মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন,২০১৭-এর অধীনে পূর্ব মেদিনীপুর বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১] এটির নাম পরিবর্তন ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১৮-এর মাধ্যমে করা হয়েছিল।[২] বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম উপাচার্য সুব্রত কুমার দে মহাশয়কে নিয়োগের সাথে সক্রিয় হয়ে ওঠে।[৩] ২০২১ সালের তথ্যানুসারে, এটি বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও গণিত বিষয়ে পঠন-পাঠনের প্রস্তাব ও স্নাতকোত্তর উপাধি প্রদান করে।[৪]

মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২০১৮ (৬ বছর আগে) (2018)
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
আচার্যজগদীপ ধনখর
উপাচার্যসুব্রত কুমার দে
অবস্থান, ,
ভারত
ওয়েবসাইটwww.mguwb.org.in

সংগঠন ও প্রশাসন সম্পাদনা

শাসনকার্য সম্পাদনা

মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হল আদালত বা কোর্ট। আদালত বা কোর্টের মধ্যমে সকল শাসনকার্য পরিচালিত হয়। এটি আচার্য, উপাচার্য, উপা-আচার্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ বিভাগের সচিব এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় উচ্চ শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান বা তার দ্বারা মনোনীত একজন ব্যক্তি সহ মোট ৩৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত, যাদের মধ্যে পদাধিকারবলে ৯ জন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও অধিভুক্ত কলেজের প্রতিনিধি হিসাবে ২৪, মনোনীত সদস্য হিসাবে ৫ জন এবং বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ১ জন সদস্য রয়েছেন। আদালতের সদস্যগণই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম, বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল পর্যবেক্ষণ করেন।[১] চন্দ্রদীপা ঘোষ ২০২৩ সালের ১৬ই মার্চ মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন।[৫] পশ্চিমবঙ্গ সরকারবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রদানকৃত অর্থ দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংস্থান হয়ে থাকে।[১]

অনুষদ ও বিভাগ সম্পাদনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি বিভাগ রয়েছে, বিভাগগুলি চারটি পৃথক স্কুলকে সংগঠিত করে। স্কুলগুলি হল সাহিত্য ও ভাষা স্কুল, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল, শারীরিক বিজ্ঞান স্কুল এবং জীবন বিজ্ঞান স্কুল। এই স্কুলগুলি ২ টি অনুষদের অন্তর্গত রয়েছে। কলা অনুষদ দ্বারা সাহিত্য ও ভাষা স্কুল এবং সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল পরিচালিত হয়, অপরদিকে বিজ্ঞান অনুষদ দ্বারা শারীরিক বিজ্ঞান স্কুল ও জীবন বিজ্ঞান স্কুল পরিচালিত হয়।[৬]

শিক্ষায়তনিক বিষয় সম্পাদনা

ভর্তি সম্পাদনা

স্নাতকোত্তর পাঠক্রমগুলির ক্ষেত্রে—কলা (এম.এ) ও বিজ্ঞান (এম.এসসি.) শাখায়—ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্নাতকস্তরীয় শংসাপত্রের ভিত্তিতে বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে সরাসরি ভর্তির আবেদন জানাতে পারে। স্নাতক পাঠক্রমে প্রাপ্ত নম্বর ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট পাঠ্যক্রমে আসনসংখ্যা অনুযায়ী যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The Purba Medinipur University Act, 2017"www.bareactslive.com। ৯ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  2. "The Purba Medinipur University (Amendment) Act, 2018" (পিডিএফ)। ১ অক্টোবর ২০১৮। 
  3. "About Us"www.mguwb.org.in। Mahatma Gandhi University। ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  4. "INFORMATION BULLETIN ADMISSION TO POST-GRADUATE COURSES (ACADEMIC SESSION: 2021-2022)" (পিডিএফ)www.mguwb.org.in। ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ 
  5. "২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য"আনন্দবাজার। কলকাতা: আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৬ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩ 
  6. "Academic"। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২৩