংঙ্কিট and ইস্পাত
মোট দৈর্ঘ্য৫.৭৫ কিমি (৩.৫৭ মা)
প্রস্থ২৫ মি (৮২ ফু)
স্প্যানের সংখ্যা৪৭
পানির মধ্যে নালা40
নিন্মে অনুমোদিত সীমা২৬৫
ইতিহাস
নকশাকারগ্যামমোন ইন্ডিয়া
নির্মাণকারীগ্যামমোন ইন্ডিয়া লিমিটেট
নির্মাণ শুরু১৯৭২
নির্মাণ শেষ১৯৮২
চালুমে ১৯৮২
পরিসংখ্যান
টোলনা [১]
অবস্থান
মানচিত্র

ইতিহাস সম্পাদনা

সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব প্রথম রাখে কেন্দ্র সরকার ১৯৬৯ সালে। এর পর ১৯৭২ সালে সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণ শেষ হয় ১৯৮২ সালে এবং ওই বছর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেতুর উদ্ভোদন করেন।

পরিকল্পনা এবং গুরুত্ব সম্পাদনা

 
ভারতের পাটনায় মহাত্মা গান্ধী সেতু

সেতুটি ১৯৬৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দশ বছর ধরে গ্যামন ইন্ডিয়া লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, সেই সময়ে ৮৭.২২ কোটি টাকার ব্যয় হয়েছিল নির্মাণে। এটি উত্তর বিহারকে বিহারের বাকি অংশ এবং জাতীয় মহাসড়ক ১৯ (এনএইচ ১) এর সাথে সংযুক্ত করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। এই সেতু নির্মাণের পূর্বে ১৯৫৯ সালে চালু হওয়া রাজেন্দ্র সেতু উত্তর বিহারের একমাত্র সংযোগ ছিল। সেই সময়ে, বিক্রমশিলা সেতুও গঙ্গা জুড়ে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে আরও দুটি রেল-কম-রোড সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে, দিঘা ও সোনপুর [৬] এবং মুঙ্গারে।[৭]

ভারতের ডাক বিভাগ ভারতবর্ষের ল্যান্ডমার্ক সেতুগুলিতে স্মারক ডাকটিকিট জারি করেছে: ১৭ আগস্ট ২০০৭ সালে মহাত্মা গান্ধী সেতুর ডাকটিকিট মুল্য ছিল ০৫০০ পয়সা।[৮]

যানজট সম্পাদনা

সাম্প্রতিক সময়ে, সেতুটিতে ক্রমবর্ধমান যানবাহন ও নিয়মিত ওভারলোড করার কারণে বড় ধরনের যানবাহনের বিশৃঙ্খলা এবং দুর্ঘটনা ঘটছে। যানচলাচল সহজ করার জন্য বিহার সরকার সমান্তরালভাবে দুটি পন্টন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।[৯] গান্ধী সেতুতে প্রতিদিন ৮৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন ও ১২,০০০ পথচারীর চলাচল করে।

প্রাথমিক ইতিহাস সম্পাদনা

  • নির্মাণ শুরু: ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ
  • নির্ধারিত উদ্বোধন: জুন ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ
  • দরপত্র খরচ: ₹২৩.৫০ কোটি টাকা
  • প্রথম সম্প্রসারণের সময় (ইওটি): জুন ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ
  • বরাদ্দকৃত খরচ ৪৬.৬৭ কোটি টাকা
  • খরচ বৃদ্ধির কারণ: এই অতিরিক্ত খরচ চুক্তিতে একটি "অন্তর্নির্মিত" খরচ বৃদ্ধি ধারার ফলাফল।
  • বিলম্বের কারণসমূহ: এপ্রিল ১৯৭৯ সালে প্রচণ্ড ঝড়ের ফলে দুটি গেন্টরি এবং কাস্টিং ডেক ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতিটি গেন্ট্রি ক্রেন ৩০০ টন ওজনের ছিল। সিমেন্ট এবং নির্মান উপাদান অভাব এবং শ্রমিকদের ধর্মঘট।
  • প্রতিবেদন: এই প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মান উপকরণ সেতু উত্তর দিকে নেপাল এবং বিহার উত্তর অংশ থেকে আনা হয়।
  • ২ য় সম্প্রসারণ সময় (ইওটি): ডিসেম্বর ১৯৮১ সাল
  • প্রকল্প অগ্রগতি: ৮০% (শারীরিক) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৯৮০ সাল পর্যন্ত
  • বিল মূল্য: ৪১ কোটি টাকা
  • ঠিকাদারের অতিরিক্ত দাবিঃ ৫০ কোটি টাকা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Traffic eases on Gandhi Setu as Centre drops toll collection timesofindia.com
  2. "Destinations :: Patna"। ২০১৪-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. [১]
  4. "Gandhi Setu: An engineering marvel"। ২০১২-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৮ 
  5. longest river bridge to be rebuilt ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে business-standard.com
  6. "Digha Sonepur Rail Road Bridge to be operational by 2017"। ৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮ 
  7. Ganga Rail-Road Bridge
  8. "Welcome to the Indiapost Web Site"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮ 
  9. "Govt planning to build 2 Pontoon Bridges parallel to Gandhi Setu in Patna"IANS। news.biharprabha.com। ৭ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪